শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর ছয় প্রস্তাব

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রকৃষ্ট উপায়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা ওআইসির কন্ট্রাক্ট গ্রুপের সভায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মুসলিম দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাবিষয়ক কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছেন। ওআইসির মহাসচিব ইউসুফ আল ওখাইমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে বলেন, সংকটের মূলে রয়েছে মিয়ানমার। সমস্যার সমাধানও মিয়ানমারকে করতে হবে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে, যাদের ৬০ শতাংশই শিশু। প্রধানমন্ত্রী ইসলামী সহযোগিতা সংস্থাভুক্ত দেশের নেতাদের বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী ছয়টি প্রস্তাবও দেন। প্রস্তাবগুলো হলো—রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্মমতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে অবশ্যই তাদের স্বদেশে ফেরত নিতে হবে। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সুরক্ষা দিতে মিয়ানমারের ভিতরে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ তৈরি এবং অনতিবিলম্বে নিঃশর্তভাবে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে। মিয়ানমার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে যে প্রচারণা চলছে তা বন্ধ করতে হবে এবং অবশ্যই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে ওআইসি যেসব উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশ তার সঙ্গে থাকবে বলে আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে ওআইসির কন্ট্রাক্ট গ্রুপের সভায় রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ ভূমিকার যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা তাৎপর্যের দাবিদার। মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাধ্য করতে এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর সুমতি ফিরিয়ে আনতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার উদ্ভব ঘটেছে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যহীনতার কারণে। নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই সে ভুল পথ থেকে সরে আসতে হবে।

সর্বশেষ খবর