শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাখা মেলছে পদ্মা সেতু

অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনবে

স্বপ্নের পদ্মা সেতু অবশেষে ডানা মেলতে শুরু করেছে। গত শনিবার সকাল ১০টায় দুটি খুঁটির ওপর বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার দীর্ঘ একটি স্প্যান। জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৭৮ নম্বর খুঁটির ওপর ৩ হাজার টনেরও বেশি ওজনের স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব রূপ নেওয়ার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান স্থাপনের মাধ্যমে স্বপ্নের এই সেতু বাস্তব রূপ নেবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সেতু। প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে পদ্মা সেতুর দুটি বিশাল খুঁটির ওপর স্প্যান বসানোর কাজ দেখবেন এমনই কথা ছিল। অসুস্থতার কারণে বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকায় সেখান থেকেই নির্দেশ দেন সেতুর কোনো কাজ যেন এক মুহূর্তের জন্যও বসে না থাকে। এ নির্দেশনার পর শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতুকে বাস্তবে রূপান্তরের কাজটি। স্মর্তব্য, পদ্মা সেতুর কাজের অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে ৪৯ শতাংশ, নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৩৪ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ ১০০ শতাংশ, জাজিরা প্রান্তে অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ ৯৮ শতাংশ এবং সার্ভিস এরিয়া-২-এর কাজ হয়েছে ১০০ শতাংশ। সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যমতে, প্রথম স্প্যানটি স্থাপনের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্যান্য স্প্যানও ওঠানো শুরু হবে। এখন ৩৭ থেকে ৪২ নম্বর পর্যন্ত ৬টি খুঁটি বসানো সম্পন্ন হওয়ার পর্যায়ে। শিগগিরই শেষ হবে ৩৯ ও ৪০ নম্বর খুঁটির কাজ। ৩৮ নম্বর খুঁটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এ ২ খুঁটি ধরে আরও ২টি স্প্যান বসবে। স্প্যানের মাঝবরাবর নিচের লেনে চলবে ট্রেন। ওপরে কংক্রিটের চার লেনের সড়কে চলবে গাড়ি। যথাসময়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করাকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। প্রমত্ত পদ্মাকে শাসনে রাখা এবং পিলার বসানোর জটিল কাজ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও অব্যাহত রাখার চেষ্টা চলেছে সেই চ্যালেঞ্জ মনে রেখে। ব্যয়বহুল এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়নে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হলে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক ও রেলপথে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে উঠবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাড়ে ৩ কোটি মানুষের পাশাপাশি দেশের

অর্থনীতির জন্য তা বয়ে আনবে আশীর্বাদ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর