রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

কোন পথে চলছে নেপাল

ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক

  কোন পথে চলছে নেপাল

নেপাল ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জাতিরাষ্ট্র। দক্ষিণ এশিয়ার ৫ হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতা, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে নেপাল সম্পৃক্ত। প্রাচীনকালে হিন্দুধর্মের প্রাণপুরুষ শ্রীরাম জনক রাজার দুহিতা সীতাকে বিয়ে করেন। মৌর্য সম্রাট অশোক গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীতে গিয়েছিলেন এবং অশোক পিলার স্থাপন করেন। আয়তনে প্রায় বাংলাদেশের সমান এই রাষ্ট্রটি নানা কারণে পরিচিতি লাভ করেছে। মধ্যযুগে নেপাল ২৪টি ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। প্রায় আড়াই শ বছর আগে পৃথ্বী নারায়ণ শা এই ২৪টি রাজ্য একত্র করে শা বংশকে প্রতিষ্ঠা ও নেপাল রাজ্যকে সম্প্রসারিত করেন। নেপালের বিশাল অংশ ব্রিটিশের দখলে চলে যায় এবং বাকি অংশ স্বকীয়তা বজায় রেখে ব্রিটিশ প্রভাবিত রাজ্যে পরিণত হয়। আধুনিক নেপালের শুরু ১৯৫০-এর দশকের প্রথমে, রাজা ও রানা বংশের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, অন্যদিকে নতুন রাজনৈতিক দলের উত্থানের একপর্যায়ে রানা শাসকরা রাজা ত্রিভুবনকে অন্তরীণ করে রাখেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ভারতের সহযোগিতায় রাজা, রানা ও রাজনৈতিক দলের ত্রিপক্ষীয় এক সমঝোতার ভিত্তিতে ১৯৫৯ সালে সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেস জয়লাভ করে এবং বি পি কৈরালা প্রধানমন্ত্রী হন। রাজা মহেন্দ্র একপর্যায়ে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করে একদলীয় পঞ্চায়েতব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এ সময় কৈরালা ও অন্য রাজনৈতিক নেতারা ভারতে আশ্রয় নিয়ে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ জানানোসহ জনমত গঠনের কাজ করতে থাকেন। নেপালিরা কয়েক শতক ধরে নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র দ্বারা শাসিত। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বার বার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

১৯৮০-এর দশকের গোড়ায় নেপালে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন তীব্র হলে রাজা বীরেন্দ্র বীরবিক্রম শা গণভোটের ব্যবস্থা করেন। এর ফলাফল প্রভাবিত হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে। রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে নব্বইয়ের আন্দোলন গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এ সময় সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের মাধ্যমে সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু হয়। ২০০১ সালে রাজা বীরেন্দ্র ও তার পরিবার রয়েল ম্যাসাকারে নিহত হলে তার সহোদর রাজা জ্ঞানেন্দ্র ক্ষমতা দখল করেন। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে জ্ঞানেন্দ্র নিরঙ্কুুশ ক্ষমতার অধিকারী হন। ২০০৬ সালে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বকারী সাতটি দল ও মাওবাদীরা কংগ্রেস নেতা জি পি কৈরালার নেতৃত্বে ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। প্রসঙ্গত, জি পি কৈরালার সঙ্গে মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচন্ডের সমঝোতা বৈঠক দিল্লিতেই হয়েছিল। ২০০৬ সালেই রাজতন্ত্রের পতন ঘটে এবং ফেডারালিজম রিপাবলিক অব নেপাল গঠিত হয়। কংগ্রেসপ্রধান ও রাজনৈতিক ফ্রন্টের আহ্বায়ক জি পি কৈরালা সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রের নীতিমালা নির্ধারিত হয় গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, ইনস্কুসিভনেস ও ফেডারালিজম। ২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৮ সালের নির্বাচনে কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী), কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) যথাক্রমে শতকরা প্রায় ২৯, ২৩ ও ২২ ভাগ ভোট পায়। এ ছাড়া রয়েছে মাদেশি বিভিন্ন দল ও অন্যান্য সংগঠন। নেপালে রয়েছে ১২৪টি নিবন্ধিত দল, এর মধ্যে ৪০টি ক্রিয়াশীল। তবে উপরোক্ত দল তিনটিই প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। নেপালের ছিল দুটি প্রধান সমস্যা— সংবিধান প্রণয়ন ও সশস্ত্র যোদ্ধাদের আত্মকরণ। আলোচনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দ্বিতীয় সমস্যাটির সমাধান হয়ে যায়। কিন্তু সংবিধান প্রশ্নে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতানৈক্য চলতে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারব্যবস্থা, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা, দেশকে বিভিন্ন প্রদেশে ভাগ করা, সীমানা নির্ধারণ ও বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে মতানৈক্য চলতে থাকে। দুই বছরের মধ্যে সংবিধান প্রণয়নের কথা থাকলেও প্রায় চার বছর প্রলম্বিত হওয়ার পরও তা প্রণয়ন করা যায়নি। পরবর্তী সময়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ২০১৩ সালের নভেম্বরে আবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনে কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) ও কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) প্রধান প্রধান দল হিসেবে আবারও আত্মপ্রকাশ করে। তারা যথাক্রমে ভোট পায় প্রায় ২৬, ২৪ ও ১৫ শতাংশ।

কমিউনিস্ট পার্টি মাওবাদীদের ভোট ২০০৮ সালের নির্বাচনের ২৯ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমে যাওয়ার কারণ হলো দলে কোন্দল ও চরমপন্থা অনুসরণ। পরবর্তী সময়ে মহনবৈদ্যর নেতৃত্বে একটা অংশ পৃথক দল গঠন করে ও যারা পরবর্তী সময়ে নির্বাচন বর্জন করে। প্রথমে সুশীল কৈরালার নেতৃত্বে কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) এবং অন্যান্য ছোট দল নিয়ে সরকার গঠন করে। প্রচন্ডের নেতৃত্বে কমিউনিস্ট পার্টি মাওবাদীসহ অন্যান্য দল বিরোধী দলে অবস্থান করে। নেপালে একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোয় কোন্দল ও মতানৈক্য রয়েছে, পাশাপাশি দীর্ঘ সময় নিলেও নেতৃবৃন্দের পারস্পরিক আলোচনার ফলে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য এসেছে। ঐকমত্য ও সঠিক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্ট বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। সুপ্রিম কোর্ট সময়ের ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করেছে এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গৃহীত প্রজাতন্ত্রের মূল নীতিমালা থেকে বিচ্যুতি হওয়া যাবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে। যার ফলে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণীত হয়েছে। সংবিধান প্রণয়নের সময় বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বের প্রশ্নে আন্দোলন চলতে থাকে এবং অবরোধের কর্মসূচি পালিত হয়।

নেপালে রয়েছে সাতটি প্রদেশ। এর সীমানা নির্ধারণ নিয়েও জটিলতা ছিল। পরে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে অনেকাংশে সমস্যা সমাধান হয়। ২০১৭ সালে সংবিধানের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতিমধ্যে পার্লামেন্ট এবং প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন ও ফল প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনে দুটি প্রধান কমিউনিস্ট পার্টি ও অন্যান্য ছোট দল একত্র হয়ে বাম জোট গঠন করে। কংগ্রেসের নেতৃত্বে মাদেশি দলসহ গঠিত হয় গণতান্ত্রিক জোট। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যায়, কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল) পায় ৮০, কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী সেন্টার) ৩৬, কংগ্রেস ২৩, আরজেপি ১১ ও এফএসএফ ১০টি আসন লাভ করে। মোট আসন ১৬৫টি। এ ছাড়া ভোটের আনুপাতিক হারে আরও ১১০টি আসন নির্ধারিত হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মেয়র/চেয়ারম্যান পদে কমিউনিস্ট পার্টি (ইউএমএল), নেপালি কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী সেন্টার), এফএসএফ, আরজেপি যথাক্রমে— ২৯৪, ২৫৬, ১০৬, ৩৪ ও ২৫টিতে জয়ী হয়। জাতীয় নির্বাচনে ইউএমএল, কংগ্রেস, মাওবাদী সেন্টার ভোট পেয়েছে যথাক্রমে প্রায় ৩৩, ৩৩ ও ১৩.৬ ভাগ। অন্য দুটি দলও শতকরা ৫ ভাগের মতো ভোট পেয়েছে। সাতটি প্রাদেশিক পরিষদের মধ্যে ছয়টিতেই বাম জোট জয়লাভ করেছে।

উপরোক্ত আলোচনা, তথ্য-উপাত্ত থেকে দেখা যায়, বিগত প্রায় ৭০ বছর ধরে জনগণ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছে। বিভিন্ন সময় আন্দোলন স্তিমিত ও বাধাগ্রস্ত হলেও লক্ষ্যচ্যুত হয়নি। নেপালে ছিল নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র। নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের অধীনে সংসদীয় ব্যবস্থা। আবার বাধাগ্রস্ত হলে ২০০৬ সালে গণঅভ্যুত্থানে ফেডারেল গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, আন্তদলীয় কোন্দল থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর সময় নিয়ে হলেও গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করেছে। এ সময় দেশ অগণতান্ত্রিক ধারায় চলে যেতে পারত। কিন্তু বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমর্থন এবং বিশেষ করে পাশের গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় নেপালের পার্লামেন্ট সংবিধান প্রণয়ন করে। এখানের কোনো কোনো মহল সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলকে ভারতপন্থিদের পরাজয় বা কেউ কেউ চীনাপন্থিদের বিজয় হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন। প্রসঙ্গত, নেপালের মধ্য, বাম, ডান সব পন্থি নেতাই ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভারতের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার জন্য যাতায়াত করছেন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসৎসাসুবিধাও নিচ্ছেন। বামপন্থি নেতা কে পি শর্মা ওলি আন্দোলনের সময় আটকা পড়লে ভারতের সহযোগিতায় ভারতে আশ্রয় নেন। প্রচন্ডসহ মাওবাদীরাও সশস্ত্র সংঘাতের বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতে আসা-যাওয়া করেছেন। অবরোধ ও আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষমতাসীনরা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও ভারত সবসময় নীতিগতভাবে গণআন্দোলনের সঙ্গেই ছিল। ভারতের সঙ্গে দেশটির পুরো সীমান্ত খোলা। অবাধে যাতায়াত করা যায়।

নেপালের প্রায় ৫০ লাখ লোক ভারতে অবস্থান করছে (কোনো কোনো মহলের মতে প্রায় ১ কোটি)। ৪৫ হাজার নেপালি ভারতীয় সেনাবাহিনীতে রয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত নেপালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। ভারতেরও নেপালে রয়েছে প্রায় ৫ লাখের মতো লোক, যারা নেপালের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। নেপালের সব প্রধানমন্ত্রী প্রথম সফর করেন ভারতে। কে পি শর্মা ওলি ভারত সফরে বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক (ন্যাচারাল) সহজাত। প্রচন্ড উল্লেখ করেছেন, বিশেষ সম্পর্ক যা সভ্যতার সংযোগ। কংগ্রেস নেতারা প্রায় সাত দশক ধরে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত করছেন। নেপাল এলডিসিভুক্ত একটি দেশ। বিগত কয়েক বছর নেপালে প্রবৃদ্ধি ৪ থেকে ৫ শতাংশ হচ্ছে। আমাদের মতো বিদেশে অবস্থানরত নেপালিদের রেমিট্যান্স বৈদেশিক আয়ের একটি বড় উৎস। এ ছাড়া পর্যটনশিল্প থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়। কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রেও অগ্রগতি হচ্ছে। নেপালের আছে প্রাকৃতিক সম্পদ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৮০ হাজার মেগাওয়াট। তবে অর্থনৈতিকভাবে ৪৩ হাজার মেগাওয়াট লাভজনক হবে, যা ভারত ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ঘাটতিতে অবদান রাখতে পারে। রাজনীতিতে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন বিদ্যুৎ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যায়। ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ অর্থনীতির প্রায় শতকরা ৬০ ভাগ ভারতের সঙ্গে যুক্ত।

প্রসঙ্গত, ভুটানেরও জলসম্পদ রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৩৫ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ভারতে বিক্রির ফলে ভুটানের মাথাপিছু গড় আয় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ঈর্ষণীয় অবস্থানে আছে। জিডিপির ৮০ শতাংশই ভারতে বিদ্যুৎ রপ্তানি থেকে আসে। উপরোক্ত পর্যালোচনা থেকে দেখা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির সঙ্গে নেপালেরও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে। আধুনিক নেপালের সঙ্গেও ভারতের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদার হচ্ছে, ফলে গণতান্ত্রিক ধারা শক্তিশালী হচ্ছে এবং অগ্রগতিও অর্জন করছে। নেপালের নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য দিক হলো বিপুলসংখ্যক ভোটারের উপস্থিতি যা চরমপন্থাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। উগ্রবাদ, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ অন্যান্য দেশের মতো নেপালেও সমর্থন হারিয়েছে। বহুত্ববাদকে মেনে নিয়ে গণতান্ত্রিক পন্থায় সমস্যা সমাধান হবে এবং সমৃদ্ধিশালী দেশে পরিণত হবে— রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সব দেশের জনগণের এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : সাবেক অধ্যাপক ও রাষ্ট্রদূত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর