শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭ ০০:০০ টা

ধ্বংসের দুয়ারে পাহাড়-পাহাড়ি-বাঙালি

তুষার কণা খোন্দকার

ধ্বংসের দুয়ারে পাহাড়-পাহাড়ি-বাঙালি

সমতলের বাসিন্দারা তাদের বসবাসের স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে যে ছবি কল্পনা করে, সেটি দিগন্তজোড়া ফসলি মাঠের কিনার ঘেঁষে সবুজ গাছপালা ঘেরা গ্রাম। ফসলি মাঠের কাছাকাছি নদী-নালা কিংবা ছোট-বড় কোনো খাল-বিল থাকবে; যেখান থেকে চাষাবাদের পানির জোগান আসবে। সাধারণ মানুষের কল্পনা দিগন্ত পর্যন্ত সবুজ সমতলের মধ্যে এতকাল সীমাবদ্ধ ছিল। সমতলবাসী সাধারণ মানুষ বসবাসের এই বৃত্তের পরিধি বাড়িয়ে পাহাড় পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা কখনো ভেবেছে বলে আমার মনে হয় না। মানুষ তার বসবাসের জায়গার সীমা মানত বলে পাহাড় পাহাড়ের জায়গায় তার নিজস্ব জনপদ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল; সমতল সমতলের বাসিন্দাদের ভরণ-পোষণের জোগান দিয়ে নিজের আদলে টিকে ছিল। গ্রামের সমাজে টেলিভিশনের চল শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশের সমতলের বাসিন্দারা ভূগোলের বই পড়ে জানত দেশের দূর প্রান্তে সিলেট, চট্টগ্রাম কিংবা পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলায় পাহাড় আছে এবং সেসব পাহাড়ে বেশকিছু উপজাতি বাস করে। সমতলের সাধারণ মানুষের কাছে পাহাড়িদের জীবন-জীবিকা ছিল রূপকথার গল্পের মতো অধরা-অজানা একটা জগৎ। পাহাড়ে যেসব উপজাতি বাস করে তারা কীভাবে চাষাবাদ করে; কিংবা কোন উৎস থেকে তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান আসে, সে সম্পর্কে সমতলের বাসিন্দাদের কোনো ধারণা ছিল না। পাহাড়ে মানুষ কষ্টে আছে, নাকি সেখানে হীরার গাছে মতির ফুল ঝুলছে সেটা নিয়ে সমতলের কেউ মাথা ঘামাত না। কারণ তারা জানত, মানুষ প্রকৃতির নিয়মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে ভালো থাকে। চৈত্র-বৈশাখ মাসে সমতলের কৃষকের খেতের ফসল খরার তাপে পুড়ে যাওয়ার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই কালবৈশাখীতে তাদের বসতঘর পড়ে যেত। বাঁশের ঠেকা দিয়ে বসতঘর সোজা করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে বন্যার পানিতে তাদের ঘর-আঙিনা সব তলিয়ে যেত। তবুও সমতলের মানুষ খরা-বন্যা-ঝড় সবকিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের সুখ-দুঃখ নিয়ে বেঁচে ছিল। তারা জানত যে, মানুষ যে মাটিতে জন্মেছে, সে সেখানে বাস করবে—এটাই স্বাভাবিক। পাহাড়ের মানুষ জানত তারা পাহাড়ে জন্মেছে। পাহাড়কে আশ্রয় করে তাদের চিরায়ত জীবন-জীবিকা নিয়ে তারা তুষ্ট ছিল। অর্থাৎ মানুষ বিশ্বাস করত, বন্যেরা বনে সুন্দর শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।

আমাদের দেশের ভূমির মানচিত্রে পাহাড়ের দখল খুব সামান্য বরং সমতল ভূমি প্রায় সবটুকু। বাংলাদেশের মূল ধারার বাঙালি সমাজ সমতলের বাসিন্দা। সমতলে যারা অল্প কিংবা বেশি জমির মালিক তাদের অনেকে নিজেদের বসবাসের এলাকার মধ্যে আরও জমির মালিক হতে চায়। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী তারা যদি আরও জমির মালিক হতে চায় এবং আইন মেনে ন্যায্য উপায়ে সেটি হতে পারে তাতে কারও কোনো ক্ষতি নেই। বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে আইনসঙ্গত পথে প্রতিদিন জমির মালিকানা বদল হচ্ছে। শুধু যে জমির মালিকানা বদল হচ্ছে তা নয়; এখানে প্রতিনিয়ত জমির ব্যবহারও পাল্টে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে মানুষের বসবাসের জায়গার প্রয়োজন বাড়ছে। প্রয়োজনের তাগিদে মানুষ কৃষি জমির আদল পাল্টে বসতবাড়ি গড়তে বাধ্য হচ্ছে। প্রাকৃতিক নিয়মে জমির হাতবদল কিংবা তার ব্যবহারের ধরন অদলবদল হলে তাতে সামাজিক কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা দেয় এমনটি সত্য নয়।

প্রকৃতির শৃঙ্খলা ভাঙলে কিংবা প্রকৃতির নিয়মকে পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রকৃতি সেটাকে মানুষের ঔদ্ধত্য হিসেবে দেখে। কিছু মানুষের ঔদ্ধত্যের দায়ে প্রকৃতিতে যে বিপর্যয় ঘটে তাতে অনেক মানুষকে চরম মূল্য দিতে হয়। বাংলাদেশে কিছু মানুষের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত হিসেবে পাহাড়ধসে অনেক মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। ১৯৭৯ সালে দেশের সামরিক শাসকরা সমতলের চার-পাঁচ লাখ ভূমিহীন মানুষকে পাহাড়ে নির্বাসন দিয়ে ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল। ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের নামে মানুষগুলোকে তাদের প্রাকৃতিক আবাস থেকে তাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ে চড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এমন একটি গুরুতর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সামরিক শাসকরা তাদের পরিকল্পনার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের তাগিদ বোধ করেনি। সমতলের মানুষকে নিয়ে গিয়ে পাহাড়ে চড়িয়ে দিলে তার ফলাফল কী হতে পারে সামরিক শাসকরা সে বিষয়ে কোনো সমীক্ষা করল না। সমতলের মানুষগুলোকে পুনর্বাসনের নামে পাহাড়ে চড়িয়ে দিলে তাদের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার জোগান কোথা থেকে আসবে; তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ কোথায় পাবে; কিংবা মানুষগুলো পাহাড়ের রোগ-বালাইয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেঁচে থাকতে পারবে কি না—সেসব মৌলিক প্রশ্নের জবাব না খুঁজে এতগুলো মানুষকে নিয়ে গিয়ে পাহাড়ের চড়াই উতরাইয়ে ছড়িয়ে দেওয়া হলো। ১৯৭৯ সালে শুরু হওয়া প্রক্রিয়ার জের ধরে চার-পাঁচ লাখ মানুষের পেছন পেছন এত দিনে আরও কত লাখ সমতলবাসী গিয়ে পাহাড়ে উঠে পড়েছে কে জানে? সমতলের মানুষকে তাদের বসবাসের সীমানা পার করে পাহাড়ে নিয়ে বসতি করতে দেওয়ায় পাহাড়ের চরিত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। সমতলের মানুষ পাহাড়ি জীবন সম্পর্কে অজ্ঞ বললে অল্প বলা হয় বরং বলতে হবে পাহাড়ের জীবন সম্পর্কে তারা আকাট মূর্খ। সমতলের বাসিন্দাদের কাছে পাহাড় একটা অচেনা দুনিয়া। পাহাড়কে সঠিক নিয়মে ব্যবহার করে পাহাড়ের নিয়মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেখানে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয় সে কথা পাহাড়ে নবাগত সমতলের বাসিন্দাদের জানার কথা নয়। কাজেই সমতলের মানুষ যখন পাহাড়ে বাস করতে গেল তখন তারা পাহাড়কে খামচে-খুবলে তাকে সমতলের আদল দিতে উঠে পড়ে লাগল। ভাবল, পাহাড়গুলো বড় বেশি উঁচু। এগুলোকে কেটেকুটে সমান করে নিতে পারলে ধান-পাট ফলানো যাবে। অথচ এদের বিপরীতে আজন্ম পাহাড়ি মানুষগুলোর কাছে পাহাড় তাদের মায়ের মতো। পুরুষানুক্রমে পাহাড়ি মানুষগুলো পাহাড়ের প্রকৃতিকে তারা তাদের মায়ের মতো আগলে রেখেছে কারণ পাহাড় তাদের জীবন-জীবিকার উৎস। অথচ দেশের নোংরা রাজনীতির মারপ্যাঁচে পড়ে পাহাড়ের সন্তান আদিবাসীরা মরতে বসেছে। এদিকে সমতল থেকে গিয়ে পাহাড়ে বসতি করা উদ্বাস্তুরা কেউ মরছে অসুখে ভুগে কেউ মরছে পাহাড়ধসে। পাহাড়ি বাঙালি সবাই এখন দুর্দশার শেষ সীমায় পৌঁছেছে। পাহাড় নিজেও এখন মৃত্যুর মুখে। কিন্তু পাহাড়ের মৃত্যু মানুষের মৃত্যুর মতো অত সহজ নয়। পাহাড় প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতি ধৈর্যশীল; তবে ক্ষমাশীল নয়। প্রকৃতি দীর্ঘ-সুদীর্ঘ সময় মানুষের অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করার পরে এক সময় প্রতিশোধের জিঘাংসা নিয়ে জেগে ওঠে। বাংলাদেশের পাহাড় অনেক সহ্য করেছে। এবার তার নির্মম প্রতিশোধ নেওয়ার পালা। পাহাড় অনাহূত মানুষের বেপরোয়া অত্যাচার আর কত সইবে! বন উজাড় করে পাহাড়ের বুক যারা উদাম করে দিয়েছে পাহাড় এখন গড়িয়ে পড়ে তাদের জ্যান্ত চাপা দিয়ে দিচ্ছে। বাস্তব পরিস্থিতি দিনকে দিন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। পাহাড়ধস থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসনের লোকজন পাহাড়ের আশপাশে গিয়ে মাইকিং করতে ভয় পায়। ভাবে, উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো এই বুঝি হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে তাদের হাজার টন মাটির তলে চাপা দিয়ে দিল।

চোখের সামনে মানুষ ধ্বংসের তাণ্ডব দেখছে আর ভাবছে পাহাড়ি-বাঙালি সব মানুষের এমন সীমাহীন দুর্গতির দায় কার? দুর্গতির দায় নির্ধারণের প্রসঙ্গ এলে ১৯৭৯ সালে ফিরে যেতে হয়। সে সময়ের সামরিক শাসকরা রাতারাতি রাজনীতিক বনতে গিয়ে দেশে যে কত ধরনের বিপত্তি ঘটিয়েছে এটি বলে শেষ করা যাবে না। সত্যি কথা বলতে কী, সামরিক শাসকরা রাজনীতিক বনতে গিয়ে মানুষকে কত রঙের চটক দেখাতে পারে সেটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা জেনারেশন আজকের দিনে কল্পনা করতে পারবে না। সামরিক শাসকরা গায়ের জোরে গদি দখল করে দেখাতে চাইত, সিভিল শাসকরা অযোগ্য। তারা দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান দিতে পারে না। স্বাধীনতার পরে দেশে ভূমিহীন সমস্যা বেশ জোরালো আলোচনায় ছিল। সামরিক শাসকরা ভূমিহীন সমস্যার সমাধানের নামে সমতলের ভূমিহীনদের জন্য বান্দরবান-রাঙামাটির পাহাড় বরাদ্দ করেছিল। জনগণকে তারা বলতে চেয়েছিল, দেখ, আমরা সামরিক শাসকরা কেমন তেলেসমাতি জানি। আমরা ঝটকা মেরে রাতারাতি সব সমস্যার সমাধান করে ফেলি। আজ দেখুন, ভূমিহীন সমস্যা সমাধানের সামরিক আইন মডেলের কী পরিণাম। সামরিক শাসকদের হঠকারী অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের জের ধরে পাহাড়ের গোড়ায়-গায়ে বসবাসকারী শত শত মানুষ এখন কাদামাটির তলে চাপা পড়ে মরছে।

সমতল থেকে যাদের নিয়ে গিয়ে পাহাড়ে বসতি করতে দেওয়া হয়েছে তারা পাহাড়কে বাঁচিয়ে রেখে সেখান থেকে বেঁচে থাকার উপকরণ সংগ্রহ করার কায়দা-কানুন জানে না। সমতলের মানুষ জানে না পাহাড়কে বাঁচিয়ে রেখে পাহাড়ের প্রকৃতির সঙ্গে মিশে নিজেরা কী করে বেঁচে থাকতে হয়। কাজেই সমতলের মানুষগুলো পাহাড়ের গা খুবলে গাছপালা কেটে পাহাড়গুলোর দাঁড়িয়ে থাকার শক্তি নষ্ট করে দিয়েছে। সমতলের বাসিন্দারা পাহাড়ের প্রকৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। যে পাহাড়ের গোড়ায় ওরা ঘর বেঁধে বাস করে, সেই পাহাড়ের গা উজাড় করে গাছ কেটে নিলে তার পরিণাম কী হতে পারে সেটি সমতলের মানুষের জানার কথা নয়। গত কয়েক বছর পাহাড়ধসের খবর আমাদের নতুন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষা-বাদল শুরু হতেই ভূমিধসে শত শত মানুষ মরতে শুরু করেছে। পাহাড়ের কোলে বসবাসকারী মানুষের মৃত্যুর মিছিল থামানোর উপায় নিয়ে সরকার কী ভাবছে আমরা জানি না। কিন্তু এখনো উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে সর্বনাশ ফেরানোর উপায় হাতছাড়া হয়ে যাবে।

এক সময় এই দেশে একেকটা ঘূর্ণিঝড়ে লাখ লাখ মানুষ মারা পড়েছে। সাগরপারের মানুষগুলো এখন ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব সামাল দিয়ে বেঁচে থাকতে শিখেছে। গত পাঁচ-ছয় দশক ধরে সরকার এবং রেডক্রস সোসাইটির আন্তরিক চেষ্টার ফলে উপকূলের বাসিন্দাদের জীবনে ঘূর্ণিঝড় আর আগের মতো মরণঘাতী কোনো দুর্যোগ নয়। সরকার আন্তরিক হলে সমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য দেশের মানুষকে সক্ষম করে তুলতে পারে। বাংলাদেশে এটি প্রমাণিত সত্য। আমাদের দেশে এখন এক বছরে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে যত মানুষ মারা যায় তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। বাংলাদেশে ভূমিধসে মানুষের মৃত্যু আমাদের নিজেদের হাতে তৈরি আরেকটি বিপদ। পুরনো কাসুন্দি গেয়ে বর্তমান সমস্যা থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া যাবে না। সামরিক সরকার অপরিণামদর্শী ছিল, তারা আহাম্মকের কাজ করেছে। আহাম্মকের কাজ করতে তাদের কোনো বাধা ছিল না। কারণ তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ছিল না। সামরিক শাসনের অবসানের পর প্রায় ২৫ বছর ধরে দেশে সিভিল সরকার ক্ষমতায় থাকছে অথচ তারা কেউ পাহাড়-পাহাড়ি-বাঙালি সবার সমস্যা সমাধানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিল না। আমাদের চোখের সামনে পাহাড় ধ্বংস হচ্ছে। পাহাড় ধ্বংস হওয়ায় পাহাড়ি মানুষ তাদের বাসস্থান এবং জীবন-জীবিকার উৎস হারাচ্ছে। পাহাড়ে বাস করতে যাওয়া পাহাড় সম্পর্কে অনভিজ্ঞ বাঙালিরা মাটিচাপা পড়ে জিন্দা কবরবাসী হচ্ছে। অথচ সমস্যা সমাধানের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো চোখে পড়ছে না। আমরা দেখছি, সরকার শুকনা মৌসুমে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে আর বর্ষা মৌসুমে মাইক মেরে মানুষকে পাহাড়ের গোড়া থেকে সরে যেতে বলার মধ্যে তার দায়িত্ব শেষ করছে। আশ্রয়কেন্দ্র খুলে, রিলিফ দিয়ে আর মাইক মেরে পাহাড়ধসের মতো ভয়ঙ্কর সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা আশা করি, পাহাড়-পাহাড়ি-বাঙালি সবাই মারা পড়ার মতো সর্বগ্রাসী দুর্যোগ শুরু হওয়ার আগেই সরকার পাহাড়ধস সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেবে।

     লেখক : কথাসাহিত্যিক।

সর্বশেষ খবর