শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

মোটা চালের দামে ঊর্ধ্বগতি

বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত চাল আমদানি করুন

চালের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। মোটা চালের মূল্যবৃদ্ধি গরিব মানুষের জন্য নাভিশ্বাস হয়ে দেখা দিয়েছে। কৃষকরা গত বছরও তাদের উৎপাদিত ধান কীভাবে বিক্রি করবেন তা নিয়ে হিমশিম খেয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে অনেক কৃষক ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচও উঠাতে পারেননি। এ বছর হাওর এলাকার ফসল মার খাওয়াকে অজুহাত হিসেবে নিয়ে চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে চলেছে চালের দাম। প্রতি কেজিতে গড়ে ১০ টাকা দাম বৃদ্ধির পেছনে চালকল মালিকদের মুনাফাখোরী মনোভাব কাজ করছে এমন অভিমত ওয়াকিবহাল মহলের। বোরো ধান কৃষকদের কাছে যখন ছিল তখন তারা ন্যায্যমূল্য পাওয়ার জন্য হাহাকার করেছেন। সেই ধান চালকল মালিকদের গুদামে যেতে না যেতেই শুরু হয়েছে সাধারণ ভোক্তাদের হাহাকার। দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান অসঙ্গতির জন্য চালকল মালিকদেরই পোয়াবারো। তাদের কাছে কৃষক এবং ভোক্তা দুই পক্ষই জিম্মি হয়ে পড়েছে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে কৃষক ধান উৎপাদন করে তারা প্রতিবছরই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার কৃষকদের বদলে চালকল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করায় সেখানেও তারা মুনাফা লোটার সুবর্ণ সুযোগ পায়। বলা যায়, ধান উৎপাদন করে কৃষকের সমৃদ্ধি নিশ্চিত না হলেও চালকল মালিকদের রমরমা বেড়েই চলেছে। চালকল মালিকরা ব্যবসা করুন তাতে সাধারণ মানুষের কোনো আপত্তি নেই, তারা তা মেনে নিতেও রাজি। কিন্তু কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তারা যেভাবে সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ মুনাফাখোরী মনোভাব জনমনে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করছে। বাজার মনিটরিংয়ে সরকার কঠোর হলে বিনা কারণে চালের দাম বৃদ্ধির সুযোগ হতো না এমনই মনে করেন বোদ্ধাজনরা। আশা করব চালকল মালিকদের মুনাফাখোরী মনোভাবে লাগাম পরাতে সরকার সক্রিয় হবে। পাশাপাশি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা বন্ধ করতে অবিলম্বে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত চাল আমদানি করা হোক।  মূল্যবৃদ্ধির কারসাজির হোতারা যাতে অসৎ মনোভাব ত্যাগে বাধ্য হয় তা যে কোনো মূল্যে নিশ্চিত করা হবে।

সর্বশেষ খবর