বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭ ০০:০০ টা

চাল আমদানির শুল্ক হ্রাস

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ইতিবাচক

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে ২৮ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। আশা করা হচ্ছে, সরকারের এ সিদ্ধান্ত বিদেশ থেকে চাল আমদানিতে উৎসাহ সৃষ্টি করবে। অসৎ ব্যবসায়ীরা চালের দাম আকাশচুম্বী করার যে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন তাতে বাদ সাধা সম্ভব হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত সংবাদে বলা হয়েছে, শুল্ক কমানোর ফলে চালের মূল্য দ্রুত স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে। স্মর্তব্য, চাল আমদানিতে যে ২৮ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো, তার মধ্যে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ দেশীয় শিল্প রক্ষায় রেগুলেটরি শুল্ক এবং ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। শেষোক্ত দুটি শুল্ক প্রত্যাহার করায় এখন থেকে চাল আমদানিতে শুধু ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দেশি বাজারের চেয়ে দাম অনেক কম থাকায় চাল আমদানি দেশি বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। অতিসম্প্রতি চালের দামে যে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা শুরু হয়েছে, তার পেছনে চালকল মালিকদের সিন্ডিকেট যেমন দায়ী তেমন দায়ী বৃষ্টির কারণে চাল প্রক্রিয়াজাতে বিঘ্ন হওয়ার ঘটনা। আশা করা হচ্ছে, চাল আমদানির সিদ্ধান্ত বাজার নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। দেশের হাওর এলাকার বোরো ফসলের উল্লেখযোগ্য অংশ নষ্ট হওয়ায় চালকল মালিকরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার যে কসরত করেছে তা অনাকাঙ্ক্ষিতই শুধু নয়, দুর্ভাগ্যজনক। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ অর্থাৎ আমদানি শুল্ক ১৮ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চাল নিয়ে চালবাজিতে রত অশুভ মহলের উদ্দেশ্য পণ্ড করে দেবে এমনটিই কাঙ্ক্ষিত। আমরা আশা করব, বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত চাল আমদানির পাশাপাশি আগামীতে ধান-চাল সংগ্রহে চালকল মালিকদের ওপর সরকারের নির্ভরতার অবসানেও উদ্যোগ নেওয়া হবে। চালকল মালিকদের বদলে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান-চাল কেনা এবং এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি শূন্যের পর্যায়ে কীভাবে নামিয়ে আনা যায় সে উদ্যোগ নেওয়া হবে। কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উৎপাদন করে। কিন্তু খাদ্য উৎপাদনের সুফল ভোগ করে মধ্যস্বত্বভোগী এবং অসৎ মহাজন ও চালকল মালিকরা। এ অশুভ চক্র ভাঙতেও উদ্যোগ নিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর