শিরোনাম
শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

মংলা-খুলনা রেলপথ

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সৃষ্টি করবে

বন্দর সমস্যায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ-জট নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। জাহাজ-জটের কারণে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মারাত্মকভাবে। বিদেশি ক্রেতারা সময়মতো তাদের অর্ডার দেওয়া পণ্য বুঝে পাবেন কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। বাংলাদেশ তাদের প্রথম পছন্দ হলেও তারা অনিশ্চয়তার কারণে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর দিকে ঝুঁকছেন। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ-জট নিত্যদিনের ঘটনা হলেও মংলা বন্দরে বিরাজ করে ভিন্ন বাস্তবতা। যোগাযোগব্যবস্থার প্রতিকূলতার কারণে এ বন্দর ব্যবহারে ব্যবসায়ীরা উৎসাহী না হওয়ায় মংলার সম্ভাবনা কাজে লাগানো কঠিন হয়ে পড়ছে। পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে মংলার যোগাযোগ সহজ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। খুলনা-মংলা রেলপথ এ ক্ষেত্রে সোনায় সোহাগা হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মংলা রেলপথটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে রূপসা রেলসেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৬ কোটি টাকা। ২০১০ সালে অনুমোদিত এ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ ও ১৪ কিলোমিটার রেলপথের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। অবশিষ্ট রেলপথের মাটি ভরাটের কাজও শুরু হয়েছে। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসন অ্যান্ড টার্বো লিমিটেড ৫ দশমিক ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ রূপসা রেলসেতুর কাজ শুরু করেছে। খুলনা শহরতলির লবণচোরা পয়েন্ট দিয়ে রূপসা রেলসেতুর পিলার স্থাপনের কাজ পুরোদমে চলছে। একই সঙ্গে এ রেলপথে ২১টি ছোট-বড় ব্রিজ ও ১১০টি কালভার্ট নির্মাণের কাজও চলছে। ২০১৮ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগে বিলম্বের কারণে ২০১৯ সালে শেষ হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে এক বছরের মধ্যে রেলসেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগিয়ে চললে আগামী দুই বছরের মধ্যেই রূপসা রেলসেতু এবং খুলনা-মংলা রেলপথ নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। সময়মতো এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হবে এমনটিও কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর