রোহিঙ্গা সংকট এই সময়ে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। রাষ্ট্রের নেতৃত্বের জন্য গতানুগতিকভাবে রাষ্ট্রের প্রশাসন পরিচালনা করা এক কথা, আর বড় বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া অন্য কথা। চ্যালেঞ্জেই নেতৃত্বের পরিচয় মেলে। রোহিঙ্গা সংকটের সাম্প্রতিক বহিঃপ্রকাশ যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে সেটি শুধু নয়— ১০ লাখ আশ্রয়প্রার্থী মানুষের জন্য মানবিক দায়বদ্ধতার চ্যালেঞ্জ নয়, একই সঙ্গে স্ট্যাটিজিক্যাল গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু রাষ্ট্র চীন ও ভারতের এই ইস্যুতে ধোয়াটে অবস্থান ভিন্ন আঙ্গিকে বাংলাদেশকে অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলেছে। সব কুল রক্ষা করাও এক বড় চ্যালেঞ্জ। চীন ও ভারতের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সরকারকে জনঅনুভূতি এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বহুমুখী বাস্তবতার মধ্যে সমন্বয় ও ভারসাম্য রক্ষা করা কোনো কোনো সময়ে কঠিন হয়ে পড়ে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন ও ভারতের অবস্থানকে কেন্দ্র করে সে রকম একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং অত্যন্ত ভারসাম্যমূলক একটা প্রতিবেদন কফি আনান কমিশন কর্তৃক প্রদানের মাত্র ১২ ঘণ্টার মাথায় রোহিঙ্গাদের ভিতর থেকে জন্ম নেওয়া আরসা (ARSA) নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন কর্তৃক মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০টি ফাঁড়িতে একযোগে আক্রমণ এবং তার পাল্টা হিসেবে সামরিক বাহিনীর সর্বাত্মক অভিযানে সারা বিশ্ব হতভম্ব হয়ে যায়। এটি ছিল একেবারে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। সবার ধারণা ছিল কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালা দীর্ঘদিন পর হলেও হয়তো একটা সমাধানে পৌঁছে দেবে। কিন্তু ঘটনার আকস্মিকতায় মনে হয়েছে, কোনো গোষ্ঠী বা রাষ্ট্র, যারা এই রোহিঙ্গা সংকটকে জিইয়ে রেখে নিজেদের ভূ-রাজনৈতিক ও গোষ্ঠীগত রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চায় তারাই বোধহয় সব কিছুকে ভণ্ডুল করে দিল। এ জন্য প্রথম কয়েক দিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরব থেকে বোঝার চেষ্টা করেছে কোথা থেকে কী হয়ে গেল। বাংলাদেশের জন্য সৃষ্টি হয় উভয় সংকট। একদিকে অপ্রত্যাশিত শরণার্থীর ঢল, অন্যদিকে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাপ্রসূত সশস্ত্র সংগঠন কর্তৃক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ, যা সংকটের স্থায়ী সমাধানের পথে বড় ধরনের অন্তরায় সৃষ্টির উপাদান হবে। এটি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। এই সময়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি পরিপক্ব, দক্ষ ও বিচক্ষণ কূটনৈতিক চাল বা পদক্ষেপ মিয়ানমারকে ব্যাকফুটে ফেলে দেয়। সব ধরনের সন্ত্রাসী জঙ্গিগোষ্ঠীর মূল উৎপাটনের জন্য দুই দেশের সীমান্তে যৌথ অভিযানের প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার সরকারের কাছে আহ্বান জানায়, সন্ত্রাসী আক্রমণের অজুহাতে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে চালিত সামরিক অভিযান বন্ধ করুন। মিয়ানমার এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট হয়। ধরা পড়ে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিধনের দুরভিসন্ধি। তারপর থেকে বিশ্ব মিডিয়া, জাতিসংঘ, পশ্চিমা বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো সোচ্চার হয়ে ওঠে। সর্বত্র একই আওয়াজ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপকর্মের অজুহাতে সাধারণ নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে চালিত গণহত্যা ও নিধনযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সমানভাবে বাংলাদেশের কঠোর ও শক্ত অবস্থানের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে অসহায় সব হারানো মানুষের উদ্দেশে বলেন, ১৬ কোটি মানুষ দুবেলা খেলে ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থীও খাবার পাবে। তাই প্রথম দিকে কিছুটা আকস্মিকতার দ্বন্দ্বে পড়লেও বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের অবস্থানের পক্ষে চলে আসে। এভাবেই প্রাথমিক ধাক্কা ও চ্যালেঞ্জগুলো অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারায় বিদেশি মিডিয়া থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউম্যানিটি আখ্যা দেওয়া হয়। পশ্চিমা বিশ্বের খ্যাতিমান অধ্যাপকরা বলছেন, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ৯-১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা কাঁধ থেকে নামানোর জন্য বাংলাদেশের স্ট্যাটিজিক বন্ধু রাষ্ট্র চীন ও ভারতের সক্ষমতাকে কাজে লাগানোই হচ্ছে আগামীতে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মিয়ানমারে চীন ও ভারত, উভয়েরই ভূ-কৌশলগত স্বার্থের অপরিহার্যতা রয়েছে। এই অপরিহার্যতাকে বিবেচনায় রেখেই বলা যায়, তাদের উভয়ের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণী উপাদানগুলো এতই গুরুত্বপূর্ণ, যা
তারা দুজনার কেউ-ই উপেক্ষা করতে পারবে না। এককথায় অসম্ভব। তাই বাংলাদেশ সঠিকভাবে লক্ষ্য নির্ধারণ এবং তাতে স্থির থাকতে পারলে দুই বন্ধু দেশ মিয়ানমারে নিজেদের অপরিহার্যতা রক্ষা করেও বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ডিসাইসিভ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি মনে করি। আমাদের মনে রাখতে হবে, রোহিঙ্গা ইস্যুটি এখন আন্তর্জাতিক চরিত্র অর্জন করেছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায় ও দায়িত্বের মধ্যে আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যটি অর্জনের জন্য আমরা চীন ও ভারতকে কীভাবে কাজে লাগাতে পারি সেটাই হওয়া উচিত আমাদের প্রচেষ্টার ভরকেন্দ্র। আমার মতে, ৯-১০ লাখ রোহিঙ্গাকে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোই হওয়া উচিত আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই লক্ষ্য অর্জনের বাউন্ডারির মধ্যেই আপাতত আমাদের তৎপরতাকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। চীন-ভারত দুটি দেশই এখন মেধা ও বুদ্ধিভিত্তিক শক্তিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী ও পরিপক্ব। তাই ৯-১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী দীর্ঘদিন কক্সবাজারে অবস্থান করলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিঘাত থেকে চীন-ভারত কেউ রক্ষা পাবে না, এ কথা ওই দুই দেশও জানে। তাই আমার বিশ্বাস, এই রোহিঙ্গাপ্রসূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সফল হবে। ১৯৬২ সাল থেকে আজ প্রায় ৫৫ বছর মিয়ানমার সামরিক শাসনের অধীনে। এটা এখন তাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে, গণতন্ত্রের ভাষা ও বেনিফিট তারা বোঝে না। সুতরাং রাতারাতি কিছু আশা করা হবে বাস্তবতা বিবর্জিত চিন্তা। কূটনীতির ধারাই হলো এমন, পর্দার সামনে যতটুকু তৎপরতা চলে, পর্দার পেছনে চলে তার বহুগুণ বেশি। সংকটের ব্যাপকতা ও মর্মান্তিকতায় উদ্বিগ্ন ও অস্থির হয়ে ওঠাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু বিশ্বের রাজনৈতিক বাস্তবতা বড় কঠিন ও নিষ্ঠুর। ভাবনা আসে, আর বোধ হয় কিছু হবে না। তবে ইতিহাস আমাদের সব সময় হতাশ করে না। বিশ্বের অনেক বড় বড় সংকটের সমাধান হয়েছে। আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শক্তিমত্তা দেখে মনে-প্রাণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায় এমন মানুষকেও একাত্তরের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে এসে বলতে শুনেছি, আর কিছু হবে না। কিন্তু তার মাত্র দেড় মাসের মাথায় ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও আরও ছয় মাস যুদ্ধ চালানোর মতো সক্ষমতা থাকা অবস্থায় বিনাশর্তে ঢাকায় সারেন্ডার করতে বাধ্য হয়। ইদানীংকালের ঘটনা। পদ্মা সেতু নির্মাণ নিয়ে যা ঘটে গেছে তার দিকে তাকালেও একশ্রেণির মানুষের মধ্যে তখন একই রকম হতাশাব্যঞ্জক মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ দেখেছি। বড় বড় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞকে বলতে শুনেছি, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে, সেটি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। সেই পদ্মা সেতু নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে এবং এটা নিয়ে এখন আর কেউ সন্দেহ প্রকাশ করে না। তখন সেই মহাচ্যালেঞ্জ গ্রহণ এবং সফলভাবে সেটি মোকাবিলা করতে পারায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান এখন আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক উচ্চতায় উঠে গেছে। ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার দ্বন্দ্ব মীমাংসা ও ছিটমহল বিনিময়ের মতো ১৯৪৭ সাল থেকে পুঞ্জীভূত সমস্যার সমাধানের চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের জন্য হিমালয় পর্বত সমান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে একই কথা প্রযোজ্য। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছ থেকে যখন ফাঁসির দণ্ড রহিত করার টেলিফোন আসে তখন বোঝা যায়, ওই বিচারে দণ্ড কার্যকর করা কত বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তখনো একদল মানুষকে বলতে শুনেছি, বাংলাদেশ বন্ধুহীন হয়ে যাবে। তাদের কথা সত্য হয়নি। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ, দেশকে গৃহযুদ্ধের মধ্যে ফেলে দেওয়ার জন্যই এর সূত্রপাত ঘটানো হয়। এত সব বড় বড় চ্যালেঞ্জ অত্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারার কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। চ্যালেঞ্জ ব্যতিরেকে বড় কিছু অর্জন করা সম্ভব হয় না। ফিরে আসি রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জের কথায়। লেখার শুরুতে বলেছি, এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমরা এর সঙ্গে জড়িত ৪০ বছর। আর মিয়ানমার ভার্সেস রোহিঙ্গা, শত শত বছরের দ্বন্দ্ব ও সমস্যা। গত দেড় মাসে সমস্যা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে এর সমাধানের চাবি এখন চীনের হাতে চলে গেছে। সেখানেও চীনের জন্য উভয় সংকট, শ্যাম রাখি না কুল রাখি। ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের দিক থেকে মিয়ানমারের ওপর একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা চীনের জন্য অপরিহার্য। আবার ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা বাংলাদেশের ওপর চেপে বসে থাকলে দুদিক থেকে চীনের জন্য নতুন সমস্যা তৈরি হবে। প্রথমত, বাংলাদেশের জনমত চীনের বিরুদ্ধে চলে গেলে সেটি মিয়ানমারে চীনের অপরিহার্যতার প্রাপ্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং একই সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীর দীর্ঘ অবস্থানের পরিণতিতে পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে, তাতে চীনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও হুমকির মধ্যে পড়বে। সুতরাং আমি মনে করি, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের অপরিহার্যতা বজায় রেখে চীন রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশের সমস্যা দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটা বাংলাদেশের জন্য কোনো দয়া-দাক্ষিণ্যের ব্যাপার নয়। চীনের স্বার্থেই চীনকে সেটা করতে হবে, যার উল্লেখ একটু আগেই করেছি। তাই বাংলাদেশকে অনেক কৌশলী হতে হবে। চীনও কৌশলী হবে, সেটাই স্বাভাবিক। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ভারতেরও গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ আছে। তাই ভারতকেও কৌশলী ভূমিকায় দেখছি, যেটি আপাতদৃষ্টিতে আমাদের কাছে অস্বস্তিকর। কিন্তু আগের অভিজ্ঞতা থেকে ভারত ভালো করেই জানে, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী মিজোরামের সীমান্তের কাছাকাছি দীর্ঘদিন অবস্থান করলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যেসব অপশক্তির জন্ম হবে সেটি ভারতের জন্য বড় আকারের নিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টি করবে। সুতরাং চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক তা মোকাবিলা করার পন্থা নেই, তা কিন্তু নয়। সব কিছুরই একটা পিক পয়েন্ট বা সর্বোচ্চ চূড়া থাকে, যেখানে পৌঁছানোর পর আবার নিচের দিকে নামতে হয় এবং এক সময় যেখান থেকে শুরু হয়েছিল সেখানেই ফিরে আসতে হয়। হত্যা-নির্যাতনের সব সীমা লঙ্ঘন করায় রোহিঙ্গা সমস্যাটি এখন সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠে গেছে। চূড়ায় উঠে গেছে বলেই এটিকে এখন আমরা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। আবার অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে যা ঘটেছে এবং বিশ্বসম্প্রদায় যেভাবে সোচ্চার হয়েছে, তাতে অবধারিতভাবে এখন সেটির অবনমন ঘটতে হবে। সুতরাং চ্যালেঞ্জ আছে, তবে সুযোগও কম নয়, সমান সমান।
লেখক : কলামিস্ট ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক।