সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা ত্রাণে সেনাবাহিনী

শৃঙ্খলা ও সুব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে

রোহিঙ্গা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেনা সদস্যরা ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছেন এবং আশা করা হচ্ছে এর ফলে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে যে বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরাজ করছিল তার অবসান ঘটবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তার জন্যও এ ব্যবস্থা ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হবে। ইতিমধ্যে সেনাসদস্যরা কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে অবস্থান করা শরণার্থীদের আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির যানজট এড়ানো গেছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও বেসরকারি সংগঠন রাস্তার ওপর রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করায় বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছিল। শরণার্থীদের সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী সদস্যরা রোহিঙ্গাদের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে অংশ নিচ্ছেন। আজ থেকে শুরু হচ্ছে উখিয়ার বালুখালীতে দুই হাজার একর জমিতে ১৪ হাজার শেড বা লম্বা ঘর নির্মাণের কাজ। এসব শেডে অন্তত ৮০ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে। রোদ-বৃষ্টিতে আশ্রয়হীনভাবে শরণার্থীরা যে কষ্টকর অবস্থায় রয়েছেন তা কিছুটা হলেও লাঘব করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে স্থানীয় টাউট শ্রেণির অপতৎপরতাও রোধ করা সম্ভব হবে সেনাবাহিনীর হাতে ত্রাণ ও পুনর্বাসনের দায়িত্ব অর্পিত হওয়ার কারণে। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের জন্য যারা ত্রাণসামগ্রী দিতে চান তা সেনাবাহিনীর কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তাদের দেওয়া ত্রাণসামগ্রীর প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও দেওয়া হবে। তবে জাতিসংঘ ও বিদেশি দাতাসংস্থাগুলো শরণার্থীদের মধ্যে সরাসরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করতে পারবে। ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজে সেনাবাহিনী নিয়োগে শরণার্থীদের নাম ও পরিচয় রেজিস্ট্রেশনের কাজ সহজতর করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেখানে সেখানে শরণার্থীরা আশ্রয় নেওয়ায় পাহাড় ও বনাঞ্চল নিধনের যে বিপদ সৃষ্টি হয়েছিল তা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাওয়া যাবে। শরণার্থীদের সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এবং পরিচয় লুকিয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যাওয়ার বিপদও এড়ানো যাবে। শরণার্থীদের কেউ যাতে আইনশৃঙ্খলা ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর