মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

আমেরিকা কি আরেকটি ওয়াটারগেটের অপেক্ষায়

তুষার কণা খোন্দকার

আমেরিকা কি আরেকটি ওয়াটারগেটের অপেক্ষায়

ডিজিটাল দুনিয়ায় এখন দুনিয়াটা মানুষের হাতের মুঠোয়। আর দশজন মানুষের মতো আমার মুঠো ফোনে ব্রেকিং নিউজ পাওয়ার সুযোগ রেখে গত এক বছরে আমি একটি মজার বিষয় আবিষ্কার করলাম। দুনিয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলোর মনোযোগ এখন ‘একটি বাড়ি, একটি সংবাদ’-এ আটকে গেছে। বাড়িটি আমেরিকার হোয়াইট হাউস এবং সংবাদটি সে বাড়ির মধ্যমণি ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বয়ং। গত এক বছর একটানা তার সংবাদ পড়ে আমার মনে হয়েছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারার ওস্তাদ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরেও তিনি যা মুখে আসে তাই বলেন এবং যখন যা মনে চায় তাই টুইট করেন। গত বছর নভেম্বর মাসে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে আবোল-তাবোল টুইট করে অনর্গল লোক হাসাতে থাকলে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনের দুঃখে বলেছিলেন, ‘ট্রাম্পের এখন সাবালক হওয়ার সময় হয়েছে’। তিনি ভেবেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প এতকাল যাই করেন না কেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে তিনি নিশ্চয়ই দেশের মান সম্মানের স্বার্থে নিজেকে সংযত করবেন। যখন যা মন চায় তাই বলে বেড়ানোর খেয়ালখুশি ত্যাগ করে তিনি দায়িত্বশীল আচরণ করবেন বলে বাইডেন আশা করেছিলেন। কিন্তু অবস্থা গতিকে মনে হচ্ছে জো বাইডেনের উপদেশ পানিতে গেছে। ট্রাম্প সংযত হওয়ার বদলে আরও যেন উড়নচণ্ডী আচরণ শুরু করেছেন। ইংরেজি প্রবাদে বলে, বুড়া কুকুর শিকার শেখে না। বাংলা প্রবাদ আরও জুৎসই। আমরা বলি, যা হয় না নয়ে তা হয় না নব্বইয়ে। জো বাইডেন এবং আমেরিকার জনগণ এত দিনে নিশ্চয়ই বুঝে ফেলেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নব্বইয়েও সাবালক হবেন না। সবাই আশা করেছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী চার বছরের জন্য তার ছেলেমি বন্ধ করে একজন প্রেসিডেন্টের মতো আচরণ করবেন। কিন্তু ট্রাম্পের আচরণের মধ্যে সাবালকত্বের লক্ষণ এখনো দেখা যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও তিনি ১১ বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে পাল্লা ধরে সমানে টুইট করে চলেছেন। হোয়াইট হাউসে তার নিজের লোকজন তাকে টুইট করা বন্ধ করতে বললে তিনি তেড়িয়া হয়ে বলেছেন, আমি অবশ্যই টুইট করব। টুইট করার মধ্য দিয়ে আমি আমার ভোটারদের আমার মনের কথা সরাসরি বলতে পারি। এমন সুযোগ আমি ছাড়ব কেন? সমর্থকদের কাছে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়ে ট্রাম্প একনাগাড়ে টুইট করে সমর্থকদের মনের কাছে ভিড়ছেন নাকি তার টুইটের ঠেলায় সমর্থকদের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হচ্ছে সেটিও তিনি ভেবে দেখছেন বলে মনে হচ্ছে না। 

ট্রাম্প গণমাধ্যমকে বিশ্বাস করেন না। আরও নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে বলতে হয় নির্বাচিত হওয়ার আগে থেকেই গণমাধ্যমের সঙ্গে তার বিদ্বেষের সম্পর্ক। রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন লাভের দৌড় শুরু করার পর থেকেই পত্রিকার পাতায় তার বিরুদ্ধে ক্রমাগত নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হচ্ছে। পত্রিকার পাতায় ছাপা হওয়া খবরগুলো এ মুহূর্তে ট্রাম্পের তাচ্ছিল্যের বিষয় হতে পারে তবে একদিন এ খবরগুলো বিষাক্ত সাপ হয়ে তাকে ছোবল মারবে এতে আমার কোনো সন্দেহ নেই। তিনি টের পান আর না পান, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, খবরের কাগজের প্রতিটি খবর তার প্রেসিডেন্ট পদকে নড়বড় করে তুলছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচন পরিচালনা অফিসের তথ্যভাণ্ডারে রাশিয়ানরা ঢুকে পড়েছিল। ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচন পরিচালনার নীতিকৌশল জেনে নিয়ে রাশিয়ানরা নিশ্চয়ই ডেমোক্র্যাটদের জেতানোর জন্য চেষ্টা করেনি। গত নভেম্বরের নির্বাচনে রাশিয়ানরা প্রকাশ্যেই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছিল। দুনিয়ার সব মানুষ বিশ্বাস করে, রাশিয়ানরা রিপাবলিকান প্রার্থীকে জেতানোর জন্য ডেমোক্র্যাটদের তথ্য চুরি করেছিল। রাশিয়ানরা ট্রাম্পকে জেতানোর জন্য ট্রাম্পের অগোচরে, ট্রাম্পের বিনা সম্মতিতে এটি করেছে এ কথা কে বিশ্বাস করবে। ডেমোক্র্যাট শিবিরের নির্বাচনী প্রচারে হানা দেওয়ার ধরন দেখে আমেকাির রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির কথা মনে পড়ল। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির কথা কি আমেরিকাবাসীর মনে আছে? বিশ্ববাসী, যারা সে সময় সকাল বেলা পত্রিকার পাতা খুলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কপালে কী দুর্গতি ঘটল সেটা আগ্রহভরে জেনে নিয়ে দিন শুরু করতেন তারা নিশ্চয়ই এখন ট্রাম্পের ভাগ্যে কী ঘটে সে ব্যাপারে অনেক কিছু আঁচ করতে শুরু করেছেন। ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরে অনেক বছর কেটে গেছে সেজন্য ঘটনাটি একটু ভেঙে বলছি। ১৯৭২ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য রিপাবলিকান নেতা রিচার্ড নিক্সন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। নির্বাচনে জেতার জন্য তার লোকজন ওয়াশিংটনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ওয়াটারগেট হেড অফিসের ডকুমেন্ট চুরি করেছিল। এরপর সে বছর নভেম্বর মাসে নিক্সন নির্বাচনে বিপুল বিজয় পাওয়ার পরে ওয়াশিংটন পোস্টের দুই সাংবাদিক ওয়াটারগেট অফিসের চুরির বিষয়টি নিয়ে তথ্য তালাশ করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, নিক্সন এবং তার নির্বাচনী সহযোগীরা ডেমোক্র্যাটদের নির্বাচনী তথ্য চুরি করে নিক্সনের জেতার পথ সুগম করেছে। তদন্তের শুরুতে নিক্সন সাধু সাজার জন্য যা কিছু করণীয় তার সবই করেছিল। কিন্তু গোয়েন্দারা তদন্ত করতে গিয়ে দেখে ওয়াটারগেট অফিসে যে ছিঁচকে চোররা চুরি করেছে তাদের কাছে হোয়াইট হাউসের ফোন নম্বর আছে। বেচারা নিক্সনের সে সময়ের অবস্থা ভেবে দেখুন। ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান দুই দলের লোকজন নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বলার পরেও নিক্সন গদির পায়া আঁকড়ে দুই বছর লটকে ছিলেন। কিন্তু বেচারার শেষ রক্ষা হলো না। নিক্সনকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইমপিচ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেলে ১৯৭৪ সালে তিনি পদত্যাগ করে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ডের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়েছিলেন। গত নভেম্বর মাসে আমেরিকার নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী শিবিরের তথ্যভাণ্ডার চুরি করা হয়েছে। তথ্যভাণ্ডার চুরি করার কলাকৌশল এখন আর নিক্সন আমলের মতো হার্ড কপির ঝামেলায় আটকে নেই। ডিজিটাল পৃথিবীতে কারও তথ্যভাণ্ডার চুরি করতে চাইলে কোনো অফিসের তালা ভাঙার প্রয়োজন হয় না। ডিজিটাল বিদ্যা কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের কম্পিউটারে ঢুকে পড়ার ফন্দি ফিকির জানা থাকলে রাশিয়ায় বসেও শত্রুপক্ষের সব তথ্য জেনে নেওয়া কোনো বিষয় নয়। 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রাশিয়ার এমন একটি বেআইনি কাজে কতখানি জড়িত ছিলেন সেটি খতিয়ে দেখতে শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু হতেই ট্রাম্পের মাথাটা বিগড়ে গেছে। মে মাসের ৯ তারিখে তিনি এফবিআইএর ডিরেক্টর জেমস কমিকে বরখাস্ত করে ভয়ানক ভুলের গ্যাঁড়াকলে আটকে গেছেন। জেমস কমি অভিজ্ঞ ফৌজদারি আইনজীবী। ১৯৯২ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন পত্রিকায় খবর চাউর হয়েছিল যে, বিল ক্লিনটন এবং তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটন হোয়াইট ওয়াটার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আরকানসাসের গভর্নর থাককালীন তিনি একটি লোন মঞ্জুর করানোর ব্যাপারে অন্যায় প্রভাব খাটিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় গঠিত সিনেট কমিটির বিশেষ কাউন্সিলর হিসেবে কমি কাজ করেছিলেন। ক্লিনটন দম্পতির বিরুদ্ধে ওঠা এ অভিযোগের তদন্ত অনেকদূর এগিয়েছিল। তদন্ত চলাকালীন হোয়াইট হাউসের ইন্টার্নি মনিকা লিউনেস্কির সঙ্গে ক্লিনটনের অবৈধ সম্পর্কের বিষয় নিয়ে প্রবল ডামাডোল শুরু হওয়ায় হোয়াইট ওয়াটার কেলেঙ্কারি ধামাচাপা পড়ে যায়। আমার মনে হয়, একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী এবং এবং এফবিআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকারী কমির সঙ্গে ট্রাম্পের এত বাড়াবাড়ি করা উচিত হয়নি। এদিকে নিদান যদি ঘনিয়ে আসে তখন ট্রাম্পের পাশে দাঁড়ানোর মতো অভিজ্ঞ কোনো রিপাবলিকান হোয়াইট হাউসের আঙ্গিনায় ঢুকতে পারছে বলে মনে হয় না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে হোয়াইট হাউসের প্রশাসনিক ট্রাম্প পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়ে নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে তার মেয়ে ইভাঙ্কা এবং জামাই ইয়ারেদ কুশনারের রাজত্ব চলছে। ট্রাম্পের জামাই ইয়ারেদ কুশনার দারুণ ভাগ্যবান এক যুবক। ওবামা প্রশাসনের শুরুতে ভ্যালেরি জ্যারেটের মতো অভিজ্ঞ মানুষ যে সিনিয়র অ্যাডভাইজার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন কুশনার মাত্র ৩২ বছর বয়সে কোনোরকম প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই ট্রাম্পের জামাই হিসেবে সেই পদে নিয়োগ পেয়েছেন। কুশনারের দাদা-দাদি বেলারুশের ইহুদি পরিবার। হিটলারের কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়ে যুদ্ধ শেষে উনারা আমেরিকায় চলে এসেছিলেন। কুশনারের বাবা ট্রাম্পের মতোই রিয়েল এস্টেট ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের পেছনে এ যুবকের হাত আছে বলে অভিযোগের তীর তার দিকেই উঠেছে। ট্রাম্প তার জামাই কুশনারের বিরুদ্ধে কার্যকর কিছু করতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে না। কুশনার ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার স্বামী বলে হোয়াইট হাউসে ঘরজামাই হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন আমি তা বিশ্বাস করি না। আমেরিকার সমাজে জামাই শ্বশুর সম্পর্কের এক পয়সাও দাম নেই। কুশনার ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কাকে বিয়ে করে তার জামাই হয়েছেন। আগামীকাল ইভাঙ্কার সঙ্গে কুশনারের সম্পর্ক কোন দিকে মোড় নেবে সে কথা কে বলতে পারে। কুশনারের শ্বশুর ট্রাম্পের দাম্পত্য জীবনের দিকে চেয়ে দেখুন। উনি নিজেও বর্তমানে তিন নম্বর স্ত্রীর সঙ্গে মহাসুখে দিন গুজরান করছেন। আমেরিকার প্রশাসনে কুশনার এত প্রভাবশালী হয়ে ওঠার পেছনে জামাই-শ্বশুর সম্পর্কের কোনো প্রভাব নেই, তবে কোন পরিচয়ের প্রভাবে কুশনার এত প্রভাবশালী সেটি দুনিয়াবাসী ভালো করেই বোঝে। কোন ক্ষমতাবলে কুশনার এখন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনার দায়িত্ব পেয়েছেন সেটি কারও অজানা থাকার কথা নয়। কুশনারের মতো অনভিজ্ঞ ঘরজামাই রক্তাক্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনবে এমনটি বিশ্বাস করা দুনিয়ায় অষ্টম আশ্চর্য বিষয়।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনার জন্য ১৯৬৭ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ২৪২ নম্বর রেজিলিউশন আজও বাস্তবতার মুখ দেখেনি। ১৯৭৮ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মধ্যস্থতায় মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনাশেম বেগিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক ক্যাম্পডেভিড চুক্তির কোন শর্তটি আলোর মুখ দেখেছে? এরপর ১৯৯৩ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন মধ্যস্থতা করে প্যালেস্টাইনি নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজাক রবিনের মধ্যে অসলো চুক্তি সই করিয়ে দিয়েছিলেন। এত বছরে সে সব চুক্তিপত্রের লেখাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের রক্তে ধুয়ে-মুছে গেছে। কাজেই এখন প্রেসিডেন্ট নয় প্রেসিডেন্টের ঘরজামাই কুশনার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পেয়েছেন। আমি ভাবছি, ভূমধ্য সাগরে যখন জল ছিল তখন আমেরিকার শক্তিমান দুই প্রেসিডেন্ট কার্টার-ক্লিনটন তার অতলে তলিয়ে গেলেন। এখন ভূমধ্য সাগরে জল নেই। ওটি রক্তে ভেসে গেছে। কুশনারের মতো অনভিজ্ঞ যুবক ওখানে গিয়ে মধ্যপ্রাচ্যবাসীর সঙ্গে শান্তির নামে নতুন কি মশকরা শুরু করার যোগ্যতা রাখেন সেটি আমার মাথায় ঢুকছে না। জুন মাসের ২০ তারিখে আমার মুঠোফোনে আসা ব্রেকিং নিউজে একটি জরিপের ফলাফল জানতে পারলাম। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ইদানীং আমেরিকার রাজনীতি তার সভ্য রূপ হারিয়ে স্রেফ কাদা ছোড়াছুড়িতে পরিণত হয়েছে। আমি আশা করি, আমেরিকার রাজনীতি পুরোপুরি কলুষিত হওয়ার আগে আমেরিকাবাসী তাদের প্রেসিডেন্টের ব্যাপারে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবে। আমেরিকাবাসী সঠিক একটি সিদ্ধান্ত নিলে দুনিয়ায় শান্তি ফিরে না এলেও দুনিয়াবাসী কিছুটা স্বস্তি ফিরে পাবে।

     লেখক : কথাসাহিত্যিক।

সর্বশেষ খবর