শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

গণপরিবহন সংকট

এ অকাম্য অবস্থার অবসান কাম্য

বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রবিবার রাজধানীতে জনভোগান্তি চরমে উঠেছিল। হঠাৎ করেই গণপরিবহন শূন্য হয়ে ওঠে সমাবেশসংলগ্ন এলাকাগুলো। হাজার হাজার মানুষকে গণপরিবহনের অভাবে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রবিবার রাজধানীতে গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল নগণ্য। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দূরপাল্লার বাস আসা বন্ধ থাকায় বিভিন্ন জেলার সঙ্গে রাজধানীতে যোগাযোগ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর ফলেও ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় হাজার হাজার মানুষকে। পরিবহন মালিকদের দাবি, বিএনপির কর্মসূচিতে জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয় থেকে অনেক মালিক বাস নামাননি। বিকালের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তাদের মতে, নিরাপত্তার আশঙ্কায় গাবতলী, সায়েদাবাদ, মহাখালী থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়া হয়নি। বাসের সংখ্যা নগণ্য হয়ে পড়ায় অসহায় যাত্রীদের কাছে সিএনজি অটোরিকশা, হলুদ ট্যাক্সিক্যাব ও ভাড়ায় চালিত উবারের গাড়ি ছিল যেন ‘সোনার হরিণ’। কোনো রিকশা, অটোরিকশা এলেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। গণপরিবহনের অভাবে অন্যসব দিনের চেয়ে রিকশা কিংবা অটোরিকশার চালকরা হাঁকিয়েছেন তিন থেকে চার গুণ ভাড়া। তবে বিএনপি সমর্থকদের দাবি, সরকার পূর্বপরিকল্পিতভাবে গণপরিবহন সমস্যা সৃষ্টি করেছে। যে কারণেই গণপরিবহনের এক বড় অংশ বন্ধ রাখা হোক না কেন, রবিবার রাজধানীর লাখ লাখ যাত্রী যে জিম্মি অবস্থার শিকার হয়েছিলেন তা এক মহাসত্য। সাশ্রয়ী খরচের গণপরিবহনের বদলে রিকশা, সিএনজি, ট্যাক্সিক্যাবে রবিবার যারা যাতায়াত করতে বাধ্য হয়েছেন তাদের কয়েক গুণ অর্থ গুনতে হয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে কেন? জনগণের জন্য রাজনীতি এমন কথা বলা হয় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে জনস্বার্থের বিষয়টি উপেক্ষাই করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে আসার সময় নেতানেত্রীদের সংবর্ধনায় অচল হয়ে পড়ছে রাজধানী। জনসভার নামে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রতিপক্ষকে জব্দ করার নামে প্রকারান্তরে সাধারণ মানুষকে জব্দ করা হচ্ছে। এ অকাম্য অবস্থার অবসান হওয়া উচিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর