বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

দাঁড়াও, হাওরের নিঃস্ব মানুষের পাশে

নূরে আলম সিদ্দিকী

দাঁড়াও, হাওরের নিঃস্ব মানুষের পাশে

রাজনীতির খেলার বিস্তীর্ণ মাঠ অবারিত উন্মুক্ত রয়েছে। দয়া করে হাওরের বিপর্যস্ত মানুষকে নিয়ে সেই খেলাটি খেলবেন না। তারা আজ বাঁচতে চায়, মাথা তুলে মেরুদণ্ড খাড়া করে দাঁড়াতে চায়, স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে চায়। সাত্ত্বিক আত্মা, উদার চিত্ত, স্বার্থহীন অবারিত হৃদয় নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান।

সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলে এবারের যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তা নতুন নয়। প্রকৃতির এই বিধ্বংসী খেলা হৃদয়ের রক্তক্ষরণ হলেও প্রতিটি ঘরে প্রতিটি মানুষের যে বেদনার সুর প্রায় সবার অনুভূতিকে দুমড়ে-মুচড়ে দেয়, তাদের হৃদয়ের নিভৃত কন্দরে লালিত স্বপ্নগুলোকেও মিসমার করে দেয়, পাঁজরের হাড়ভাঙা এই দুর্বিষহ, দুঃসহ এবং দুর্বিনীত আঘাতকে মানুষ তো প্রত্যাঘাত করতে পারে না। মানুষ একে নিয়তির লিখন হিসেবে মেনে নেয় বা নিতে বাধ্য হয়।

এবারে হাওরের এই প্রাকৃতিক লীলাটির চিত্র-চেহারা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকৃতির। এই জলস্ফীতি যদি দুই সপ্তাহ পরে আসত, তাহলে অধিকাংশ মানুষই তাদের ফসল কাটতে পারত। ক্ষতির পরিমাণটা এত নির্মম ও ভয়াবহ হতো না। বাস্তবটা এতই নিষ্ঠুর যে, যারা সমাজে প্রান্তিক জনতা, শুধু তারাই সর্বস্বান্ত হননি, যারা সম্ভ্রান্ত ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত কিন্তু কৃষির ওপর নির্ভরশীল; তারাও আজ পথে বসে গিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের অনভিপ্রেত অকালপ্লাবন সাম্প্রতিককালে আর ঘটেনি। শুনেছি চল্লিশ বছর পর এমন ব্যতিক্রমধর্মী দুর্ঘটনাটি ঘটল। বিস্ময়কর বিষয়টি হলো, হাওরের সমস্যাটি গভীরভাবে উপলব্ধি করার চেষ্টা না করলে এবং সে অঞ্চলের ভূ-প্রাকৃতিক অবস্থার সঙ্গে পরিচয় না থাকলে এর ভয়াবহতা ও ক্ষতির পরিমাণ যে কী বিশাল, হাওর এলাকার জনগোষ্ঠী কতটা নিঃস্ব হয়ে গেছে— তার পূর্ণ ধারণা পাওয়া যাবে না।

আমি যতদূর অবগত, এই দুর্যোগ ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে অনেক বাঁধের ব্যবস্থা ছিল এবং এসব বাঁধের জন্য প্রতি বছরই পর্যাপ্ত সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু যেসব প্রকৌশলী ও ঠিকাদার কাজটি করার জন্য কন্ট্রাক্টটি পান, তারাও চাতুর্যের সঙ্গে কাজটিকে বরাবরই বিলম্বিত করেন। কারণ, পানি এসে গেলে কতটুকু অর্থ খরচ করা হলো আর কতটুকু তারা আত্মসাৎ করলেন, তত দিনে তা নির্ধারণ করার আর কোনো সুযোগ থাকে না। হাওরে যারা ফসল বোনেন, তারা ফসল কেটে ঘরে তুলতে পারলেই তৃপ্ত চিত্তে এই অবহেলার বা সরকারি অর্থ লোপাট তেমন গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না। বলা যায় এসব নিয়ে তারা মাথা ঘামান না। এবার অতিবৃষ্টির ফলে আগাম ও অকালবন্যায় সম্পূর্ণ ফসল ধ্বংস হওয়ার কারণেই হাওরের এই সর্বস্বান্ত মানুষেরা সময়মতো মাটি ফেললে ফসলের কিছুটা হলেও কেটে ঘরে তুলতে পারতেন। অন্তত তাদের শতকরা ১০০ ভাগ ফসল ধ্বংস হয়ে যেত না। হাওরের জলস্ফীতি সিডর বা জলোচ্ছ্বাসের মতো নয়। পানি স্ফীত হতে থাকলে মানুষ মরিয়া হয়ে ফসল কেটে ঘরে তুলে নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু এবার মনোমুগ্ধকর ধানের থোড় হয়েছিল, তবে সেই ধান পরিপক্বতা লাভের আগেই এই সর্বনাশা বান এসে হাওরের কৃষিনির্ভর মানুষদের সব স্বপ্ন ছিনিয়ে নিল।

শেখ হাসিনা সরেজমিনে গিয়েছিলেন। সঙ্গে তার পারিষদবর্গও ছিল। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের তিন মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। যেহেতু বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ ছিল, তার কতটুকু ব্যবহূত হয়েছে আর কতটুকু লোপাট হয়েছে— সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা করা সরকারপ্রধানের নৈতিক দায়িত্ব। তা না করলে নৈতিকভাবে তার দায়িত্বহীনতার পরিচয়ই শুধু পরস্ফুিট হবে না, লাখ লাখ ফসলহারা সর্বস্বান্ত মানুষের আহাজারির বিষাক্ত অভিশাপ তার ওপর বর্তাবে। এবারে যা হওয়ার তা তো হয়েছেই, এবারের এই পর্যবেক্ষণ ভবিষ্যতের জন্যও অনেকটা সুফল বয়ে আনবে।

ফসল বিনষ্টের ভয়াবহতা আজ মোটামুটি সর্বজনবিদিত। সরকারপ্রধানের তাত্ক্ষণিক পরিদর্শন, অর্ধেক সুদ মওকুফ, নতুন করে কৃষিঋণ সরবরাহের আশ্বাসও জনমনে নতুন প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। এই প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাসগুলো বা এজন্য বরাদ্দকৃত অর্থগুলো কি যথাযথভাবে ব্যবহূত হবে? এটা কি প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে আদৌ পৌঁছবে; নাকি দুর্নীতির অতল গহ্বরে যথা পূর্বং তথা পরং হয়েই নিপতিত হবে? হাওরের মানুষের সামনের দিনগুলোতে আরও ভয়াল বিপদ অপেক্ষা করছে। তাদের ক্ষুধা মেটানো এমনকি পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নানাবিধ রোগব্যাধি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেখানে কিছু লোক আছেন যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। অথচ ডুবে যাওয়া জমির পচা ধানগাছ ও কীটনাশকের প্রভাবে পানিতে অক্সিজেনের অভাবে মরে গেছে ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। এই সময়ে এগুলোর বেশির ভাগই ডিমওয়ালা মাছ হয়ে থাকে। এমনিতেই হাওরের অনেক মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এবারের এই বিপর্যয়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো আরও কিছু প্রজাতির মাছ চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। শুধু মাছই নয়, মারা গেছে খামারের হাজার হাজার হাঁস। গবাদিপশুর খাদ্যের জোগান না থাকায় অতি অল্প মূল্যে অনেকেই বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন গোয়ালের হালের বলদ অথবা দুধেল গাভীটি। এর প্রতিরোধে যে একটা বিরাট অঙ্কের বরাদ্দ থাকবে না তা নয়। তবে এর শৃঙ্খলা রক্ষা করা, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সত্যিকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া কঠিন কাজ। তার ওপর আছে বিলিবণ্টনের তদারকি বা নজরদারি। আমি মানুষের ঐক্যবদ্ধ শক্তির ওপর ভীষণভাবে আস্থা রাখতে চাই। আমি মনে করি, সব মানুষ স্বার্থবিবর্জিত মানসিকতা নিয়ে যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা প্রকৃত অর্থে উপকৃত হবেন।

এ প্রসঙ্গে সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলের আওয়ামী লীগ ঘরানার সব প্রতিষ্ঠান বিষয়টিকে তাদের মধ্যেই কুক্ষিগত না রেখে একটা নির্দলীয় ও সর্বজনীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আসন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করবেন— এই প্রত্যাশা করি। দেশের প্রধান বিরোধী দল প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ না নিয়ে সমালোচনা করে। এসব নেতিবাচক মানসিকতা বিসর্জন দিয়ে সর্বজনীন একটি ত্রাণ ও পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করার জন্য তারাও সচেষ্ট থাকবেন বলে আমার প্রত্যাশা। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় শুধু আশ্বাসের বাণী শোনানো, সমালোচনার তীক্ষ বাক্যবাণে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের হীনমানসিকতা বিসর্জন দিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে প্রমাণ দিতে হয় যে, রাজনীতি কেবল ক্ষমতার জন্য নয়, এটি জনকল্যাণের অনিবার্য প্রচেষ্টা। শুধু ব্যানার ঝুলিয়ে কিছু রিলিফ প্রদান করে সংবাদমাধ্যমের বদৌলতে বাহ্বা কুড়ানো নয়, আগামী নির্বাচনের পুঁজি গঠন নয়, খোলা মনে আল্লাহকে খুশি করার চেষ্টা করুন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সর্বস্বান্ত দিশাহারা মানুষগুলোর সত্যিকারের কল্যাণের গৌরবদীপ্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।

সংবাদমাধ্যমে অনেক করুণ ও মর্মান্তিক দৃশ্য অবলোকন করা গেছে। এরই মধ্যে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে ওই অঞ্চলের ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারের কাঁচা বসতঘর। খোলা আকাশের নিচে মানবেতর অবস্থায় তাদের দেখা গেল। অথচ সরকারি কোনো লোক তাদের সাহায্যে এগিয়ে যায়নি। ওই রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তারা নাকি সেদিন মে দিবসের ছুটি কাটিয়েছেন। মানবতাবিবর্জিত মানুষগুলোর মে দিবসের ছুটি ভোগ করার এই নির্মম নিষ্ঠুর ও আসুরিক শক্তিকে কীভাবে প্রতিহত করা যায় সেটাই বড় জিজ্ঞাসা।

হাওর এলাকায় কৃষকের একমাত্র ফসল বোরো চাষের ক্ষেত্রে প্রকৃতিনির্ভরতার বিষয়টি আছে। এমনিতে প্রতি বছরই কিছু কিছু এলাকায় বন্যা, অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা বা শিলাবৃষ্টির ফলে কিছু ফসল নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বরাবরই সেখানে থাকে এবং হয়ও। বস্তুত প্রকৃতির সঙ্গে প্রতিনিয়ত এক ধরনের সংগ্রাম করেই তাদের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। কিন্তু এবারে সমগ্র হাওরাঞ্চলে একযোগে এমন ভয়াবহ বিপর্যয়ের অভিজ্ঞতার দুঃসহ স্বাদ যে পেতে হতে পারে, তা তাদের কল্পনায়ও ছিল না।

বেগম খালেদা জিয়ার না যাওয়াটা হাওরবাসীর মতো আমার অনুভূতিকেও বিধ্বস্ত করেছে। মূল নেতৃত্বের উপস্থিতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণ এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে নতুন করে বাঁচার উপায় উদ্ভাবনে মানুষকে সাহস ও উৎসাহ জোগাত। আজকের এই ঘনঘোর অন্ধকারে তা একটু হলেও আশার আলো ছড়াত।

আমার এই নিবন্ধে এই প্রসঙ্গের উপসংহারে সাংবাদিক পীর হাবিবকে হাওরের সন্তান হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিনে তার অভিজ্ঞতালব্ধ তথ্যবহুল নিবন্ধটি প্রকাশের জন্য আমার উদ্দীপ্ত হৃদয়ের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে নিবন্ধে তার উপস্থাপিত দাবিসমূহের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছি।

এবারে আমি একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসতে চাই। সম্প্রতি শেখ হাসিনা দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের বুকভরা স্বপ্ন নিয়ে নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ভারতে গিয়েছিলেন। তিনি কতটুকু সম্মানিত হয়েছেন, কোথায় অবস্থান করেছেন এটা সর্বজনবিদিত। এই সফরে যে ৬টি চুক্তি ও ২২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে তার বিস্তারিত জনসম্মুখে প্রকাশের দাবিটি আমি পুনরুল্লেখ করতে চাই। দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি ৯২ ভাগ মুসলমানের অনুভূতির সপক্ষে কিছু পদক্ষেপ নেন। এ ব্যাপারে তিনি হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা আহমদ শফীর (যিনি কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ কর্ণধারও বটে) সঙ্গে বসেছেন।

কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রিকে স্নাতকোত্তর সমমানের মর্যাদা প্রদান করেছেন। নিঃসন্দেহে সিদ্ধান্তটি যুগান্তকারী; এবং জামায়াত-শিবিরের জন্য একটি প্রতিবন্ধকতা তৈরিতে এটি খুবই সহায়ক হবে। এই সিদ্ধান্তে জামায়াত-শিবিরের গাত্রদাহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাংলাদেশে এক ধরনের মুরতাদ আছেন, যারা ইসলামী বিষয়ে কোনো আলোচনা বরদাস্ত তো করতে পারেনই না, উল্টো তাদের এত গাত্রদাহ হয় যে, তারা অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে এর মধ্যে নেতিবাচক কিছু আছে কিনা তার অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হয়ে যান।

এমনিতেই শিক্ষাব্যবস্থার আজ মারাত্মক বেহাল অবস্থা। শুধু বার বার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াই নয়, প্রশ্নোত্তরে হ্যাঁ-না-এর দুর্বিপাকে নতুন প্রজন্ম প্রায় মেধাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। উচ্চবিত্তের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া আমজনতা বা প্রান্তিক জনতার সন্তান-সন্ততিরা অসার ও মেধাহীন ডিগ্রি নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ভাবলে আমি শিউরে উঠি। আমার কাছে চাকরিপ্রত্যাশী অনেক স্নাতকোত্তরকে লক্ষ্য করেছি, তারা ইংরেজি তো অনেক দূরের কথা, শুদ্ধ করে পাঁচ লাইন বাংলাও লিখতে পারে না। এটি আমার হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করেছে।

উপসংহারে আমি আরেকটি বিষয় সমাজের দৃষ্টির আওতায় আনতে চাই, ভাস্কর্যের নামে আজকাল যত্রতত্র যে মূর্তি স্থাপন করা হচ্ছে এটি অদূর ভবিষ্যতে একটি সামাজিক সংঘাত ও বিপর্যয় টেনে আনার অশনিসংকেত। উল্লেখ্য, আমাদের রাজনৈতিক ধারার পূর্বসূরি যারা, শহীদ মিনার ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছিলেন প্রতীকী স্থাপনা হিসেবে; তাদের দূরদর্শিতা জাতিকে বিমুগ্ধ করেছে। কিন্তু বিস্ময়াভিভূত হলেও সত্য, দেশের প্রধান বিচারালয়ে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি প্রতিস্থাপনের বিষয়টি দুর্দমনীয় ক্ষমতার অধিকারিণী সরকারপ্রধানও জানতেন না। তবে কারা, কেন, কোন হীনউদ্দেশ্যে সূক্ষ্মভাবে এই উসকানিমূলক বিভাজন সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে তাও অনুসন্ধান করে দেখার সময় এসেছে।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা

সর্বশেষ খবর