রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

মহাসড়কে যানজটের দাপট

ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে নজর দিন

ঈদে ঘরমুখো মানুষকে এবার বাড়তি কষ্টের মুখে পড়তে হচ্ছে। দেশের দুটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে দুর্বিষহ যানজটের শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার যাত্রী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে পাঁচ দিন ধরে নজিরবিহীন যানজটে যাত্রীদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া যানজট গতকাল গভীর রাত পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শুক্রবারও ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিল ভয়াবহ যানজট। দাউদকান্দির আমিরাবাদ থেকে মেঘনা-গোমতী সেতু পেরিয়ে মুন্সীগঞ্জের মেঘনা সেতুর পশ্চিম পাড় পর্যন্ত যানজটে দুর্ভোগে পড়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে গত দুই দিন যানজটের দৌরাত্ম্য ছিল অপ্রতিরোধ্য। মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কজুড়ে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈরের চন্দ্রা থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের মুখে পড়তে হয়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের। ওই পথের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ছিল যানজট। মহাসড়কের অসংখ্য স্থানে খানাখন্দ ও ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না। জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলায় যানজট নিয়তির লিখন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে গত কয়েক বছর ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল বেশ সীমিত। ঈদের আগে সড়ক মেরামত এবং ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়ে যানজট রোধের চেষ্টায় সাফল্যও অর্জিত হয়েছে। কিন্তু এ বছর ঈদুল আজহার আগে টানা বৃষ্টি সড়ক ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। ঈদুল আজহার এক সপ্তাহ আগেও ঘরমুখো মানুষ যানজটের তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হওয়ায় আগামী ৫-৬ দিন পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বলেছেন পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা সাধ্যের সব চেষ্টাই চালাচ্ছেন। এ মুহূর্তে মহাসড়কে সংস্কার কাজের জন্য বাড়তি যানজট দেখা দিয়েছে। সংস্কার কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় অচিরেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।  স্বজনদের সঙ্গে ঈদ পালন সাধারণ মানুষের আবেগেরই অংশ।  স্বভাবতই ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কর্তৃপক্ষ আরও তৎপর হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর