শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

বিশ্ব শ্রমবাজারে খুনি মিয়ানমার নয়, বাংলাদেশের কর্মী নিতে হবে

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ

বিশ্ব শ্রমবাজারে খুনি মিয়ানমার নয়, বাংলাদেশের কর্মী নিতে হবে

একসময় প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক সম্পর্ক স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল থাকলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে এখন বিপরীত। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সামরিক শক্তি প্রদর্শনসহ যে বেপরোয়া আচরণ দেখাচ্ছে তা সুপ্রতিবেশীর লক্ষণ নয়। আগস্ট থেকে মিয়ানমার হতে নতুন করে লাখ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আসছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন এবং  কৌশলে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার ঘটনাবলি আমাদের দেশের জনমানসে মিয়ানমারের শাসকদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার উদ্রেক করেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ পেরিয়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেও দেশহীন রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নিয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ও রেড ক্রস সূত্রমতে, ধারাবাহিক নির্যাতন এবং সহিংস ঘটনার শিকার হয়ে বর্তমানে সৌদি আরবে ২ লাখ, পাকিস্তানে ৩ লাখ ৫০ হাজার, মালয়েশিয়ায় ১ লাখ ৫০ হাজার, ভারতে ৪০ হাজার, আরব আমিরাতে ১০ হাজার, থাইল্যান্ডে ৫ হাজার এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের শাসকরা চরমতম নিষ্ঠুর আচরণের মধ্য দিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে সে দেশ থেকে বিতাড়িত করে বাংলাদেশকে এক বহুমুখী বিপজ্জনক অবস্থায় ফেলেছে। সেই বিপদ পুরোপুরি আঁচ করা যাচ্ছে। প্রতিদিন লাখ লাখ আশ্রিত রোহিঙ্গার খাদ্যের সংস্থান করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। বলা বাহুল্য, কোনো ধরনের কূটনৈতিক শিষ্টাচার না দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশে প্রবেশে বাধ্য করেছে। যে মুহূর্তে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে পাহাড়ধস, বন্যাসহ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের সীমান্ত পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর বাংলাদেশে আগমন বোঝার ওপর শাকের আঁটি ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও বাংলাদেশ জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন পাচ্ছে। তবুও আন্তর্জাতিক কূটকৌশলের পথরেখায় বাংলাদেশ কতটা সক্ষমতা নিয়ে এগিয়ে থাকবে সেটাও বিবেচ্য। এ কারণেই ব্যবসা-বাণিজ্য, শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন বাংলাদেশকে অনেক সতর্ক ও কুশলী অবস্থান নিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকারী দেশ হিসেবে মিয়ানমার এখন বিভিন্নমুখী আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। সেই চাপ আগামীতে আরও তীব্র করার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মিয়ানমারকে বার বার অনুরাধে করছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশ ছাড়তে বাধ্য না করতে এবং যারা দেশত্যাগ করেছে তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে। কিন্তু এসব চাপের মুখে মিত্রদের পরামর্শে মিয়ানমার যে নিজেদের কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। অনেক লাভজনক বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ছকও তারা তৈরি করেছে। আর মিত্র হিসেবে তারা কাছে পেয়েছে চীন, রাশিয়া, ভারতের মতো শক্তিশালী দেশ। তবে এটি সত্য, আগামীতে তাদেরও অনেক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এরই পরিকল্পনা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন শ্রমবাজার ধরার জন্য মিয়ানমার এখন আপ্রাণ চেষ্টা করছে। মিয়ানমার শ্রমবাজারে খুব একটা সক্রিয় ছিল না। অতি সম্প্রতি মিয়ানমারে তথাকথিত গণতন্ত্রের সূচনা ও আশিয়ানভুক্ত দেশ হওয়ার কারণে সিঙ্গাপুর, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে তুলনামূলক বেশি অভিবাসী কর্মীদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেই ধারাবাহিকতায় সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কাতার, কুয়েত, ওমান, দুবাই, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশের শ্রমবাজারই এখন তাদের নতুন টার্গেটে রয়েছে।

মিয়ানমারের মোট আয়তন ৬ লাখ ৭৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। আর লোকসংখ্যা সাড়ে ৫ কোটি। এর মধ্যে রাখাইন জনগোষ্ঠী ৪ শতাশং মাত্র। অন্যদিকে বাংলাদেশের আয়তন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার। জনসংখ্যার গড়পরতায় মিয়ানমারের ১০ শতাংশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। জনসংখ্যা আর রাষ্ট্রের আয়তনের কথা তুলনা করলে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বেশিসংখ্যক শ্রমিক বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। মিয়ানমার ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিস ফেডারেশন সূত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করে মালয়েশিয়ায়। এ দেশে বর্তমানে মিয়ানমারের আড়াই লাখেরও বেশি শ্রমিক রয়েছে। এর বাইরে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডে কাজ করে ২ লাখ শ্রমিক। সিঙ্গাপুরে ২ লাখ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারেও মিয়ানমারের ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মিয়ানমার যেহেতু বিশ্ব শ্রমবাজার দখলের টার্গেট করেছে সেহেতু বাংলাদেশের বসে থাকলে চলবে না। তাই বাংলাদেশকেও এখন মিয়ানমারকে পেছনে ফেলে দেশের অর্থনৈতিক ভিত আরও শক্তিশালী করতে বিশ্ব শ্রমবাজারকে মুঠোবন্দী করতে হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ নিজের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষতি করে যে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছে তা এখন কাজে লাগাতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যসহ যেসব দেশে মিয়ানমারের শ্রমিকরা কাজ করছে সেসব দেশের নীতিনির্ধারক মহলে মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা সহিংসতার অভিযোগ জোরালোভাবে উত্থাপন করা প্রয়োজন। শুধু অভিযোগ নয়, মিয়ানমারের শ্রমিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিটিও আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোয় উত্থাপন করার সঠিক সময় এসেছে। বিষয়টি এ কারণে যৌক্তিক যে, মিয়ানমার সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জাতিকে নিধন করতে যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে তা বিশ্বমানবতার চেতনার সঙ্গে একেবারেই বেমানান।

উল্লেখ্য, নব্বই দশকের শুরুতে মূলত মিয়ানমারের শ্রমিকরা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে কাজ শুরু করে। তাদের বেশির ভাগ শ্রমিক বাংলাদেশের তুলনায় অদক্ষও বটে। ২০০৯ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে মিয়ানমারের অবস্থান ধীরে ধীরে সুদৃঢ় হতে থাকে। প্রথমে তারা থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুরকেই শ্রমশক্তি প্রেরণের ক্ষেত্রে বড় টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করে। এরপর আসিয়ানভুক্ত হওয়ার বিষয়টি পুঁজি করে মিয়ানমার শ্রমবাজারে নিজেদের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে কূটনৈতিক তত্পরতা শুরু করে। শ্রমিক প্রেরণ বিষয়ে অনেক দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি করে নিজেদের অবস্থানও জোরালো করে। সেই তত্পরতাকে তারা এখন আরও শক্তিশালী করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যু ঘিরে বাংলাদেশ এখন বিশ্বদরবারে যথেষ্ট সহানুভূতিশীল অবস্থানে রয়েছে। সময় এসেছে তাই শ্রমবাজারে নিজেদের অবস্থান আরও অটুট করার। এর জন্য এখনই প্রয়োজন লেবার রিসিভিং দেশগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী অ্যাডভোকেসির যোগসূত্র তৈরি করা। রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, আবাসন ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশের ব্যয়ের পরিমাণ বিশ্বনেতৃবৃন্দের আলোচনার টেবিলে আনা। ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বেঁচে থাকার নিরাপত্তা প্রদানে বাংলাদেশকে কী পরিমাণ কাঠখড় পোড়াতে হবে, তা বিশ্ববাসীকে জানাতে হবে; যার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশ যাতে আগের তুলনায় বেশি করে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পায়। প্রসঙ্গক্রমে এখানে একটি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। আমাদের নিশ্চয় মনে থাকার কথা, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজার ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শ্রমিক হত্যা ও নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ওপর বহুবিধ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। শুধু তাই নয়, সে সময় বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা, জাপান ও ইউরোপের অনেক কোম্পানি ব্যবসাও গুটিয়ে ফেলেছিল। আমি মনে করি, আমাদের জন্যও সময় এসেছে বিভিন্ন ফোরামে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দেশকে বাণিজ্য অবরোধসহ অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণের। এ ক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ইস্যুর মানবিকতা তুলে ধরে আমরা কীভাবে আরও জনশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারি, তার একটা পরিকল্পনা নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে আমাদের এই প্রচারও চালানোর প্রয়োজন রয়েছে যে, আগামীতে নিজ দেশের একটি জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংস ঘটনায় অভিযুক্ত মিয়ানমার থেকে যেন আর কোনো শ্রমিক কোনো দেশে গ্রহণ না করে। বন্ধুরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার, দুবাই, সৌদি আরবের মতো দেশকে আমাদের পক্ষ থেকে এ ধরনের অনুরোধ করা যেতেই পারে। অন্যদিকে আমাদের মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার এখনো এক জটিল অবস্থায় রয়েছে। এ শ্রমবাজারটি সব রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য উন্মুক্ত হয়নি। দেশের হাজার হাজার বেকার তরুণ এখনো এই শ্রমবাজারের দিকে তাকিয়ে আছে। এই বাজারে যাতে কোনোভাবে নতুন করে মিয়ানমারের শ্রমিক প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়েও কূটনৈতিক তত্পরতা বাড়াতে হবে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই মধুর। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়াই প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আগেই বলেছি, মালয়েশিয়ায় ২ লাখেরও বেশি মিয়ানমারের শ্রমিক কাজ করছে। এসব শ্রমিক যে আমাদের দেশের শ্রমিকদের চেয়ে দক্ষ, তা কিন্তু নয়। কিন্তু শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় হওয়ার কারণেই মালয়েশিয়ায় আজ মিয়ানমারের শ্রমিকরা কাজ করছে। অবশ্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে মালয়েশিয়া সবার আগে ত্রাণ নিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। শরণার্থী রোহিঙ্গাদের তারা ভালোবাসায় সিক্ত করেছে। মালয়েশিয়া যাতে রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাংলাদেশের শ্রমিকদের প্রতি আরও সহমর্মী হয় সে বিষয়েও তত্পর থাকতে হবে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি বছর অভিবাসীরা নিজ দেশে গড়ে ১৫ থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। দেশের বর্তমান যে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ঝুঁকি দৃশ্যমান, তাতে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতারসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আরও জনশক্তি পাঠানোর পথকৌশল বের করার বিকল্প নেই। সেই সুন্দর সময়টাও এসেছে। বিশ্ব নেতৃত্বের আবেগ কাজে লাগিয়ে আমাদের জনশক্তির বাজারকে বিস্তৃত করতেই হবে।

দেশের সামনে আগামী দিনে যে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ আসছে তা মোকাবিলা করতে হলে অবশ্যই আমাদের শ্রমবাজার বিস্তৃত করতে হবে। সতর্ক খেয়াল রাখতে হবে, কোনো অবস্থাতেই যেন গণহত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত মিয়ানমার তার মিত্রদের কাজে লাগিয়ে সুকৌশলে শ্রমবাজারে ঢুকতে না পারে। এ মুহূর্তে যদি বিশ্ব শ্রমবাজারে মিয়ানমারের অবস্থান সংকুচিত করে আনা যায়, তাও হবে আমাদের অন্যতম বড় এক কূটনৈতিক সাফল্য। সবশেষে বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান রইল— যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা বিশ্বমানবতাকে ভূলুণ্ঠিত করেছে, যারা নৃশংস রক্তের হলি খেলায় মেতে উঠেছে— শরীরে রক্তের দাগ লাগা সেই মিয়ানমার থেকে কোনো দেশ যেন আর কোনো কর্মী বা অভিবাসীকে গ্রহণ না করে। একই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী মিয়ানমারের শ্রমিক তথা নাগরিকদের সে দেশে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশের কর্মী নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমরা নির্যাতিত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে যে অর্থনৈতিক ভার গ্রহণ করেছি, সে কারণে অন্ততপক্ষে লেবার রিসিভিং কান্ট্রিগুলো পারে অধিকসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মীকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়াতে। এ বিষয়ে আমাদের কূটনীতিকদের দ্রুত নতুন পথকৌশল তৈরি করার জন্য অনুরোধ করছি।

লেখক : চেয়ারম্যান : ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক।

  মেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর