মঙ্গলবার, ২৩ মে, ২০১৭ ০০:০০ টা

গ্রীষ্মের দাবদাহ

হিটস্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে

দাবদাহে পুড়ছে দেশ। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জনজীবন অসহনীয় করে তুলেছে গ্রীষ্মের ভয়াল মাতম। দাবদাহে দিনের বেলায় ঘরের বাইরে বেরোনো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা আবহাওয়ার অস্বাভাবিক উষ্ণতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। সবচেয়ে কষ্টকর অবস্থার শিকার হচ্ছে শিশুরা। গত রবিবার যশোরে দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হয়েছে; যার পরিমাণ ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকলেও তাতেই জনজীবনে বিপর্যস্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, দেশজুড়ে যে দাবদাহ চলছে তা আরও কিছু দিন অব্যাহত থাকবে। তবে একই সঙ্গে রয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস; যা দাবদাহের অবসান ঘটাতে পারে। দাবদাহের তোড়ে রাজধানীসহ সারা দেশে উদরাময় রোগের প্রকোপ বেড়েছে। চিকিৎসকরা কাঠফাটা রোদ ও ভ্যাপসা গরমে হিটস্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বাজারে খোলা অবস্থায় বিক্রি হওয়া শরবত বা ঠাণ্ডা পানীয় ব্যবহার সম্পর্কেও সতর্ক করে দিয়েছেন। দাবদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে লোডশেডিংয়ে। রাজধানীতেই দিনে চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর। কিশোরগঞ্জে কালবৈশাখীর ঝড়ে বিদ্যুতের টাওয়ার ভেঙে পড়ায় অন্তত ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে; যা দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও সঞ্চালন লাইনের দুর্বলতায় লোডশেডিং এড়ানো যাচ্ছে না। জ্যৈষ্ঠের দাবদাহ সাংবাৎসরিক বিষয়। আম-কাঁঠাল পাকার এই মৌসুম যেমন আনন্দ বয়ে আনে ভোজনরসিকের জন্য, তেমন দাবদাহ বয়ে আনে বিড়ম্বনা। এ বিড়ম্বনা এড়াতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশে গাছপালার নিধন আবহাওয়াকে উষ্ণ করে তুলছে। উষ্ণতা থেকে রক্ষা পেতে সারা দেশে বৃক্ষরোপণে নজর দিতে হবে। গাছপালার নিধন বন্ধেও সতর্ক থাকতে হবে। অস্তিত্বের স্বার্থেই এ ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর