সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

ফেলে আসা দিনগুলো

নূরে আলম সিদ্দিকী

ফেলে আসা দিনগুলো

প্রতিটি মানুষের মতো আমারও জীবনে শৈশব থেকে শুরু করে জীবনসায়াহ্ন পর্যন্ত ৭৩-৭৪টি শুধু রোজার ঈদ এসেছে। একইভাবে কোরবানিরও। আমি বিস্ময়াভিভূত হয়ে উপলব্ধি করি, বয়সের তারতম্যে ঈদ বা কোরবানির আনন্দে কোনো মারাত্মক ব্যতিক্রম বা ব্যত্যয় আমি অন্তত অনুভব করি না (মুক্তিযুদ্ধকালীন একটি ব্যতিক্রম বাদে)। জীবনের প্রতিটি ঈদ ও কোরবানি আমার জীবনকে আনন্দিত করেছে, উদ্বেলিত করেছে, উচ্ছ্বসিত করেছে। এমনকি ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সবার জন্য একটা মমত্ববোধ ও ভালোবাসার উন্মেষ ঘটিয়েছে। এই জীবন সায়াহ্নে সুদূর অতীত আমার শৈশবের দিকে যদি তাকাই, সেখানেও আনন্দের অজস্র ও অফুরন্ত স্মৃতি এখনো আমাকে রোমাঞ্চিত করে, বিমোহিত করে, বিমুগ্ধ করে। সচ্ছল ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মের সুবাদে কোনো ঈদেই আমাকে কোনো না পাওয়ার বেদনায় হৃদয়কে এতটুকু ভারাক্রান্ত করেনি।

কলেজে থাকা অবস্থা থেকে শুরু করে ’৬৯ সাল পর্যন্ত আমার বেশ কয়েকটি ঈদ কেটেছে কারা-অভ্যন্তরে। ’৬৬-র পর থেকে রাজবন্দী হিসেবে জেল খেটেছি। আমার একটি ঈদের কথা মনে পড়ে। তখন আমি হাজতি। মামলায় জামিন না দিয়ে ওই কয়দিন আমাকে জেল খাটিয়ে একটা বিদ্বেষপ্রসূত আনন্দ (স্যাডিজম) পেতেন ম্যাজিস্ট্রেটদের কেউ কেউ। এ ব্যাপারে ঘাগু ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেট মরহুম আফসার উদ্দিন। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। এটা অপ্রাসঙ্গিক কি না জানি না, আমাদের যে কোনো মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এসে দাঁড়াতেন তখনকার দিনের প্রথিতযশা ব্যারিস্টার ও অ্যাডভোকেটরা। সর্বজনাব আতাউর রহমান খান (সাবেক মুখ্যমন্ত্রী), জহিরউদ্দিন (সাবেক কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী), সালাম খান, শাহ আজিজুর রহমানসহ অনেকেই। তখন হাই কোর্টে যারা আইনজীবী হিসেবে শুধু প্রসিদ্ধই নন, আইন ব্যবসাও যাদের রমরমা। তারাও একটা অনবদ্য আকর্ষণে এসে ম্যাজিস্ট্রেটের বারান্দায় ভিড় জমাতেন। আমার অনুভূতি আজও শিহরিত হয়, রাজনীতির সেই রোমাঞ্চিত ত্যাগের মহিমায় ভরপুর দিনগুলো কি আবার কখনো অবক্ষয়ের অতলান্তে অবলুপ্ত ক্ষয়িষ্ণু সমাজ ব্যবস্থায় মৌলিক অধিকার-বিবর্জিত একনায়কতান্ত্রিকতায় আচ্ছাদিত এই বাংলাদেশে ফিরে আসবে? সেবার হাজতি হিসেবে কারাগারে গেলেও আমাকে জেল হাসপাতালে রাখা হয়। যারা নিরাপত্তা বন্দী নন, অথচ রাজনৈতিক কর্মী, তাদের জন্য এ ব্যবস্থাটি আকাশছোঁয়া পরিতৃপ্তির। যতদূর মনে পড়ে, জেলের অভ্যন্তরে হাসপাতাল চত্বরেই ঈদের জামাত হতো। সেটিও একটি অদ্ভুত অনুভূতির ঈদ। সেই ঈদে মুজিব ভাই কারারুদ্ধ ছিলেন না। কিছু শক্তিশালী সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তিত্ব, যাদের সবাই নন-মুসলিম, তারা ভালো কাপড়-চোপড় পরে কারা অভ্যন্তরে ঈদ চত্বরে আসতেন সবার সঙ্গে মেলামেশার উদগ্র আকাঙ্ক্ষায়। আমার বন্ধু বদিউজ্জামান ঈদের জন্য পাজামা-পাঞ্জাবি রেখে গিয়েছিল। ঘাটতি, কমতি, বেদনা, ক্লান্তি কোনো কিছুই বোধ করিনি। আর খাওয়া-দাওয়া? আব্বা টিফিন ক্যারিয়ার ভর্তি করে জেলখানার গেটে খাবার নিয়ে আসতেন। ডেপুটি জেলারের রুমে তার সঙ্গে কী হাজতি, কী রাজবন্দী—সব অবস্থাতেই দেখা করার সুযোগ পেতাম। আওয়ামী লীগের জন্ম থেকেই আমার বাবা প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। মুজিব ভাইও তাঁকে সম্মান করতেন। মুজিব ভাইয়ের ‘কারাগারের রোজনামচা’ বইয়ে এ ইঙ্গিত রয়েছে। আমার কিছু অন্তরঙ্গ বন্ধু, তারাও কিছু না কিছু নিয়ে দেখা করতে আসত। ঈদের দিনে জেল কর্তৃপক্ষও অনেকটা ঢিলেঢালা থাকত। এখানে-ওখানে যাতায়াত অবারিত না হলেও নিয়ম-কানুন অনেকটা শিথিল ছিল। ঈদের নামাজ শেষে সবারই সবার সঙ্গে কোলাকুলি করার উদগ্র আকাঙ্ক্ষা পরিলক্ষিত হতো। এটা একটা বিচিত্র ধরনের অনুভূতি ও আবেগতাড়িত নিষ্কলুষ আনন্দ। ’৬৬ সালে ছয়দফা প্রদানের পর জুনে কারারুদ্ধ হই রাজবন্দী হিসেবে। তখন রাজনীতিকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডেপুটি জেলার তোফাজ্জল হোসেন সাহেব। ভদ্রলোকের বাড়ি রাজশাহীতে। তিনি খুব কুশলী ও বুদ্ধিমান ছিলেন। চাকরি রক্ষার সমস্ত শর্ত পালন করেও তিনি রাজবন্দীদের সঙ্গে একটা সখ্য বজায় রাখতেন। মুজিব ভাইকেও ভীষণ শ্রদ্ধা ও সম্মান করতেন। এবং শুধু তার কেন, তখনকার জেল কর্তৃপক্ষের প্রধান পরিদর্শক থেকে শুরু করে কারাগারের সব কর্মকর্তারই বদ্ধমূল ধারণা ছিল, মুজিব ভাই পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসবেনই। ছয়দফা প্রদানের পর বঙ্গবন্ধু কারাগারের যে কক্ষটিতে অবস্থান করতেন, তখন কক্ষটির নাম ছিল ‘দেওয়ানি’।

 

 

কারা অভ্যন্তরে অনেকগুলো ঈদ ও কোরবানিতে আমি অংশগ্রহণের সুযোগ পাই। ঈদের দিনে অন্যান্য জায়গায় অবরুদ্ধ রাজবন্দীরা অতি উৎসাহ-উদ্দীপনা, হৃদয়ের উচ্ছ্বাস ও উদ্বেলতা নিয়ে ঈদের জামাতে আসতেন। তাদের উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায় থাকত, শুধু কোলাকুলি নয়, মুজিব ভাইয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক শলা-পরামর্শ ও তাঁর সিদ্ধান্ত সরাসরি জানা। আমি মুজিব ভাইয়ের অতি সন্নিকটে থাকতাম বলে এই শলা-পরামর্শে তেমন কোনো আগ্রহ বোধ করতাম না। কিন্তু অন্যান্য সেল ও ওয়ার্ডে থাকা রাজবন্দীদের সঙ্গে কোলাকুলি, কথাবার্তা ও মেলামেশায় যে কী অদ্ভুত আনন্দ পেতাম, তা বর্ণনা করার ভাষা আমার নেই। প্রথিতযশা লেখক হলে হয়তো পারতাম। কারা অভ্যন্তরে ঈদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, রাজবন্দীদের তরফ থেকে সব সাধারণ কয়েদির জন্য বিশেষ খাদ্য পরিবেশন করা হতো। বলতে বাধা নেই, জেল কর্তৃপক্ষের এখানে একটা অকৃত্রিম সহযোগিতা ও সাহায্য থাকত। রাজবন্দীদের তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত করা খাবার সাধারণ হাজতি ও কয়েদিদের যার যার ওয়ার্ড ও সেলে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। কয়েদি ও হাজতিরা ঈদে ও কোরবানিতে এই সুস্বাদু খাবার খুবই পরিতৃপ্তির সঙ্গে খেত এবং তারা প্রতিটি রাজবন্দীকেই বয়স, রাজনৈতিক পরিচয়, ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে ভীষণভাবে বিনম্র চিত্তে শ্রদ্ধা করত। ভাবীও ঈদের দিনে প্রচুর খাবার পাঠাতেন। মানিক ভাইয়ের তরফ থেকেও ঈদের দিন জেলখানায় খাবার আসত। আমার বাবাসহ অনেক রাজবন্দীর পরিবারবর্গের কাছ থেকেও প্রচুর খাবার আসত। রাজবন্দীদের যিনি প্রতিনিধি ছিলেন, বাইরে থেকে আগত খাদ্যসামগ্রী রাজবন্দীদের বিভিন্ন সেলে ফালতু, পাহারা ও মেটদের জন্য পাঠিয়ে দিতেন। ডিআইজি, জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলারসহ কারাগারের প্রায় সবাই হয় ঈদের জামাতে নতুবা বিভিন্ন স্থানে মুজিব ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করতেন। জেলখানার একটি ঈদ আমার জন্য বেদনাদায়ক, মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ছিল। সেবার কারারুদ্ধ অবস্থায় আমার মায়ের মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুশয্যায় শায়িত মাকে দেখার বা পরে মৃত মাকে দাফন করার জন্য শত চেষ্টা সত্ত্বেও আমাকে কোনো পেরোল দেওয়া হয়নি। সম্ভবত ওই ঈদের জামাতে আমি যাইনি। শৈশব, কৈশোর ও যৌবনে আমার মমতাময়ী মাকে ঘিরে বিজড়িত স্মৃতি আমার হৃদয়কে প্রচণ্ডভাবে ভারাক্রান্ত করে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আরেকটি ঈদে আমি নামাজ তো পড়িইনি (আল্লাহ আমার গুনাহ মাফ করুন), বরং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আমি একটি প্রচণ্ড উত্তেজক বক্তৃতা করে বলেছিলাম—‘ঈদের চাঁদ, তুমি আকাশের বক্ষ বিদীর্ণ করে বাংলাদেশে উদিত হইও না। আমার ধর্ষিতা বোনের বুক নিংড়ানো আর্তনাদ তোমাকে ধিক্কার দেবে, সন্তান হারানো মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ তুমি সহ্য করতে পারবে না। কোথায় দাঁড়াবে ঈদের জামাত? বাংলার মাটির সর্বত্রই তো রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। এখানে খুশির জামাত দাঁড়ানোর কোনো অবকাশ নাই।’ আমার আবেগ, আমার উচ্ছ্বাস, আমার ক্ষোভ, আমার ক্রোধ আমাকে এতখানি আচ্ছন্ন করে যে, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ভাষণে আমি তরুণ প্রজন্মকে ঈদের জামাতে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম (আবার আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইছি)।

মৌলিক অধিকার-বিবর্জিত বাংলাদেশ একটা সংকটকাল অতিক্রম করছে। আমি বিশ্বাস করি, রমজানের সম্মানের খাতিরেই সমুদ্র উপকূলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতের ভয়াবহতা থেকে মহান আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। যে জঙ্গি-সন্ত্রাস ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম, সেই আতঙ্কও এবার ঈদ-জামাতকে ঘিরে সমগ্র মানুষের। আল্লাহর কাছে আমার আকুল ফরিয়াদ, হারাম এই জঙ্গি-সন্ত্রাস থেকে আল্লাহ বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব ঈদের নামাজ আদায়কারীকে রক্ষা করবেন। আমার আরও ফরিয়াদ, বিপথগামী বিভ্রান্ত ও বিপর্যস্ত মানসিকতার যুবক, যারা বিভ্রান্তির শিকার হয়ে মানুষ হত্যা করে একটা পৈশাচিক আনন্দ ও অনৈতিক পরিতৃপ্তি লাভের ঘনঘোর অমানিশার মধ্যে নিমজ্জিত, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন। তারা আমাদের দীনের পূর্ণতা আনয়নকারী খাতেমুন্নবীর জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষাগ্রহণ করুক। এই নিবন্ধে আমি আরেকটি প্রাসঙ্গিক কথা উল্লেখ করতে চাই। জঙ্গি-সন্ত্রাস ইসলামে হারাম এটা সর্বজনবিদিত। কিন্তু এ প্রসঙ্গে জোরালো প্রতিবাদ করার ততখানি সাহস না দেখিয়ে যারা মিনমিন করে কথা বলেন, জানি না তারা জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের ব্যক্তিগত জিঘাংসায় আতঙ্কিত কি না। তারা প্রায়শ জঙ্গি-সন্ত্রাসের সঙ্গে মৌলবাদ শব্দটি সংযুক্ত করে দেন। এটা ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যাই হোক, এই সংযুক্তি বিরাট বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। মৌলবাদের অর্থ হচ্ছে—যে কোনো জিনিসের মৌল বা মূল আদর্শকে অবিকৃত ধারায় অনুসরণ করা। তাই মৌলবাদী বললে শুধু ইসলাম নয়, যে কোনো ধর্মানুরাগীর মূল বিশ্বাসের প্রতি কটাক্ষ করা হয়। এটা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত এবং পরিত্যাজ্য। এখানে উল্লেখ্য, জেহাদে কাফেরের হাত থেকে অস্ত্র পড়ে গেলে নিরস্ত্র অবস্থায় তার ওপর অস্ত্রাঘাত করা মহানবী (সা.) সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন। এই জীবনমুখী, মানবতাবাদী মূল্যবোধ ইসলামের মূল ও মৌলিক নির্দেশ। এই নির্দেশ অনুসরণ করলে এবং প্রতিটি পরিবার থেকে এটি অনুসরণের সৎ ও শাশ্বত তাগিদ থাকলে পৃথিবীজোড়া জঙ্গি ও সন্ত্রাস থেমে যেত। ঈদকে সামনে রেখে আমি পুনরুল্লেখ করতে চাই—আল-কায়েদা, তালেবান, আইএসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো ক্ষেত্রবিশেষে আমেরিকার সৃষ্টি এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এখন এদের পৃষ্ঠপোষক। অথচ দায়ভার বহন করতে হচ্ছে মুসলমানদের। মোসাদ বিভিন্ন কৌশলে মুসলিম তরুণদের বিভ্রান্ত করে একটা অনৈতিক কূপমণ্ডূকতায় তাদের মগজধোলাই করে নিরীহ মানুষের মৃত্যু ঘটাচ্ছে এবং ইসলামের নামে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তা ছাড়া মুসলমানরাই অনেক ক্ষেত্রে তাদের আক্রমণের শিকার হচ্ছে। এদের হাত থেকে মসজিদ ও ঈদের জামাতও নিরাপদ নয়। সত্যিকার ইসলামিক চিন্তার অনুসারীর দ্বারা মসজিদ ও ঈদের জামাত কখনো আক্রমণের শিকার হতে পারে না। পৃথিবীর কোনো মানুষ, বিশেষ করে মুসলমানরা তাদের এই বর্বরোচিত ইসলাম-বিরোধী কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারে না।

মহান আল্লাহ রক্ষা করেছেন, না হলে গত বছর শোলাকিয়ার ঈদের জামাতে ওদের আক্রমণটি সংঘটিত হতে পারলে যে বীভৎসতার সৃষ্টি হতো, তা ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। অন্যদিকে পৃথিবীর বিশাল পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি কী নিদারুণভাবে বিকৃত হতো, সেটি সহজেই অনুমেয়। সব মুসলমানের প্রতি আমার বিনম্র অনুরোধ—আসুন এবারের ঈদে আমরা পরম করুণাময় আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ তুলে ধরি—রমজানের সম্মানে ঈদুল ফিতরের জামাতগুলো নিরাপদ রাখার স্বার্থে ওইসব ভ্রান্ত ও ইসলামের চেতনা-বিচ্যুত সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করুন। ঈদ সব মুসলমানের জন্য আনন্দ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দের বার্তা বয়ে আনুক।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর