শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

রাস্তা ফুটপাথ অপদখল

দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে

রাজধানীর যানজট অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে ও এর অন্যতম প্রধান কারণ ফুটপাথ দখল এবং যেখানে সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের ঘটনা। এ দখলদারিত্বের সঙ্গে দুই সিটি করপোরেশনের দুর্নীতিবাজ কর্মচারী, কাউন্সিলর ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী এবং পুলিশের অসৎ সদস্যদের জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। এ অশুভ চক্রটি ফুটপাথ থেকে চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বোধগম্য কারণেই ফুটপাথ দখলমুক্ত করার ক্ষেত্রে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরাই প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ফুটপাথ-রাস্তা দখলমুক্ত করার জন্য বার বার অভিযান চালালেও চাঁদাবাজরা তা ব্যর্থ করে দিচ্ছে। তারা হকারদের উসকে দিচ্ছে নিজেদের স্বার্থে। রাস্তা বা ফুটপাথ দখল করে দোকানপাট বসানো চূড়ান্তভাবে অবৈধ। এ অবৈধ কর্মকাণ্ডে যারা লিপ্ত তাদের প্রতি সিটি করপোরেশনের কোনো দায় থাকার প্রশ্ন অবান্তর। হকারদের রাজধানীর নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে কিন্তু কোনো অবস্থায় রাস্তা বা ফুটপাথ অবরুদ্ধ করার সুযোগ দেওয়া যায় না। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীর ফুটপাথ ও রাস্তা দখলের সঙ্গে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর জড়িত। ফুটপাথ থেকে আদায়কৃত চাঁদার ভাগ পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, টাউট রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং জনপ্রতিনিধিরাও। রাজধানীর রাস্তা ফুটপাথকে অপদখলমুক্ত করতে হলে শুধু উচ্ছেদ নয়, অবৈধ দখলকারীদের গ্রেফতার ও জরিমানার ব্যবস্থা করতে হবে। অবৈধ দখলকারীদের গডফাদারদেরও রুখতে হবে। বিশেষ করে যেসব কাউন্সিলরের এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাথ অপদখলে আছে তার দায় যাতে তাদের ওপর বর্তায় এমন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।  যানজটে অচল রাজধানীকে সচল করতে রাস্তা দখলের প্রক্রিয়াকে শক্ত হাতে রুখতে হবে। যারা সাধারণ মানুষের চলাচলের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে তাদের প্রতি কোনো সহানুভূতি থাকাই উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর