শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

ঘন বর্ষণে কৃষকের সর্বনাশ

কৃষি পুনর্বাসনে উদ্যোগ নিন

টানা বর্ষণ কৃষকের জন্য বিসংবাদ ডেকে এনেছে। বন্যায় বোরো উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লাখ লাখ কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। যে কৃষক দেশবাসীর খাদ্য জোগান দিয়েছে বছরের পর বছর, তারা এবার অধিক মূল্যে নিজেদের জন্য খাদ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছে। ধান উৎপাদন মার খাওয়ার পর যারা শাক-সবজি উৎপাদন করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছিলেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে তিন-চার দিনের রেকর্ড পরিমাণ বর্ষণ। জলাবদ্ধতায় সবজি খেতের এক বড় অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকের এখন মাথায় হাত। বন্যা ও টানা বর্ষণে সবজি উৎপাদন মার খেয়েছিল ভয়াবহভাবে। বন্যার পর যারা সবজি উৎপাদন করে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছিলেন তিন-চার দিনের বর্ষণ তাদের সে স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে। কৃষকের পাশাপাশি দুঃসংবাদের মুখোমুখি হয়েছে সাধারণ ভোক্তারা। বাজারে সবজির আকাশছোঁয়া দাম যে মুহূর্তে কিছুটা কমে আসতে শুরু করেছিল সে মুহূর্তে হেমন্তে ভরা ভাদরের পুনরাবির্ভাবে সবজির খেত ডুবে অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়; যা বাজারে সবজির মূল্যবৃদ্ধিতে ইন্ধন জুগিয়েছে। বাজারে সবজির গড় দাম প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। অন্য বছর এ সময় শিমের প্রতি কেজি দাম ৩০ টাকায় নেমে এলেও এ বছর তা ২০০ টাকা ছুঁইছুঁই করছে। তবে কৃষক এই আকাশছোঁয়া দামেও লাভবান হচ্ছে না বিরূপ আবহাওয়ায় উৎপাদন ভয়াবহভাবে হ্রাস পাওয়ার কারণে। অনেক শিম চাষি উৎপাদন খরচ ওঠাতে পারবেন না এমন আশঙ্কায়ও ভুগছেন। আর কাঁচা মরিচের দাম ২৫০ টাকা কেজি থেকে যখন ১৫০ টাকায় নেমে আসছিল সেই মুহূর্তে তিন দিনের বর্ষণ উল্টো পথে যাত্রা করেছে। বাজার থেকে যেন উধাও হয়ে গেছে কাঁচা মরিচ। বর্ষণে সবজি উৎপাদনের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সরকারের কৃষি দফতরকে এখনই কৃষকের পাশে দাঁড়াতে হবে। কৃষি পুনর্বাসনে সব ধরনের সহায়তা দিতে হবে। সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে নিতে হবে দ্রুত পদক্ষেপ। কৃষককে বীজ সরবরাহসহ সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা ভাবতে হবে। জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতেই সরকারকে কৃষকবান্ধব ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।

সর্বশেষ খবর