বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

জঙ্গি পাইলট গ্রেফতার

দোসরদেরও পাকড়াও করুন

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার দায়ে বিমানের একজন পাইলটকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। অভিযোগ রয়েছে আরও তিন পাইলট সন্দেহভাজনদের তালিকায়। গ্রেফতার হওয়া কো-পাইলট সাব্বির নাইন-ইলেভেনের টুইন টাওয়ারের দুনিয়া-কাঁপানো সন্ত্রাসী হামলার আদলে যাত্রীবাহী বিমান নিয়ে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বাসভবনে হামলার ছক এঁটেছিলেন। র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তা স্বীকারও করেছেন। সাব্বির দারুস সালামের জঙ্গি আস্তানা কমলপ্রভা বাড়ির মালিকের পুত্র। কমলপ্রভায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে আত্মঘাতী জঙ্গি আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাব্বির। তার মা সুলতানা পারভীন, মামাতো ভাই আসিফুর রহমান আসিফ এবং আত্মঘাতী জঙ্গি আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সহযোগী চা দোকানদার আলমকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৬ অক্টোবর আবদুল্লাহর সহযোগী বিল্লালকে গ্রেফতার করার পর সাব্বিরের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য পায় র‍্যাব। সাব্বির ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। স্পেন ও তুরস্কে বিশেষ প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারওয়েজে চাকরি করেন। ওই বছরই তিনি বিমানের পাইলটের চাকরি নেন। বিমানের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে সাব্বির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চালাতেন। জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে ছিল সাব্বিরের ঘনিষ্ঠতা। নিহত জঙ্গি সারোয়ার জাহানের কাছ থেকে তিনি জঙ্গিবাদের বায়াত নেন। গুলশানে হলি আর্টিজানে হামলার আগে ও পরে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছিলেন সাব্বির। এরই অংশ হিসেবে সাব্বির বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাতের পরিকল্পনা করেন। বিমানের যাত্রীদের জিম্মি করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও নিয়েছিলেন তিনি। গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সাব্বিরের মা সুলতানা পারভীন নিহত আবদুল্লাহর ফ্ল্যাটে গিয়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। পরে নিহত জঙ্গি নেতা মানিক ওরফে ফরহাদ ওরফে সারোয়ার জাহানের কাছে বায়াত গ্রহণ করেন। বিমানের একজন পাইলটের জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নিঃসন্দেহে গুরুতর ঘটনা। দেশের আরও তিনজন পাইলট সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকার বিষয়টিও উদ্বেগজনক। আমরা আশা করব, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যাপারে নিবিড় তদন্ত এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর