রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাজনীতি প্রতিহিংসা-বিবর্জিত হোক

নূরে আলম সিদ্দিকী

রাজনীতি প্রতিহিংসা-বিবর্জিত হোক

শঙ্কা-সঙ্কুল পরিস্থিতির রক্তস্নাত দেশ হলো এই বাংলাদেশ। মৌলিক অধিকার অর্জনের যে পথপরিক্রমণের শুরু হয়েছিল সেই ৬০ বছর আগে, তা যেন আজও শেষ হয়নি। কী দুর্ভাগা এ দেশ! কী অভাগা এ দেশের প্রান্তিক জনতা! সেই পাকিস্তানি শাসনামলের প্রারম্ভে বিবর্জিত মৌলিক অধিকার নানা টানাপড়েনের রাজনৈতিক স্খলনে কেন জানি আজও পরিপূর্ণভাবে প্রতিস্থাপিত হতে পারল না।   কোথায় যেন একটা ছেদ, কোথায় যেন একটা অন্তরায় রয়েই গেল। শুধু ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেল রাজনৈতিক অঙ্গনের বিভাজন। এটা যেন পাকিস্তান আমলের দুঃসময়কেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আমি আমার অনেক নিবন্ধে বার বার উল্লেখ করেছি সহনশীলতাই গণতন্ত্রের মূল ভূষণ। সহনশীলতা-বিবর্জিত অসহিষ্ণু রাজনীতিতে গণতন্ত্র কখনই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায় না। অথচ চরম দুঃখজনক হলেও এটিই বাস্তব যে, দুটি বৃহৎ জোটের অভ্যন্তরে তাদের কার্যকলাপে, মননশীলতার আঙ্গিকে কোথাও সহনশীলতা পরিলক্ষিত হয় না।

বেগম খালেদা জিয়া করালগ্রাসী বন্যা এবং বাংলাদেশের অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত রোহিঙ্গা সংকটের প্রাক্কালে আড়াইটি মাস চিকিৎসার নামে বিলেতের মনোরম সর্বোত্কৃষ্ট আবহাওয়ায় বিলাসী জীবন কাটিয়ে এলেন। তারপরও রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারকে একটু কটাক্ষ করলেও এই একটিমাত্র বিষয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার মতামতের দূরত্ব খুব কম। এটা দল-মত-নির্বিশেষে সবার জন্যই কিছুটা স্বস্তিকর। এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক, দুই জোটের মাঠের কর্মীরা রাজনীতির এরকম মারপ্যাঁচ, কলহ, বিভাজন আন্তরিকভাবে নিতে পারেন না। কিন্তু যেহেতু দুই দলের অভ্যন্তরেই দুই নেত্রীর একাধিপত্যের দৌরাত্ম্য, সে কারণে তৃণমূলের ত্যাগী কর্মীরা মুখ ফুটে টুঁ-শব্দটি করতে পারেন না। সংগঠনের প্রতিটি স্তরেই ‘জি হুজুর’ গোষ্ঠীর এতই প্রভাব ও দৌরাত্ম্য যে, প্রতিহিংসা ও বিভাজনের রাজনীতি অপছন্দ করলেও টঁ-শব্দটি করার এখতিয়ার বা সুযোগ সংগঠন অন্তঃপ্রাণ কর্মীদের নেই। মুখ বুজে সহ্য করা অথবা রাজনীতিতে নীরব হয়ে যাওয়া ছাড়া তাদের অনেকেরই গত্যন্তর থাকে না। এদের মধ্যে অনেকেই এহেন অবস্থাতেও তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত কোনো রকমে জড়িয়ে লেপ্টে থাকতে চান অনর্থক হয়রানির হাত থেকে পিঠ বাঁচানোর তাগিদে।

শুধু সরকার এবং তার প্রশাসনযন্ত্রই নয়; খুন-গুম, হিংস্রতা, সন্ত্রাস, প্রতিপক্ষের ওপর সীমাহীন ও দুর্বিষহ দাপট দেখানো আজকের রাজনীতিতে একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের সময়ে অর্থাৎ, ষাটের দশকে রাজনীতির মধ্যে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি ও আদর্শ ছিল বলেই দলের সঙ্গে প্রতিপক্ষের কদাচিৎ কিছু বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ হলেও রাজনৈতিক অঙ্গনটা এমন হিংস্র, সাংঘর্ষিক ও প্রতিহিংসা-পরায়ণ ছিল না।

আজকের যুব সমাজ মূল্যবোধের অবক্ষয়ে এতটাই নিমজ্জিত যে, প্রতিহিংসা-পরায়ণতার প্রচণ্ড উগ্ররূপ ধারণ করছে। ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে অথবা ভিন্ন দলের সঙ্গে অথবা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহিংস কার্যকলাপ সংবাদ মাধ্যমগুলো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে ফলাও করে প্রকাশ করে। তা সত্ত্বেও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এ কথা বলা চলে— টেন্ডারবাজি, হলে প্রভাব বিস্তার ও খবরদারি নিয়ে একটা প্রতিহিংসার রাজনীতি শুধু বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ কেন, সর্বস্তরেই মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে এবং অদূরদর্শী, বিবেকহীন, ক্ষমতালিপ্সু রাজনৈতিক নেতৃত্ব অনায়াসে ও অবাধে তাদের নিজেদের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে।

ছাত্রদের মধ্যে কোনো স্তরেই ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ার কারণে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত ছাত্রদের আপন মহিমায় প্রতিভাত হওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। ফলে কিছু ব্যতিক্রম তো আছেই, কিন্তু রাজনীতিতে ব্যাপকভাবে প্রতিভা বিকাশের অবকাশটি বন্ধ হয়ে আসছে। ষাটের দশকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যে কোনো ছাত্রছাত্রীর একাডেমিক ক্যারিয়ারের দিকে সংগঠন থেকে অতি ক্ষীণ নজরদারি রাখা হতো। সংগঠনের নেতৃত্ব অথবা ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ছাত্রছাত্রীরা তীক্ষ দৃষ্টিতে অবলোকন করতেন নেতাদের মেধা, প্রতিভা এবং একাডেমিক ক্যারিয়ারের দিকে। তার সঙ্গে আছে ছাত্র নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে ব্যক্তিত্ব, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, পরিশুদ্ধ আচরণ এবং সৌহার্দ্যমূলক শিষ্টাচারের মননশীলতা। দলের মধ্যে মাসলম্যান যে একদমই ছিল না, এটা হলফ করে বলা যাবে না, কিন্তু সংগঠনের নেতৃত্ব থেকে তাদের এমন রেশ টেনে ধরা হতো যে, তারাও প্রকাশ্যে ঔদ্ধত্য ও আস্ফাালনের ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস পেতেন না। সংগঠনের ভিতরে অথবা বাইরে তাদের সংযমী থাকতে বাধ্য করা হতো। ক্যাডারদেরও রাজনীতিকদের লক্ষ্যে স্থির থাকা এবং সাংগঠনিক আদর্শে উজ্জীবিত রাখা নেতৃত্বের অনিবার্য দায়িত্বের অংশ ছিল। এই রাজনীতি তখনকার ছাত্র সমাজের আঙ্গিকে এমনই প্রভাব বলয় তৈরি করে যে, এনএসএফের নামকরা মাস্তানরা ধীরে ধীরে মাস্তানির পথ থেকে সরে আসেন এমনকি অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সটকে পড়ে অন্য কাজে নিজেদের ভাগ্য অন্বেষণের চেষ্টা করতেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রসমাজ ছাত্র রাজনীতির এসেন্সটাই বদলে দেয়। শুধু পরিমার্জিত ব্যবহারই নয়, ছাত্রনেতাদের প্রতি সাধারণ ছাত্রছাত্রী এমনকি গণমানুষেরও শ্রদ্ধা-ভালোবাসার চিত্রটা মরুভূমির নিষ্কলুষ সূর্যরশ্মির মতো প্রতিভাত হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর দিয়ে হেঁটে যেতাম, তখন করিডোরে বিমুগ্ধ চিত্তে আলাপরত কপোত-কপোতিরা দৌড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতেন। ভয়ে বা আতঙ্কে নয়, সম্মান ও শ্রদ্ধার কারণে। মধুর ক্যান্টিনে ঢুকলে দল-মত-নির্বিশেষে সবাই উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতেন। কারও হাতেই সিগারেট থাকত না। আমার মনে হয়, আজকের প্রজন্মের কাছে বিষয়টি এতই অকল্পনীয় যে, তারা এটিকে হয়তো আষাঢ়ে গল্প হিসেবে ভাববেন। আমরা যখন কলাভবনের বটতলায় বক্তৃতা করতাম, তখন বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্রছাত্রী তো বটেই, কলাভবনের বারান্দায় চেয়ার নিয়ে শিক্ষকরা এমনকি ছাত্রদের কাছে পিতৃপ্রতিম উপাচার্য আবু সাঈদ চৌধুরীও আমাদের বক্তৃতা শ্রবণ করতেন। সামগ্রিকভাবে ছাত্রছাত্রীদের আপ্লুত হৃদয়ের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার শুধু শ্রদ্ধেয় আবু সাঈদ চৌধুরীই নন, অনেক ইতিহাস-খ্যাত শিক্ষকদের প্রকাশ্যে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ের স্নেহসান্নিধ্য আমাদের ধন্য ও উজ্জীবিত করত। সব মিলিয়ে এমন একটা নিরবচ্ছিন্ন সহনশীল ও পরিমার্জিত পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, যার ফলশ্রুতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগারই ছিল না, সুশীল সমাজসহ দেশের জাগ্রত জনতার কাছে আদর্শের ও সম্মানের তীর্থস্থান ছিল। ছাত্রলীগ সভাপতি হিসেবে পল্টন এবং রেসকোর্সের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে আমি বহুবার ভিসুভিয়াসের মতো জ্বলে উঠেছি। লাল লাখ বিদগ্ধ বিমোহিত আবেগাপ্লুত জনতাকে কখনো চোখের জলে বুক ভাসাতে দেখেছি, কখনো আবেগে-উচ্ছ্বাসে সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের মতো উচ্ছ্বসিত হতে দেখেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার বক্তৃতায় আবেগ-উচ্ছ্বাসের কোনো ঘাটতি না থাকলেও পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের সশরীরে উপস্থিতি আমার চিত্তকে আবেগে আপ্লুত করলেও একটা বিনম্র শ্রদ্ধায় আমার হৃদয়কে এতটাই বিমোহিত করে রাখত যে, সহিষ্ণুতা ও পরিমার্জিত মানসিকতা আমাকে একটা স্বপ্নের দেশে পৌঁছে দিত। আমার মনে পড়ে না, ছাত্রলীগের সভা কোনো দিন আক্রান্ত হয়েছে, প্রতিপক্ষের কোনো স্লোগান সভাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে বা সভাকে বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস হয়েছে। যদিও আমাদের মধ্যে দুটি ভিন্ন ধারা প্রবাহিত ছিল, আমাদের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশটি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের উন্মাদনায় ’৭০-এর নির্বাচনের আগে নির্বাচন বর্জন এবং সশস্ত্র বিপ্লবের প্রসবযন্ত্রণায় বজ্র নিনাদে স্লোগান দিতেন। তবুও আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, ’৭০-এর নির্বাচন অনুষ্ঠানের সপক্ষ শক্তিকে আঘাত করার হীনমন্যতা তাদের পক্ষ থেকে কখনো প্রদর্শিত হয়নি। বিপ্লবী চেতনায় উজ্জীবিত শক্তিরাও যে সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছেন, আজকের ছাত্র রাজনীতি থেকে সেই সহিষ্ণুতা কর্পূরের মতো উবে গেছে। মরুভূমির ধূসর মরীচিকার মতোই আজকের রাজনীতিতে সহিষ্ণুতার অবস্থান। আজকের ছাত্র রাজনীতি গোটা জাতির প্রতিনিধিত্ব তো দূরে থাক, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব করে না। কোনো সংগঠনে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি দায়বদ্ধতাও নেই। একদিন যে ছাত্ররা সারা দেশের জনগণের আলোর দিশারী ছিল, তারাই আজ নিজেদের রাজনৈতিক দলের অঙ্গ-সংগঠনে নিজেদের অবরুদ্ধ করে ফেলেছেন। সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন ও শ্রদ্ধা-ভালোবাসার চেয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বের আশীর্বাদ-ধন্য হয়েই তারা বেঁচে থাকতে চান। তারা আজ এতটাই লক্ষ্যভ্রষ্ট যে, প্রাধান্য বিস্তারের তাগিদে প্রায়শ আত্মকলহ ও আত্মহননে মেতে ওঠেন। রাজনৈতিক নেতৃত্ব এতে বাধা তো দেনই না, এ সংকট নিরসনে কোনো পদক্ষেপ তো গ্রহণ করেনই না, বরং তারা ভাবতে ভালোবাসেন—এ অবস্থা বিরাজমান থাকলে তাদের নিয়ন্ত্রণ অক্ষুণ্ন থাকবে। মূল্যবোধহীন বহুধা-বিভক্ত সংগঠনটিকে আঁচলে বেঁধে রাখা সহজ হবে।

রাজনৈতিক পথপরিক্রমণের কণ্টকাকীর্ণ পথে আমি বহুদূর হেঁটেছি। অর্জন, সফলতা আমাদের দ্বারাই পরাধীনতার বক্ষ বিদীর্ণ করেছে। আমরা একদিকে যেমন গর্বিত ও উদ্বেলিত চিত্ত, অন্যদিকে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু আজকের ছাত্র নেতৃত্বের দৈন্যদশা, রাজনৈতিক নেতৃত্বের আজ্ঞাবহ ভূমিকা পালনের হীনমন্যতা দেখে আমার অনুভূতিটা দুমড়ে-মুচড়ে যায়, হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে— তোমরা আদর্শের সূর্যালোকে উদ্ভাসিত হও। তোমাদের পূর্বসূরিদের অর্জন ও সফলতার দিকে একটিবার ফিরে তাকাও। তোমাদের পূর্বসূরিরা যে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, তাকে সাফল্যের পাদপীঠে প্রতিস্থাপিত করার লক্ষ্যেই আজকে তোমাদের জ্ঞানতাপস হতে হবে। সেদিন আমরা লড়েছি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। আজকে তোমাদের লড়তে হবে স্বাধীনতাকে ফলপ্রসূ করার জন্য। সহিষ্ণুতা তো বটেই, অধ্যবসায় ও লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার বিকল্প তোমাদের জন্য নেই। এই সম্ভাবনাময় দেশটিকে শুধু অর্থনীতিতেই সমৃদ্ধ করা নয়, সাহিত্য-সংস্কৃতি, বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনেও জগতের দৃষ্টি কাড়ায় তোমাদেরই ভূমিকা রাখতে হবে। রক্তের দামে কেনা মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের গৌরবময় একুশে ফেব্রুয়ারি আজ বিশ্বের কাছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত।  ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটিও আজ ইউনেস্কো কর্তৃক ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ স্বীকৃতি পেয়েছে।

এ সমস্ত গৌরবোজ্জ্বল অর্জনকে সামনে নিয়ে পৃথিবীকে চমকে দেওয়ার মতো অনেক অনেক সফলতা নতুন প্রজন্মকে অর্জন করতে হবে। বিরোধী দলের নেত্রীর পথ আগলানোর বিক্ষিপ্ত সন্ত্রাস সৃষ্টি নয়, তোমাদের জীবনের দিগন্ত-বিস্তৃত আকাশ সফলতার সূর্যকিরণে উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক।  জীবনসায়াহ্নে এটিই আমার কাম্য।

লেখক : স্বাধীন বাংলা ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা।

সর্বশেষ খবর