মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন

শান্তি ও সমঝোতার পরিবেশ জরুরি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, এ অঞ্চলের ভূমির মালিকানা তাদেরই থাকবে। সরকার শান্তিচুক্তির সিংহভাগ বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জমিজমার মালিকানা সেই ব্রিটিশ আমলে করা আইন দিয়ে নয়, বরং আমাদের সব জায়গায় মানুষ যেন তাদের ভূমির মালিকানা পায়, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেন তাদের ভূমির মালিকানাটা সেভাবে নিতে পারে সেটাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই। তিনি পার্বত্য এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখারও তাগিদ দিয়েছেন। গত রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার মিটিঙ্গাছড়িতে চার হাজারতম পাড়াকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় এ পাড়াকেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছে নারী ও শিশুর সব ধরনের মৌলিক সামাজিক সেবা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে। প্রধানমন্ত্রী শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার বিষয়টিও তুলে ধরেন। শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যার সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তাৎপর্যের দাবিদার। সন্দেহ নেই ভূমির মালিকানার বিষয়টি যে কোনো এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পার্বত্য চট্টগ্রামে অতীতে ভূমি মালিকানার সুস্পষ্ট নিয়ম-কানুন না থাকায় শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে তা একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সমস্যার সমাধানে সরকার কমিশন গঠনসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের অধিকার সমুন্নত রাখা ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভূমি সমস্যার সমাধানে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির মালিকানা পার্বত্যবাসীর থাকবে, এ নিশ্চয়তাও দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। সরকারের এই সদিচ্ছা বাস্তবায়নে সব পক্ষের সহায়তার বিষয়টিও জরুরি। শান্তিচুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের জন্য শান্তি ও উন্নয়নের যে দ্বার খুলে দিয়েছে তা উন্মুক্ত রাখতে সব পক্ষকে কাজ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশের মূলধারার সঙ্গে একাত্ম করতে পাহাড়ি-অপাহাড়ি ভেদাভেদ ভুলে নিজেদের মধ্যে ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক গড়ে তোলাও জরুরি। পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের বুঝতে হবে, শান্তি ও উন্নয়নের সঙ্গে তাদের সবার স্বার্থ জড়িত। এ স্বার্থ যাতে ব্যাহত না হয় সে লক্ষ্যে সব পক্ষের সমঝোতাও জরুরি।

সর্বশেষ খবর