বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

পবিত্র শবেকদর

এ রাত হাজার মাসের চেয়ে সেরা

মহিমান্বিত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর। এই পুণ্যস্নাত রাতেই নাজিল হয়েছিল দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি পঠিত গ্রন্থ আল কোরআন। আরবি লাইল শব্দের অর্থ রাত। কদর শব্দটি আরবিতে বহুমাত্রিক অর্থে ব্যবহৃত। সম্মানিত, মর্যাদাবান, ভাগ্যনির্ধারক ইত্যাদি অভিধায় ব্যবহৃত হয় এ শব্দটি। বলা যায়, শবেকদর এসব অভিধার প্রতিটি ধারণ করছে আপন মহিমায়। মানব সমাজের পথপ্রদর্শক হিসেবে পরিচিত ঐশীগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হয়েছিল এই মহিমান্বিত রাতে। এই রাতে মানুষের ইহলৌকিক ও পারলৌকিক ভাগ্য নির্ধারিত হয়। লাইলাতুল কদর বা শবেকদর মহান স্রষ্টা আল্লাহর কাছে কতটা মর্যাদাবান তা প্রমাণিত হয় পবিত্র কোরআনে কদর নামে একটি সূরা নাজিল হওয়ার ঘটনায়। হাদিসেও এ রাতের গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে। পবিত্র কোরআনে লাইলাতুল কদরের সঠিক সময় সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। তবে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে বলা হয়েছে, রমজানের শেষ দশকের বেজোড় সংখ্যার রাতগুলোর একটি শবেকদরের মহিমান্বিত রাত। ধর্মবেত্তাদের মতে, এ রাতগুলোর মধ্যে ২৬ রমজান দিবাগত রাত শবেকদর হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আমাদের দেশে শুধু নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশের মুসলমানদের কাছে ২৬ রমজান দিবাগত রাত শবেকদর হিসেবে পালিত হয়। ইবাদত-বন্দেগিতে এ রাত কাটান বিশ্বাসী মানুষ। হাজার মাসের চেয়ে উত্তম এই মহিমান্বিত রাতে মানব জাতির জীবনবিধান আল কোরআন নাজিল হওয়ায় বিশ্বাসীদের কাছে এটি অসামান্য গুরুত্বের অধিকারী। কোরআনের শিক্ষা মানব জাতিকে সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করতে পারে। এ রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি। দেশ, জাতি এবং মুসলিম জাহানসহ মানব জাতির সুখ-শান্তি ও সৌহার্দ্যের জন্য সৃষ্টিকর্তার রহমত কামনা করতে পারি। হানাহানি ও অশান্তিতে ভরা বিশ্বে শান্তির জন্য মহান আল্লাহর কৃপার কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর