বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ

অপদখলকারীদের উচ্ছেদের উদ্যোগ নিন

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ১৭ কিলোমিটার রেলপথের দুই ধারে যথেচ্ছভাবে গড়ে উঠেছে দোকানপাট ও বস্তি। রেলপথের পাশে গড়ে উঠেছে একাধিক ব্যস্ত বাজার। প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে এ পথে ট্রেন চলাচল করে। স্বভাবতই দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায় নিয়মিতভাবে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার কারণে স্থগিত থাকে ট্রেন চলাচল। যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয়। রেলপথে দোকানপাট বা বাজার বসানো আইনত অবৈধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। রেলের জায়গায় বস্তি বা অন্য যে কোনো ধরনের স্থাপনা তৈরির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু সব কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় রেলপথে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। শুধু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের প্রতিটি রেলপথেই রয়েছে দখলদারদের দৌরাত্ম্য। তবে এ ক্ষেত্রে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথ সম্ভবত সবচেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে  গোপীবাগ-সায়েদাবাদ পর্যন্ত দুই পাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। সায়েদাবাদের পর স্বামীবাগ থেকে দয়াগঞ্জ পর্যন্ত দুই পাশে গড়ে উঠেছে লোহার তৈরি বিভিন্ন উপকরণের কারখানা। গবাদিপশুর ফার্মও চলছে রেললাইন ঘেঁষে। গেণ্ডারিয়া, ঘুণ্টিঘরের পর রেললাইনের উভয় পাশে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ছোট ছোট বস্তিঘর। এর পরই শুরু হয়েছে বিশাল কাঁচাবাজার। এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাজারের দোকানগুলো লাইনের এত বেশি কোল ঘেঁষে গড়ে উঠেছে যে ট্রেন এলে দোকানের ছাউনি গুটিয়ে নিতে হয়। জুরাইন রেলগেটের পর বরইতলা পর্যন্ত দুই পাশে ফার্নিচারের বিশাল মার্কেট গড়ে উঠেছে। এরপর রেল সড়কের উভয় পাশে শত শত বস্তিঘরের দেখা মিলবে। এসব বস্তিঘরে বসবাসকারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন। ঢাকা ওয়াসা, রসুলপুর, বউবাজার, পাগলা বাজার রেললাইন, নন্দলালপুর রেলগেট, আলীগঞ্জ, ফতুল্লা পর্যন্ত এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বস্তি। প্রতিবেদনে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের যে হাল হকিকত তুলে ধরা হয়েছে তাতে রেল পুলিশকে কী উদ্দেশ্যে পোষা হয় সে প্রশ্ন সংগতভাবে করা যেতে পারে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চোখের সামনে রাজধানীর রেললাইন যদি অপদখলের শিকার হয় তবে দেশের অন্যত্র কী অবস্থা বিরাজ করছে সহজে অনুমেয়। রেল যোগাযোগে সুষুমতা ফিরিয়ে আনতে রেললাইন অপদখল মুক্ত করতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর