রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

কৃষিযন্ত্র ঘোরাবে কৃষির চাকা

শাইখ সিরাজ

কৃষিযন্ত্র ঘোরাবে কৃষির চাকা

যান্ত্রিক কৃষির তাগিদটি বহু আগের। শত বছর আগেই উন্নত বিশ্ব চিন্তা করেছে যান্ত্রিক কৃষির। এমনকি আমাদের এই বাংলাদেশেও যান্ত্রিক কৃষি নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়েছে সে সময়ই। রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে এ দেশে প্রথম এনেছিলেন কলের লাঙ্গল। তার ধ্বংসাবশেষ এখনো রয়ে গেছে নওগাঁর পতিসরের কাচারিবাড়িতে। সময়ের পরিক্রমায় কৃষির যান্ত্রিকীকরণে বহুদূর এগিয়ে গেছে বিশ্ব। যদিও আমরা এগিয়েছি তার সামান্যই। এক হিসাবে দেখা গেছে, জমি চাষে ৮০ শতাংশ কৃষক ট্রাক্টর বা কলের লাঙ্গল ব্যবহার করে। কিন্তু চারা রোপণ ও ধান কাটায় যন্ত্রের ব্যবহার এক শতাংশেরও কম। আর এ যন্ত্র সহজলভ্যও নয়। তাই এ খাতে ব্যাংক ঋণসহ সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা দেওয়া উচিত। আমাদের এখানে একটি ভুল ধারণাও প্রচলিত রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে মানুষ বেকার হয়ে যাবে— এমন ধারণা ঠিক নয়। বর্তমানে কৃষিপ্রধান এলাকায় শ্রমিক পাওয়া দুরূহ একটি বিষয়। দেশে নিজস্ব উদ্যোগে প্রচুর শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব জায়গাতেই জনবলের সংকট। দীর্ঘদিন ধরে দেখছি ধান কাটা ও চারা রোপণের মৌসুমে কাজের লোক পাওয়া যায় না। এই প্রেক্ষাপটে যন্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে একদিকে খরচ যেমন কমবে, অন্যদিকে স্বল্প সময়ে চারা রোপণও সম্ভব হবে।

প্রযুক্তির বিকাশ হয়েছে বলেই তো দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে। কম জমিতে চাষাবাদ করে বেশি ফসল পাওয়া যাচ্ছে। উন্নত প্রযুক্তির কারণে আমাদের ফসলের সম্প্রসারণ পদ্ধতি হরাইজেন্টাল থেকে ভার্টিকাল পদ্ধতিতে বিকাশ হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, যে গতিতে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে, সে গতিতে প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে যাচ্ছে না। প্রযুক্তি বলতে সহজে আমি বুঝি, কৃষকের কাছে এমন একটি উপাদান দেওয়া (কৃষি উপকরণ, কৃষিযন্ত্র) যা ব্যবহার করে সে নিজেও যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশও হবে উপকৃত। পরিবেশ ঠিক রেখে এটি করতে পারলেই প্রযুক্তির সফলতা। পাঠক! গেল সপ্তাহেই ঘুরে এলাম চীনের সবচেয়ে জনবহুল ও প্রাচীন শহর উহান। সেখানে গিয়েছিলাম পৃথিবীর বৃহত্তম কৃষি যন্ত্রপাতির এক মেলায় যোগ দিতে। জানতে গিয়েছিলাম কোন প্রযুক্তিগুলো বাংলাদেশের কৃষি খাতে কার্যকর হতে পারে। পৃথিবীর ৬০ দেশের প্রতিনিধি, চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা পদস্থ কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ, কৃষি প্রকৌশলী ও বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন চীনের কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী সমিতির প্রেসিডেন্ট মাও হং। বিশাল প্রদর্শনীর আয়োজক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী চারটি প্রতিষ্ঠান— চীনের কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী সমিতি ‘ক্যামডা’, চীনের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সমিতি ‘CAMA’, চীনের কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক সমিতি ‘CAAMM’ এবং চীন আন্তর্জাতিক কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শনী কমিটি CIAME। মাও হং বলছিলেন, বিশ্বব্যাপী কৃষির যান্ত্রিকীকরণ ও প্রযুক্তিগত উত্কর্ষ বাড়ছে। হস্তচালিত যন্ত্রগুলো পরিণত হচ্ছে যান্ত্রিক, আর মোটরচালিত যন্ত্রগুলোকে করে তোলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের পসরা। ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক কৃষি যন্ত্রপাতি এই মেলায় বিস্মিত হয়েছি কৃষি ী যন্ত্রের সম্মিলন দেখে। সে বিষয়েই আজ আপনাদের জানাতে চাইছি আজকের লেখায়।  উহানের হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২ লাখ ২০ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে বিশাল এই প্রদর্শনী। অনেকটা বড় বিমানবন্দরের প্লাটফরমের মতো করে ভাগে ভাগে রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক কৃষিযন্ত্র। কী ছিল না মেলায়! ছোট চপার দিয়ে পলিনেশন (পরাগায়ন)-এর কাজ হচ্ছে। লাইভ ডেমোনস্ট্রেশনে তেমনটিই দেখলাম। এমন দেখেছিলাম একবার কিশোরগঞ্জে। কিশোরগঞ্জে কৃষকরা ধানের খেতে লাইন ধরে হাঁটছে। দুই হাতে দুটি বাঁশের চটি দিয়ে এক ধারের ধান গাছ আরেক ধারের ধান গাছের সঙ্গে দোল খেলাচ্ছে। এতে পরাগরেণু উড়ে এসে একেকটি গুচ্ছের ওপর পড়ছে যা পরাগায়নে সহায়তা করছে। কৃষকের আদি উদ্ভাবন এগুলো যা এখন যন্ত্রে রূপ নিচ্ছে। উহানের প্রদর্শনীতে অংশ নেয় ১ হাজার ৯৯৩টি কোম্পানি। জমি চাষ থেকে ফসল তোলা এমনকি প্রক্রিয়া ও বাজারজাতকরণ— কৃষির যত প্রয়োজন সবই যন্ত্র দিয়ে সমাধানের আয়োজন ছিল প্রদর্শনীতে। রোবটিক যন্ত্র ভারী ট্রাক্টর আর যন্ত্রাংশের পাশাপাশি এবার মেলায় প্রাধান্য পেয়েছে রিমোটচালিত বহু রকমের ড্রোন আর এয়ার স্প্রেয়ার। ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত তিন দিনের এ বিশাল প্রদর্শনীর আয়োজক ক্যামডার উপমহাসচিব রু উই জানালেন, প্রতি বছরই এ মেলার প্রসার বাড়ছে। রু উই আরও জানালেন, চীন সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ সারা বিশ্বে কৃষি যন্ত্রপাতি বাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করতে আগ্রহী। সেই প্রচেষ্টা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তারা এবং তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ব্যবসায়ী, প্রযুক্তিবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে গণমাধ্যমও এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

গণমাধ্যম প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই পাঠক। এ মেলাতেই এবার কৃষির আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তিবিষয়ক যোগাযোগ সম্প্রসারণে গঠিত হয়েছে গণমাধ্যমের সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাগ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন ‘আপামা’। আন্তর্জাতিক কৃষি যন্ত্রপাতি মেলার শেষ দিনে ‘ক্যামডা’র উদ্যোগে গঠন করা হয় এ সংগঠন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আছেন জাপানের প্রবীণ সাংবাদিক ওসিসুকে কুশিদা, ইতালির বারবারা মেনগোজি, ইরানের গোলাফরা ফারিদুনসহ আরও অনেকে। আমারও সৌভাগ্য হয়েছে এই সংগঠনের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার। কৃষির আধুনিকায়নে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একাত্মতার প্রসঙ্গে আমরা সবাই একমত হয়েছি। আমার মতে, ফসল উৎপাদনের ধাপগুলোতে এখনো যান্ত্রিকীকরণ সম্পন্ন হয়নি। এখন ফসল উৎপাদনের ব্যয় কমানো, বেশি ফলন নিশ্চিত করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় যান্ত্রিকীকরণ অত্যন্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক ও প্রকৌশলীর মতো গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানিয়েছি ‘আপামা’র প্রথম সভায়। নেপাল, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ এই সংগঠনের সদস্য। প্রতি বছর সাধারণ সভার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কৃষির অগ্রগতি, প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির উত্কর্ষ এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশ্লেষণ করবে এ সংগঠন। বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই এ সংগঠন সুফল বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।

ফিরে আসি উহানের কৃষি যন্ত্রপাতির মেলায়। চীনের কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক সমিতির প্রেসিডেন্ট ড. চেন ঝি বলছিলেন, এ ধরনের মিলনমেলা শুধু আনন্দ-উপভোগের কেন্দ্র নয়। এখানে আসার পর এখানকার প্রযুক্তির প্রয়োগে কৃষকের মুখে যে হাসি ফোটে, সেটাই এই মেলা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশের কৃষকদের ব্যাপারেও ড. চেন ঝির ভূয়সী প্রশংসাবাণী শুনে গর্ব অনুভব করলাম। তার মতে, পৃথিবীতে যত সহজাত মেধার কৃষক রয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। এখন আধুনিক কৃষির হাইওয়েতে বাংলাদেশের কৃষকদের ঠিকঠাক ড্রাইভ করলে, বাংলাদেশই উপকৃত হবে। কৃষি খাত আরও উন্নত হবে। এমনটাই বলছিলেন ড. চেন ঝি। প্রিয় পাঠক! না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। কী নেই এই মেলায়! ফসলভিত্তিক ধান, ভুট্টা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফসল আবাদের সব পর্বের যন্ত্রপাতির এক বিশাল সমুদ্রের মধ্যে গিয়ে যেন পড়েছিলাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ইংল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, কোরিয়া, জাপান, রাশিয়া, ইউক্রেন ও বেলারুশের একেবারে আধুনিকতম কৃষি যন্ত্রপাতি প্রদর্শিত হয়েছে এই মেলায়। চীন তো ছিলই। ছিল টেকসই নানান যন্ত্র— শক্তি সঞ্চালক যন্ত্র, চাষযন্ত্র, বীজ বোনার যন্ত্র, চারা তৈরি যন্ত্র, চারা রোপণ যন্ত্র, সার প্রয়োগ যন্ত্র, উদ্ভিদ সংরক্ষণ যন্ত্র, ফসল তোলা যন্ত্র, ফসল শুকানোর যন্ত্র, ফসল পরিবহন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রের যন্ত্রাংশ।

পাঠক! কৃষিযন্ত্রের ধারণাটিই এসেছে উৎপাদনে শ্রম কমিয়ে আনার বিষয়টি মাথায় নিয়ে। একজন মানুষের বছরে ফসল উৎপাদন ক্ষমতা বিবেচনা করে দেখা যায় ১০০ বছরে শুধু যন্ত্রের কারণে বহুগুণে কমে গেছে শ্রম, বেড়ে গেছে ফসল উৎপাদন, কমে গেছে উৎপাদন ব্যয়, কৃষিতে সহায়ক প্রাণীর শ্রম কমেছে, নিয়মিত কৃষিকৌশলের উন্নয়ন ঘটছে, গ্রামীণ জীবনে পরিবর্তন আসছে, যন্ত্রই নেতৃত্ব দিচ্ছে বাণিজ্যিক কৃষির, জমির সর্বোত্তম ব্যবহার বাড়ছে। সব মিলিয়ে কৃষির প্রধান শক্তিই এখন যন্ত্র। আর প্রতিনিয়তই যন্ত্রের এক উত্কর্ষ ঘটে চলেছে। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে এবং তাকাতে হবে আগামীর কৃষির দিকে যেখানে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হতে পারে। গোটা মেলাকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। একেক ভাগে একেক ধরনের যন্ত্রপাতির সমারোহ। যেমন পরিবেশবান্ধব যন্ত্রপাতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রপাতি, যথাযথ কৃষিকাজের যন্ত্রপাতি, উদ্ভিদ সংরক্ষণ যন্ত্রপাতি, সবজি চাষাবাদবিষয়ক যন্ত্রপাতি, মাছ চাষের নানান আধুনিক যন্ত্র, গরু-বাছর আর মুরগি পালনের বিভিন্ন প্রযুক্তি, রোবটিক কৃষিযন্ত্র থেকে শুরু করে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারসংবলিত সব যন্ত্রপাতির সমারোহ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গবেষক, কৃষি প্রকৌশলী, সরকারি কর্মকর্তা এমনকি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কথা হয় বাংলাদেশের কৃষিযন্ত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আলীম ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান আলিমুস সাদাত চৌধুরীর সঙ্গে। বাংলাদেশ উপযোগী কৃষিযন্ত্র আমদানিতে আগ্রহী তারা। আর ধীরে ধীরে কীভাবে আরও সহজলভ্য এবং সাশ্রয়ী করা যায় কৃষিযন্ত্রের ব্যবহার সে বিষয়েও ভাবছেন তারা। মূলত বাংলাদেশের কৃষকদের কী করে আরও বেশি অভ্যস্ত করে তোলা যায় আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহারে, এ নিয়ে কাজ করে চলেছেন তারা।

প্রিয় পাঠক! আমার মতে আধুনিক যন্ত্র কেনায় কৃষককে অনেক বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। এজন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া জরুরি যা আমি প্রতি বছর প্রাক-বাজেট আলোচনা ‘কৃষি বাজেট, কৃষকের বাজেট’ অনুষ্ঠানে বলে আসছি। আজকের কৃষি শুধু কৃষকের নয়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মনোযোগের বিষয়। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ও উন্নয়নের সব সুবিধা কৃষির সঙ্গে যুক্ত করতে না পারলে কৃষির কাঙ্ক্ষিত সাফল্য সম্ভব নয়। এ তথ্যগুলো ছড়িয়ে দিতে আমি মনে করি আপামা (এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাগ্রি মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন) আরও বড় ভূমিকা রাখতে পারবে ভবিষ্যতে। কৃষি উন্নয়নে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নশীল বিশ্বের সেতুবন্ধ গড়ার ক্ষেত্রে এই সংগঠন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি। পাঠক! সবশেষে বলতে চাই, কৃষির আধুনিকায়নের শেষ নেই। বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ আজকের দিনে আমাদের সবচেয়ে আশান্বিত করে, আরও আশান্বিত হতে হয়, যখন প্রযুক্তির বিস্ময়কর আবিষ্কারগুলো সংযোজিত হয়ে যায় কৃষিযন্ত্রে। কৃষি ও কৃষকের চাহিদাগুলো বিবেচনা করে আমাদের দেশে কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষিযন্ত্র প্রকৌশলী বিভাগ স্বল্পমূল্যে লাগসই কৃষিযন্ত্র কৃষক পর্যায়ে পৌঁছে দেবে— এই আমার দৃঢ়বিশ্বাস।

 

লেখক : মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ইমেইল : [email protected]

সর্বশেষ খবর