শিরোনাম
রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

সহিংসতা বন্ধে সব পক্ষের অভিন্ন সুর

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতাকে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার ফল হিসেবে চিহ্নিত করে মানবতাবিরোধী অপরাধের পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখারও তাগিদ দিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের আহৃত বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব তার উদ্বোধনী বক্তব্যকালে রাখাইনের সহিংসতার ঘটনাকে মানবাধিকারের জন্য দুঃস্বপ্ন বলে অভিহিত করেন। তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতিও আহ্বান জানান। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটি শেষ হয়েছে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই। তবে বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যা সম্পর্কে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোর যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ ঘটেছে তা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। যুক্তরাষ্ট্র সাফ সাফ বলে দিয়েছে, রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভালো ভাষায় বলার সময় শেষ হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সে দেশে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চীন, রাশিয়া ও জাপান এখনই মিয়ানমারের ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের তত্ত্ব তুলে ধরে। স্মর্তব্য, নিরাপত্তা পরিষদের গত বৃহস্পতিবারের উন্মুক্ত বৈঠক ডাকা হয়েছিল সাতটি সদস্য দেশের অনুরোধে। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিবের দেওয়া বিবৃতির পর সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধিরাও আমন্ত্রিত হয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ পান। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিদিনই রোহিঙ্গারা আসছে। বুধবার রাতেও ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রাখাইনে ধর্ষণকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী বলে অভিহিত করে মিয়ানমার মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্র্রীর দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। যাতে রোহিঙ্গা সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  নিরাপত্তা পরিষদের সদ্য সমাপ্ত বৈঠকে সদস্য দেশগুলো রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিন্ন মনোভাব প্রকাশ করায় বাংলাদেশের অবস্থানের পক্ষে বিশ্ব সমাজের সমর্থনই ব্যক্ত হয়েছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর