শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

হাইড্রোলিক হর্ন নিষিদ্ধ

শব্দদূষণ থেকে রক্ষা পাক নগরবাসী

শব্দদূষণের বিভীষিকা বন্ধে কড়া নির্দেশই দিয়েছে হাই কোর্ট। গত বুধবার যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ ২৭ আগস্টের পর কোনো যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো হলে গাড়িসহ জব্দ করতে ঢাকার পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) ও ডিএমপি, চার বিভাগের ট্রাফিকের ডেপুটি কমিশনারসহ ঢাকার ২০ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ এ রিট আবেদন করেন এবং হাই কোর্টের এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়, ঢাকার রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনে হাইড্রোলিক হর্নের ব্যবহার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এ বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে। পুলিশ প্রধান, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি (হাইওয়ে), যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে বাজারে থাকা সব হাইড্রোলিক হর্ন আগামী সাত দিনের মধ্যে জব্দ করে চার সপ্তাহের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে। বাংলাদেশে শব্দদূষণে ক্ষতিকর ভূমিকা রাখছে যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন। মোটরযান বিধিমালার ১১৪ বিধিতে উচ্চ শব্দযুক্ত হর্ন ব্যবহারে বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও তা মানার তেমন গরজই দেখায়নি গাড়ির মালিক ও চালকরা। হাইড্রোলিক হর্নের বিকট শব্দ শিশু এবং বৃদ্ধদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ বলে বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও তা বন্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পদক্ষেপ ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, গত এক বছরে তারা ১০ হাজার হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করেছেন। শব্দদূষণ সৃষ্টিকারী হাইড্রোলিক হর্নের অবাধ বেচাকেনা এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে চালকদের অজ্ঞতার কারণে এর ব্যবহার বন্ধে এ যাবৎ তেমন কোনো সাফল্য আসেনি। আশা করা হচ্ছে হাইড্রোলিক হর্ন গাড়িসহ জব্দ করার নির্দেশ যানবাহন মালিক ও চালকদের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙাতে সাহায্য করবে। নিষিদ্ধ এ হর্ন ব্যবহারের পথ থেকে তারা সরে আসবে।  তবে এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশ পালনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকেও আন্তরিক হতে হবে।  নাগরিকদের শব্দদূষণ থেকে রক্ষায় আইন প্রয়োগকারীদের সদিচ্ছার বিষয়টি খুবই জরুরি।

সর্বশেষ খবর