বন্যা ও ঘন বৃষ্টিপাত দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোকে চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছে। বর্ষা মৌসুম বিদায় নিলেও সংস্কারের অভাবে বেশির ভাগ সড়ক-মহাসড়ক চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন চালক ও যাত্রীদের প্রতিনিয়ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। দেশের ব্যস্ত মহাসড়কগুলোর একটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা-আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক চালক ও যাত্রীদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে বিরাজ করলেও তা দেখার কেউ নেই। স্বাভাবিক অবস্থায় মাত্র ১২ মিনিটে পথ অতিক্রম করার কথা। কিন্তু সড়কজুড়ে খানাখন্দের ছড়াছড়িতে তা যানবাহন চালক ও যাত্রীদের জন্য প্রতি মুহূর্তে বিসংবাদ সৃষ্টি করছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় হচ্ছে এ সামান্য দূরত্ব অতিক্রমে। রাস্তায় বড় বড় গর্তের কারণে মহাসড়কে গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। উত্তরাঞ্চল থেকে রাজধানীতে প্রবেশের একমাত্র সড়ক হওয়ায় মহাসড়কের এ অংশে যানবাহনের চাপ বেশি। দিনের পর দিন মহাসড়কের এ অংশের সমস্যা যেন বেড়েই চলেছে। ময়মনসিংহ থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার সড়কপথে আসতে লাগে মাত্র সোয়া ঘণ্টা। উত্তরবঙ্গ থেকে সহজে গাজীপুর পর্যন্ত চলে আসার পর জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে শুরু হয় যত সমস্যা। বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কের এ অংশটি মেরামতের কথা থাকলেও সে ক্ষেত্রে চলছে সময়ক্ষেপণ। গাজীপুর সড়ক বিভাগ বলছে, সড়ক উন্নয়নে বিআরটি প্রকল্প নেওয়ায় তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। মহাসড়কের জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে ভোগড়া বাইপাস সড়কের স্থানে স্থানে গর্ত। অস্থায়ীভাবে ইট দিয়ে ভরাট করা হলেও কয়েক দিনের মধ্যে তা আবারও গর্তে পরিণত হয়েছে। এ খানাখন্দের কারণে মহাসড়কে গাড়ি চলে হেলেদুলে। শুধু ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক নয়, দেশের আরও কিছু মহাসড়কে বিরাজ করছে একই দুরবস্থা। আর রাজধানীর বেশির ভাগ সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, তা একটি মেগা সিটির রাস্তা বলে ভাবতেও কষ্ট হয়। দেশের মহাসড়কগুলো শুধু নয়, রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে সড়ক নির্মাণ ও মেরামত কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দুর্নীতির কারণে। শুভঙ্করের ফাঁকি থাকায় মেরামতের কাজ সম্পন্ন হওয়ার মাত্র ক’দিনের মধ্যে সে সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সচেতন হবে এমনটিই কাম্য।