রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা
ইতিহাস

খলিফা ওমরের (রা.) আমলে ইসলামের প্রসার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হজরত আবু বকরের মৃত্যুর পর হজরত ওমর (রা.) খেলাফতের দায়িত্ব স্বহস্তে গ্রহণ করেন এবং পরিপূর্ণ উদ্যম ও উৎসাহ সহকারে প্রথম খলিফার সীমান্তনীতি অনুসরণ করতে থাকেন। স্বল্পকালের মধ্যে তিনি পারস্য ও রোমের মতো শক্তিশালী সাম্রাজ্যকে ইসলামী হুকুমতের আধিপত্যাধীনে আনয়ন করেন। হিট্টি বলেন, ‘মহানবীর ওফাতের পর যেন জাদুমন্ত্রের ছোঁয়ায় অনুর্বর আরব দেশ অসংখ্য ও অতুলনীয় যোদ্ধা উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিণত হলো— যাদের সংখ্যা এবং গুণাবলির স্বাক্ষর আর কোথাও পাওয়া দুষ্কর ছিল।

খলিফা ওমরের (রা.) ১০ বছরের শাসনামলে ইসলামী স্রামাজ্য বহুদূর পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল। এ সময়ের বিস্ময়কর ও দুঃসাহসিক সামরিক অভিযানগুলো সম্পর্কে অধ্যাপক পিকে হিট্টি বলেন, ‘খলিদ-বিন-ওয়ালিদ ও আমর-বিন-আসের ইরাক, পারস্য, সিরিয়া ও মিসর অভিযানগুলো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সামরিক অভিযানসমূহের অন্যতম এবং এগুলো নেপোলিয়ন, হ্যানিবল ও আলেকজান্ডারের পরিচালিত যুদ্ধগুলোর সঙ্গে তুলনীয়।’

আরবের পূর্বদিকে পারস্য সাম্রাজ্য অবস্থিত। এটা ইরাক (মেসোপটেমিয়া) এবং অক্সাস নদী (আমুদরিয়া) পর্যন্ত বিস্তৃত, বর্তমান ইরান নিয়ে গঠিত ছিল। হজরত আবু বকরের শাসনামলে ইরাক ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে মুসলিম অভিযান প্রেরিত হয়েছিল। মুসলমানরা যখন যুদ্ধরত তখন আবুবকর ইন্তেকাল করেন। নতুন খলিফা ও হজরত ওমর এসব অভিযানের সাফল্যজনক পরিসমাপ্তি ঘটানোর জন্য বিশেষ তৎপর হন। এ সময় বিভিন্ন কারণে মুসলমানদের সঙ্গে পারসিকদেরও সংঘর্ষ দেখা দেয়।

ইসলামী রাষ্ট্রের শক্তি বৃদ্ধি ও এর উন্নতিতে পার্শ্ববর্তী পারস্য সাম্রাজ্য বিচলিত হয়ে পড়ে। পারসিকরা ইসলামের ধ্বংস সাধনে সব ধরনের প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়। রসুলে করিমের (সা.) জীবদ্দশায় এটা প্রথম প্রকাশ পায়। মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) পারস্যরাজ দ্বিতীয় খসরুর দরবারে দূত প্রেরণ করলে তিনি মুসলিম দূতকে অপমানিত করেন। এর ফলে মুসলমানদের মধ্যে খুব অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। প্রথম খলিফা হজরত আবু বকরের (রা.) আমলে যখন বাহরাইনে বিদ্রোহ দেখা দেয় তখন পারস্যবাসী বিদ্রোহীদের সঙ্গে সহযোগিতা করায় এ শত্রুতা প্রকট হয়ে ওঠে।  এরূপে পারস্য শক্তি ইসলামী রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ালে মুসলমানরা এর বিরুদ্ধে সতর্কতা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়।

শাকিলা জাহান

সর্বশেষ খবর