রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

এমপিওভুক্তির দাবি

প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ কাম্য

এমপিওভুক্তির আশ্বাসে অনশন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। পৌষের প্রচণ্ড শীতের মধ্যে ছয় দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ও পরে অনশন ধর্মঘট পালন করছিলেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বছরের পর বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করে তারা নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন। এমপিওভুক্তির দাবিটি তাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব প্রধানমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে আন্দোলনরতদের সামনে উপস্থিত হন। এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া শুরুর আশ্বাস পৌঁছে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে। আশ্বাস পেয়ে দীর্ঘ অনশনে ক্লান্ত মুমূর্ষু শিক্ষকদের মাঝে শুরু হয় আনন্দের বন্যা। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে— এমন আশ্বাস পেয়ে আমরা অনশন ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্মর্তব্য, এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হয়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমরণ অনশন প্রত্যাহারের আহ্বান জানালে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলেন। এমপিওভুক্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস না নিয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন না বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ধর্মঘটী শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি পূরণে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যাতে ঘুষ, দুর্নীতির নোংরা দৈত্য থাবা বিস্তার করতে না পারে সেদিকে নজর রাখা হবে। পাশাপাশি নতুন করে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হবে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা আরও মনোযোগী হয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে অবদান রাখবেন— এমনটিও কাঙ্ক্ষিত। জাতীয় স্বার্থে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। শিক্ষক নিয়োগেও আলাদা কমিশন গঠনের বিষয়টি সময়ের দাবি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর