বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

মানিক মিয়া এভিনিউ বনাম বঙ্গবন্ধু চত্বর

বিভুরঞ্জন সরকার

মানিক মিয়া এভিনিউ বনাম বঙ্গবন্ধু চত্বর

পঞ্চগড় থেকে পরিচিত দুই ব্যক্তি ঢাকায় এসে আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে আমি তাদের বাসায় বা অফিসে আসতে বললাম। তারা তাতে রাজি না হয়ে আমাকে খামারবাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বরে যেতে বললেন। আমি নির্ধারিত সময়ে খামারবাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলাম। ধারণা করেছিলাম খামারবাড়ির ভিতরে বঙ্গবন্ধুর নামে কোনো চত্বর হয়েছে। কিন্তু সেখানে কেউ আমাকে বঙ্গবন্ধু চত্বরের হদিস দিতে পারল না। আমি ভাবলাম, আমার পরিচিত ব্যক্তিরা ঢাকার বাইরে থেকে এসে আমাকে হয়তো জায়গার নাম ভুলভাবে বলেছেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তাদের একজনকে ফোন করে জানতে চাইলাম, তারা কোথায় এবং খামারবাড়িতে বঙ্গবন্ধু চত্বরটাই বা কোথায়? তিনি বললেন, তারা বঙ্গবন্ধু চত্বরেই আমার জন্য অপেক্ষা করছেন। বঙ্গবন্ধু চত্বরটি ঠিক কোথায় জানতে চাইলে তিনি বললেন, কেন, এত বছর ধরে ঢাকায় থেকেও বঙ্গবন্ধু চত্বর চেনেন না! আমি সত্যিই কিছুটা লজ্জিত হয়ে বললাম, আমি ঠিক এ মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। আমাকে একটু ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন। তিনি বললেন, ফার্মগেট থেকে মানিক মিয়া এভিনিউর দিকে যেতে হাতের ডানে কোনার দিকে তাকিয়ে দেখুন যে গোলচত্বরটি চোখে পড়বে তার নামই বঙ্গবন্ধু চত্বর। এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। এ পথে প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে দু-চার বার আসা-যাওয়া করতেই হয়। কিন্তু এখানে গোলচত্বরটিকে যে বঙ্গবন্ধুর নামে অলঙ্কৃত করা হয়েছে তা আগে দেখিওনি, শুনিওনি। কবে এটি হলো, কারা করল? এ ছোট্ট একটি চত্বরের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম জুড়ে দেওয়ার দুর্বুদ্ধি কাদের মাথায় চেপেছিল? নামকরণ আর নাম বদলের রাজনীতি আমাদের দেশে কম হয়নি। আমার ধারণা হয়েছিল, সেই পাগলামিটা এখন শেষ হয়েছে। কিন্তু মানিক মিয়া এভিনিউর পূর্ব দিকের গোলচত্বরটি বঙ্গবন্ধুর নামে শোভিত হতে দেখে আনন্দিত কিংবা উচ্ছ্বসিত হওয়ার পরিবর্তে কিছুটা যেন দুঃখই পেলাম।

মানিক মিয়া, যার পোশাকি নাম তফাজ্জল হোসেন, ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন এবং বড় ভাইয়ের মতো। গত শতকের ষাটের দশকে বঙ্গবন্ধুর যে ধারাবাহিক রাজনৈতিক উত্থান তার সঙ্গে মানিক মিয়ার নাম অত্যন্ত উজ্জ্বলভাবে জড়িয়ে আছে। অতিসম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কারাগারের রোজনামচা’ নামের একটি মূল্যবান গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত এ গ্রন্থে একাধিক জায়গায় বঙ্গবন্ধু মানিক মিয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। একটি উদ্ধৃতি তুলে ধরলেই পাঠকের কাছে স্পষ্ট হবে মানিক মিয়া ও বঙ্গবন্ধুর সম্পর্কের গভীরতার বিষয়টি।

১৯৬৬ সালের ১৬ জুন, বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু তাঁর ডায়রিতে লিখেছেন : ‘তফাজ্জল হোসেন সাহেবকে ভোরবেলা নিয়ে এসেছে। ১০ নম্বর সেলে রেখেছে। আমার মনে ভীষণ আঘাত লাগল খবরটায়। এরা মানিক ভাইকেও ছাড়ল না? এরা কতদূর নেমে গেছে। পাকিস্তানের সাংবাদিকদের মধ্যে তার স্থান খুবই উচ্চে। তার কলমের কাছে বাংলার খুব কম লেখকই দাঁড়াতে পারে। বিশেষ করে তার রাজনৈতিক সমালোচনার তুলনাই হয় না। তার নিজের লেখা ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’ পড়লে দুনিয়ার অনেক দেশের রাজনৈতিক অবস্থা বুঝতে সহজ হয়। সাধারণ লোকেরও তার লেখা বুঝতে কষ্ট হয় না। তাকে এক অর্থে শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী বলা যেতে পারে।

তিনি কোনো দিন সক্রিয় রাজনীতি করেন নাই। তাঁর একটি নিজস্ব মতবাদ আছে। সত্য কথা বলতে কাহাকেও তিনি ছাড়েন না। আইয়ুব খান সাহেবও তাঁকে সমীহ করে চলেন। তিনি মনের মধ্যে এক কথা আর মুখে এক কথা বলেন না। তিনি হঠাৎ রেগে যান, আবার পাঁচ মিনিট পরে শান্ত হয়ে পড়েন। কেহ ভাবতেই পারবেন না তাহার মুখ খুবই খারাপ, মুখে যাহা আসে তাহাই বলতে পারেন। অনেক সময় আমার তাঁর সাথে মতের অমিল হয়েছে। গালাগালি ও রাগারাগি করেছেন, কিন্তু অন্য কেহ আমাকে কিছু বললে, আর তার রক্ষা নাই, ঝাঁপাইয়া পড়েন। আমাকে তিনি অত্যন্ত স্নেহ করেন। আমিও তাঁকে বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করি। কোনো কিছুতে আমি সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে তাঁর কাছে ছুটে যাই। তিনিই আমাকে সঠিক পথ দেখাইয়া দেন। সোহরাওয়ার্দী সাহেবের মৃত্যুর পর তাঁর কাছ থেকেই বুদ্ধি পরামর্শ নিয়ে থাকি। কোনো লোভ বা ভ্রূকুটি তাঁকে তাঁর মতের থেকে সরাতে পারে নাই। মার্শাল ল’র সময়ও তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলে নেওয়া হয়। সোহরাওয়ার্দী সাহেবকে গ্রেপ্তার করার পরেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবার আজও তাঁকে গ্রেপ্তার করে এনেছে। তাঁর ওপর অনেকেরই ঈর্ষা এবং আক্রোশ রয়েছে।

এরা অনেকেই মনে করে আমি যাহা করি সকল কিছুই তাঁর মত নিয়ে করে থাকি। আমার দরকার হলে আমিই তাঁর কাছে যাই পরামর্শের জন্য। তিনি কখনও গায়ে পড়ে কোনো দিন পরামর্শ দেবার চেষ্টা করেন নাই। তবে তাঁর সঙ্গে আমার মনের মিল আছে, কারণ ২৫ বৎসর এক নেতার নেতৃত্ব মেনে এসেছি দুইজন। অনেকেই সোহরাওয়ার্দী সাহেবের সাথে বেইমানি করেছেন। আমরা দুইজন এক দিনের জন্যও তাঁর কাছ থেকে দূরে যাই নাই। পাকিস্তানের, বিশেষ করে পূর্ব বাংলার জনসাধারণের জন্য ইত্তেফাক যা করেছে তা কোনো খবরের কাগজই দাবি করতে পারে না। এদেশ থেকে বিরুদ্ধ রাজনীতি মুছে যেত যদি মানিক মিয়া এবং ইত্তেফাক না থাকত। এ কথা স্বীকার না করলে সত্যের অপলাপ করা হবে। ১৯৫৮ সালে মার্শাল ল’ জারি হওয়ার পর থেকে হাজার রকমের ঝুঁকি লইয়াও তিনি এদেশের মানুষের মনের কথা তুলে ধরেছেন।

ছয় দফার আন্দোলন যে আজ এতো তাড়াতাড়ি গণআন্দোলনে পরিণত হয়েছে এখানেও মানিক ভাইয়ের লেখনী না থাকলে তা সম্ভব হতো কিনা তাহা সন্দেহ! আমি যাহা কিছু করি না কেন, তাহা মানিক ভাইয়ের দোষ, সরকারের এটাই ভাবনা। ভারতবর্ষ যখন পাকিস্তান আক্রমণ করল তখন যেভাবে ইত্তেফাক কাগজ সরকারকে সমর্থন দিয়েছে এবং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে—ত্যাগের জন্য ও মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য, ইত্তেফাকের পাতা খুললেই তাহা দেখা যাবে। তবুও আজ তাঁকে ডিপিআরএ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন বুঝতে কারও বাকি নাই কেন সরকার জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করছেন না। দেশ রক্ষা করার জন্য যে আইন করা হয়েছিল সে আইন আজ রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে। খবরের কাগজের স্বাধীনতার উপর পর্যন্ত হস্তক্ষেপ করিতেছে। এমনকি মানিক মিয়ার মতো সম্পাদককেও দেশ রক্ষা আইনে গ্রেফতার করতে একটু লজ্জা করলো না। তফাজ্জল হোসেন সাহেব, যাঁকে আমরা মানিক ভাই বলে ডাকি তিনি শুধু ইত্তেফাকের মালিক ও সম্পাদক নন। তিনি আন্তর্জাতিক প্রেস ইনস্টিটিউটের পাকিস্তান শাখার সভাপতি এবং প্রেস কোর্ট অব অনারের সেক্রেটারি।’ (পৃষ্ঠা : ৯৫-৯৭)।

এটা আমাদের অনেকেরই অজানা নয় যে, মানিক মিয়া এবং তার প্রতিষ্ঠিত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাটি ছিল বাঙালির আন্দোলন-সংগ্রামের বড় হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধুর বিকাশের ধারায়ও ইত্তেফাক ও মানিক মিয়ার যে অসামান্য অবদান ছিল সেটা বঙ্গবন্ধুর লেখা থেকেই আমরা বুঝতে পারছি। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় মানিক মিয়া দেখে যেতে পারেননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু জানতেন, দেশের মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন যদি মানিক মিয়া তার লেখার মাধ্যমে বলিষ্ঠভাবে তুলে না ধরতেন তাহলে বাঙালি জাতি হয়তো এত দ্রুততার সঙ্গে স্বাধীনতার দিকে ধাবিত হতো না। তাই স্বাধীন বাংলাদেশে সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধু মানিক মিয়ার প্রতি জাতির কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্যই সংসদ ভবনের সামনের প্রশস্ত সড়কটির নামকরণ করেন ‘মানিক মিয়া এভিনিউ’।

বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশাল হৃদয়ের মানুষ। তার মধ্যে কোনো সংকীর্ণতা বা ক্ষুদ্রতা ছিল না। যার যা প্রাপ্য তাকে তা দেওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো কার্পণ্য ছিল না। সেজন্যই তিনি স্বাধীনতার পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নাম তার নিজের নামে করেননি। উল্টো তিনি রেসকোর্স ময়দানের নাম বদলে করেছিলেন, তিনি যাকে রাজনৈতিক গুরু হিসেবে মানতেন, সেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নামে। আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান একসময় রেসকোর্স ময়দান হিসেবেই পরিচিত ছিল। এ ছাড়া রাজধানীর উত্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নাম রেখেছিলেন বাঙালির আরেক প্রিয় নেতা শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের নামে। অর্থাৎ ঢাকার সবচেয়ে বড় সড়কের নাম মানিক মিয়ার নামে, সবচেয়ে বড় উদ্যানের নাম সোহরাওয়ার্দীর নামে এবং সবচেয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নাম শেরেবাংলার নামে রেখে বঙ্গবন্ধু যে ঔদার্যের পরিচয় দিয়েছেন আজকাল তার নজির পাওয়া যাবে না।

স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জাতির পিতা। তাকে ছাড়া বাংলাদেশের কল্পনাও করা যায় না। বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান বা বড় কোনো স্থাপনার সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম জুড়ে দিলেই তিনি বড় হবেন বা কোনো প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার সঙ্গে তার নাম যুক্ত না থাকলেই তিনি ছোট হবেন— এমনটা যারা মনে করেন তারা আসলে আহাম্মক। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার জন্য কম অপচেষ্টা হয়নি। কিন্তু ওই অপচেষ্টাকারীরা ব্যর্থ হয়েছে। যারা স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র চায়নি, যারা পাকিস্তানের গোলামি করাকেই পবিত্র কর্তব্য মনে করেছিল তারা ছাড়া আর সব বাঙালির হৃদয়জুড়েই রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই বঙ্গবন্ধুর নাম যেখানে-সেখানে জুড়ে দেওয়া একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়। বঙ্গবন্ধুকে ক্ষুদ্র দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থ কিংবা হীন রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার অংশে পরিণত করা কোনোভাবেই সুবিবেচনার পরিচয় বহন করে না। বঙ্গবন্ধু দলমতের ঊর্ধ্বে, তিনি বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম জুড়ে দেওয়ার এক ধরনের অশুভ ও অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। তার পরও কয়েকটি বড় স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম যুক্ত হওয়াটা মানুষ একেবারে মন্দভাবে দেখেনি। কিন্তু যত্রতত্র তার নাম জুড়ে দেওয়া কোনো কাণ্ডজ্ঞানসম্পন্ন মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য হওয়ার নয়।

মানিক মিয়ার নামে রাজধানীর সবচেয়ে বড় সড়কটির নামকরণ করায় কোনো অতিউৎসাহী মুজিব-দরদি কি অখুশি হয়েছেন? মানিক মিয়ার নামে সড়কটি যেহেতু বঙ্গবন্ধু নিজেই করে গেছেন, সেহেতু তার নাম না বদলে মানিক মিয়া এভিনিউর সামনে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি সড়কদ্বীপ বা চত্বর বানিয়ে কে বা কারা কোন বদমতলব হাসিল করতে চান তা খুঁজে দেখা দরকার।

বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে নাম বদলের রাজনীতি করেছে বলেই আওয়ামী লীগকেও তাই করতে হবে? বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুর সমকক্ষ বানানোর অপচেষ্টা একধরনের মতলববাজ করেছেন, করছেন। কিন্তু সেটা সফল হয়নি। বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু হয়েছেন দীর্ঘ ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে। তিনি মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন তার কাজের মধ্য দিয়ে। তিনি হঠাৎ গজিয়ে ওঠা নেতা নন, বন্দুকের জোরে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তিনি রাজনীতিবিদ হননি। বঙ্গবন্ধু এবং জিয়াকে এক পাল্লায় মাপার মূঢ়তা যারা দেখান ইতিহাস তাদের মার্জনা করবে না। বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে কোনোভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। মানিক মিয়া এভিনিউর পূর্ব দিকে যে সড়কদ্বীপটির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর নাম জুড়ে দেওয়া হয়েছে তা অবিলম্বে তুলে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

     লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।

ই-মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর