সোমবার, ১ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

জঙ্গি অর্থায়ন রুখতে হবে

হুন্ডি বন্ধেও নিতে হবে উদ্যোগ

জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে আরও কড়াকড়ি হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নানা কারণে এ নির্দেশনাটি তাত্পর্যের দাবিদার। জঙ্গি তত্পরতা দমনে এর অর্থনৈতিক উৎসগুলোতে আঘাত হানার বিষয়টি খুবই জরুরি। কারণ অর্থনৈতিক সামর্থ্য জঙ্গিবাদকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থানের পিছনে বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থের ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করা হয়। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তদন্তে জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতি বিদ্বেষপোষণকারী একটি দক্ষিণ এশীয় দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সম্পর্কের কথা বলা হয়েছে। এর সঙ্গে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হয়। জঙ্গিদের আর্থিক জোগান বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক সন্দেহজনক লেনদেনের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখার তাগিদ দিয়েছে। জঙ্গি অর্থায়নের ব্যাপারে আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করার ব্যাপারেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভূমিকা রাখছে। জঙ্গি অর্থায়ন ঠেকাতে প্রতিটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাস অর্থায়নের ঝুঁকি অনুধাবন করে ব্যাংক গ্রাহকদের তথ্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংগ্রহ ও লেনদেন পর্যবেক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও যথেষ্ট নয়। জঙ্গি অর্থায়নের সুযোগ বন্ধে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকেও নজর রাখতে হবে। জঙ্গিবাদীরা জালনোট তৈরি এবং বিপণনের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়। কিন্তু জালনোট চক্রের সদস্যদের ধরা এবং শাস্তি বিধানের ক্ষেত্রে আইনের ফাঁকফোকড় থাকায় এ চক্রকে দমন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। জঙ্গিবাদের অর্থায়ন বন্ধে জালনোট তৈরির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আঘাত হানতে হবে। বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে যে অর্থ আসে তার একাংশের সঙ্গে জঙ্গি অর্থায়নের সম্পর্ক রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হয়। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই হুন্ডির শেকড় উৎপাটনে উদ্যোগ নিতে হবে। হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় নিতে হবে উদ্যোগ। জঙ্গি অর্থায়ন বন্ধ হলে এ ঘৃণ্য আপদের হুমকি অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর