মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড

এ রায় অভিনন্দনযোগ্য

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে শক্তিশালী বোমা পুঁতে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন এবং তিনজনকে ১৪ বছর কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। রবিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মমতাজ বেগম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের গুলি করে দণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই ট্রাইব্যুনালে একই সময়ে গোপালগঞ্জ শহরের একটি বাড়ি থেকে বোমা ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের আরেক মামলায় নয় আসামিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এযাবৎ চারবার হত্যার চেষ্টা চলেছে। এ অপচেষ্টার সঙ্গে জড়িত ছিল হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি-বি) নামের জঙ্গি সংগঠন। এ জঙ্গি দলের প্রধান মুফতি হান্নান ছিলেন হত্যা ষড়যন্ত্রের মূল হোতা। প্রথম হত্যা অপচেষ্টা মামলার বিচারের রায় দেওয়া হলো দীর্ঘ ১৭ বছর পর। মামলার রায়ে অভিযুক্তদের উচিত সাজাই দেওয়া হয়েছে। তবে এ মামলার তদন্ত ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতা দুর্ভাগ্যজনক। দেশের প্রধানমন্ত্রীর হত্যা অপচেষ্টার মতো স্পর্শকাতর মামলার তদন্ত এবং বিচারে ১৭ বছর কেটে যাওয়া কাম্য ছিল না। এ হত্যা অপচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী মুফতি হান্নান অবশ্য অন্য এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ বছরের ১২ এপ্রিল তার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় তাকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়। কোটালীপাড়ার জনসভাস্থলে শক্তিশালী বোমা পেতে রাখা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে। সে বোমা বিস্ফোরিত হলে শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, শত শত মানুষের জীবন সংহারেরও আশঙ্কা ছিল। এ ক্ষেত্রে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই প্রাপ্য ছিল এবং ঢাকায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিজ্ঞ বিচারকের রায়ে সে বিষয়টিই নিশ্চিত হয়েছে। আমরা আশা করব, এ রায় দ্রুত বাস্তবায়নেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ২১ আগস্টসহ অন্যসব স্পর্শকাতর মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিও কাম্য। হত্যা ষড়যন্ত্রের মতো অপরাধ সংঘটনে কেউ যাতে সাহস না পায় তা নিশ্চিত করতেই দ্রুত বিচারের বিষয়টি জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর