সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা
ইতিহাস

গুজরাট

১২৯৭ খ্রিস্টাব্দে আলাউদ্দীন খিলজি গুজরাট অধিকার করে দিল্লি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। তখন থেকে এটি মুসলমান শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়ে আসছিল। ১৪০১ খ্রিস্টাব্দে একজন ধর্মান্তর গ্রহণকারী রাজপুতের পুত্র জাফর খান সেখানকার শাসনকর্তা নিযুক্ত হলে তিনি সুলতান ‘মুজাফ্ফর শাহ্’ উপাধি ধারণ করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। মুজাফ্ফর শাহ্ মালবের শাসনকর্তাকে পরাস্ত করেন এবং ধর অধিকার করেন। তার পৌত্র আহমদ শাহ্ অতঃপর সিংহাসন লাভ করেন। তাকেই স্বাধীন গুজরাটের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়। তিনি একজন সুদক্ষ যোদ্ধা ছিলেন এবং মালব ও প্রতিবেশী রাজপুত সর্দারগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়লাভ করেছিলেন। সুশাসক ও নিরপেক্ষ বিচারক হিসেবেও তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করেন। তিনি অভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থার প্রতি নজর দিয়েছিলেন। রাজত্বের প্রথম বছরে তিনি আহমদাবাদ নগর প্রতিষ্ঠা করে একে রাজ্যের রাজধানী করেন।

আহমদ শাহের পৌত্র মাহমুদ বিগরহ্ ছিলেন পরবর্তী শ্রেষ্ঠ সুলতান। তিনি মালবের শাসনকর্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে গিরনার ও চাম্পানির অধিকার করেন। তার রাজত্বকালে পর্তুগিজগণ প্রথম ভারতবর্ষে পদার্পণ করে। তিনি তাদের বিতাড়িত করার জন্য মিসরের মামলুক সুলতানের সাহায্য প্রার্থনা করেন। ১৫০৮ খ্রিস্টাব্দে উভয়ের মিলিত বাহিনী কৌল বন্দরের কাছে পুর্তগিজদের পরাজিত করে। কিন্তু দিউর কাছে ১৫০৯ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজগণ এ মিলিত বাহিনীকে ভীষণভাবে পরাস্ত করে। তারা দিউ-এর কাছে কারখানা নির্মাণ করার জন্য একটি জায়গা ছেড়ে দিতে মাহামুদকে বাধ্য করেন। ১৫১১ খ্রিস্টাব্দে মাহমুদ মৃত্যুমুখে পতিত হন। গুজরাটের গৌরব ও খ্যাতি তিনি বর্ধিত করেছিলেন। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব সুলতানের মধ্যে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ। তার সময় গুজরাটের সমৃদ্ধি চরমে ওঠে।  অতঃপর তার পুত্র দ্বিতীয় মুজাফ্ফর সিংহাসনে আরোহণ করেন। মেবারের রানা সংগ্রামসিংহের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তিনি কৃতকার্য হন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর