বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

রোগ নিরাময়ে উদ্ভিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

দেহকে নীরোগ রাখার জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৌলতে প্রস্তুত হচ্ছে নানা ধরনের ওষুধ, যা ব্যবহারে মানুষের গড় আয়ু উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় অধিকাংশ ওষুধের উপাদানগুলো গাছপালা থেকে আসছে। মানবদেহের ওপর গাছের প্রভাব জানার পর রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় এ উপাদানগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে ওষুধের দাম এখন এত বেশি যে, অতি সাধারণ একটি রোগের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। সুতরাং কোনো রোগ জটিল আকার ধারণ করার আগে আমাদের চারদিকে ছড়িয়ে থাকা কিছু গাছপালাকে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের গাছপালায় আচ্ছাদিত আমাদের এই দেশটি প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।

থানকুনি : যার বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica. খ. সাধারণত আর্দ্র জমিতে বা পুকুরের কিনারায় এ গাছ জন্মায়। এ গাছ বলবৃদ্ধিকারক এবং চর্মরোগ, কুষ্ঠ, ধাতু রোগ ও রক্তদুষ্টিতে উপকারী। এ পাতা স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং উন্মাদ রোগে এর ব্যবহার রয়েছে।

হেলেঞ্চা : যার বৈজ্ঞানিক নাম  Enhydra fluctuans Lour. জলাভূমির কিনারায় বা কাদাটে জমিতে এ গাছ দেখা যায়। কোনো কোনো সময় পুকুরে এ গাছ পাওয়া যায়। এটি পিত্তাধিক্যরোধক এবং চর্মরোগ, যকৃৎ ও স্নায়ুরোগে উপকারী। এ গাছের রস অনিদ্রা দূর করে।

আমরুল : বৈজ্ঞানিক নাম Oxalis Corniculata খ. পতিত জমি ও বাড়ির আশপাশে এ গাছ দেখা যায়। এটি ক্ষুধাবর্ধক, পেটের পীড়া, আমাশয় ও চর্মরোগে উপকারী। গাছটি স্কার্ভি রোগ নিরাময়ের জন্য প্রসিদ্ধ। অজীর্ণতা রোগে টাটকা পাতার ঝোল ক্ষুধা বাড়ায় ও হজমে সাহায্য করে।

আফতাব চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর