বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

নতুন ভোটার তালিকা

দুর্বৃত্তপনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে

আগামী নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক ভোট দিতে পারবেন। গত বুধবার দেশজুড়ে যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ১৭ কোটি জনসংখ্যার প্রাপ্ত বয়স্ক প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভোটার হয়েছেন। এর মধ্যে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৪৩ লাখেরও বেশি। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়। এরপর গত ১০ বছরে দেশে ভোটার বেড়েছে সোয়া দুই কোটিরও বেশি। এর মধ্যে এ বছর হালনাগাদে যোগ হয়েছে ৪৩ লাখ ২০ হাজারের মতো নতুন ভোটার। বিদ্যমান ১০ কোটি ১৪ লাখের বেশি ভোটার থেকে মৃত ১৭ লাখ বাদ দেওয়া এবং নতুন ভোটারদের নিয়ে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৪১ লাখের মতো। যারা একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট দেবেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৬৭ জন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে নবম সংসদ নির্বাচনের সময় দেশে মোট ভোটার ছিল ৮ কোটি ১০ লাখ ৮৭ হাজার। নবম সংসদ নির্বাচনের পর যারা ভোটার হয়েছেন তাদের বেশিরভাগের বয়স এখন ১৮ থেকে ২৮ বছর। স্মর্তব্য, প্রতিবছর গড়ে ভোটার তালিকায় যোগ হচ্ছে প্রায় ২৫ লাখ ভোটার। প্রতি বছরের ১ জানুয়ারি ১৮ বছর হলেই নাগরিকদের ভোটার তালিকাভুক্ত করা হয়। এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বছরের উপযুক্ত সময়ে হালনাগাদ করার জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে; বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ চলে। এ ছাড়া বছরের যে কোনো সময়ই ভোটারযোগ্যদের নিবন্ধন করা হয়। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নতুন বছরের শুরুতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সম্পন্ন করতে সমর্থ হলো। দেশে বর্তমান যে পদ্ধতিতে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হয় তাতে কারোর পক্ষে একাধিক স্থানে ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই। ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি হওয়ায় ভুয়া ভোট দেওয়ার সুযোগও সীমিত হয়ে এসেছে। তবে পরিচ্ছন্ন নির্বাচন চাইলে ভোট কেন্দ্র দখল করে সিল মারার দুর্বৃত্তপনা রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেটি নির্বাচন কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর