সোমবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

সহিষ্ণু হন : অপেক্ষা করুন— জনগণ নির্বাচন চায়

তুষার কণা খোন্দকার

সহিষ্ণু হন : অপেক্ষা করুন— জনগণ নির্বাচন চায়

মেয়র আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ হঠাৎ শূন্য হয়ে গিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন মেয়রের শূন্যপদে আইনমাফিক নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার পরেও জনমনে প্রশ্ন ছিল—শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হবে কি? দেশের মানুষের মনে শঙ্কা ছিল, বর্তমান সরকার সরকারি দলের প্রার্থীর জয়ী হওয়ার ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত হতে না পারলে ঢাকা শহরের একাংশের মেয়র পদের মতো অতি সংবেদনশীল একটি পদে নির্বাচন করার ঝুঁকি নেবে না। জয়ী না হওয়ার আশঙ্কা দেখলে সরকার বাঁকাপথে নির্বাচন থেকে পিছিয়ে আসার ফিকির খুঁজবে। জনমনের আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। জনগণ বিশ্বাস করে, সিটি করপোরেশনের নির্বাচন লটকে দেওয়ার মধ্য দিয়ে সরকারি দল নিজেদের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা দিতে ভয় পেয়েছে। বর্তমান সরকার নিজেদের জনপ্রিয় বলে দাবি করে বক্তৃতা দিতে গিয়ে গলা দিয়ে রক্ত তুলে ফেলছে। তবে তারা নিজেরাও জানে না আসলে আওয়ামী লীগ সরকার জনপ্রিয়, নাকি দেশের মানুষের কাছে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। মানুষ বিশ্বাস করে, জনপ্রিয়তার পরীক্ষা দেওয়ার প্রশ্নে সরকার আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছে। সে কারণে সরকার নির্বাচন ভণ্ডুল করার উপায় খুঁজছিল। যদিও বিএনপি ঘরানার এক ব্যক্তির মামলার ফলে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ভণ্ডুল হয়েছে তবুও জনমনের বিশ্বাসের কোনো হেরফের হয়নি। মানুষের দৃঢ় বিশ্বাস, যে লোক মামলা করে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ভণ্ডুল করেছে সে শিখণ্ডী মাত্র। আসলে নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য সরকার আড়াল থেকে কলকাঠি নেড়েছে। যে মানুষটি মামলা করে নির্বাচন আটকে দিয়েছে সে বিএনপির সক্রিয় কর্মী এই অজুহাত দেখিয়েও জনমনের বিশ্বাস টলানো সম্ভব হয়নি।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান দেখে সারভান্তেসের ডন কুইক্সোট উপন্যাসের একটি ঘটনা মনে পড়ল। উপন্যাসের নায়ক ডন কুইক্সোট সারাক্ষণ কল্পনার জগতে বাস করত। সে বিশ্বাস করত, সে একজন স্যার নাইট কারণ সে একজন বীরযোদ্ধা। আসলে নাইটগিরির জমানা কখন যে পার হয়ে গেছে, সেটিও তার ধারণায় ছিল না। এমন উদ্ভট চিন্তার মানুষ ডন কুইক্সোট নাইটগিরি ফলানোর জন্য যুদ্ধে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করল। ভাবল, যুদ্ধে যেতে হলে তাকে ঢাল-তলোয়ার আর শিরস্ত্রাণ দিয়ে নাইটদের মতো সুসজ্জিত হতে হবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ। আগের দিনের যোদ্ধাদের মাথায় যেমন লোহার শিরস্ত্রাণ থাকত, ঠিক সে রকম শিরস্ত্রাণের আদলে সে কাগজের মণ্ড আর চকমকে জরি দিয়ে একটা শিরস্ত্রাণ তৈরি করল। শিরস্ত্রাণটি লোহার মতো শক্ত হয়েছে কি না সেটা পরীক্ষা করার জন্য ডন কুইক্সোট তার নড়বড়ে তরবারি দিয়ে শিরস্ত্রাণের ওপর মাঝারি মাপে আঘাত করতেই তার সাধের শিরস্ত্রাণ ভেঙে দুমড়ে গেল। ডন কুইক্সোট মনের দুঃখ মনে চেপে আবার একটি শিরস্ত্রাণ তৈরি করতে বসল। নতুন শিরস্ত্রাণ তৈরি করার পরে সেটি মজবুত হয়েছে কি না সেটা পরীক্ষা করার সাহস পেল না। তরবারির ঘায়ে পাছে নতুন শিরস্ত্রাণটিও ভেঙে যায় এই ভয়ে সে সেটি পরীক্ষা না করেই মাথায় চাপাল।

বর্তমান সরকার কী তার জনপ্রিয়তার ভিত্তি পরীক্ষা করতে ভয় পাচ্ছে? ভয় পাবে না কেন। গত নির্বাচনে সরকার একতরফা মনগড়া একটি নির্বাচন করেছে এটি ক্ষমতাসীনরা নিজেরাও জানে। বর্তমান সরকারের ‘মহান সংসদে’ ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে সংসদ আলো করে বসে আছেন। গত নয় বছরে সংসদ সদস্যরা জনগণের জন্য কী করেছেন সেটি আমরা জানি না, তবে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তারা অনেক সুখ ভোগ করেছেন। মোটা অঙ্কের বেতন-ভাতা এবং ট্যাক্স-ফ্রি গাড়ি দিয়ে তাদের সাংসদীয় যাত্রা শুরু। এরপর ধাপে ধাপে তাদের উদরপূর্তির কেচ্ছায় পত্রিকার পাতা ভরে ওঠে। গৃহায়ণমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে মাঝে মাঝে সংসদ সদস্যদের ঢাকা শহরে প্লট এবং ফ্ল্যাট প্রাপ্তির ফিরিস্তি দেন। সংসদ সদস্যরা প্রবল উল্লাসে টেবিল চাপড়ে উদরপূর্তির মাহেন্দ্র্যক্ষণকে স্মরণীয় করে তোলেন। মন্ত্রীর বর্ণনা এবং সংসদ সদস্যদের ফুর্তির মাত্রা দেখে মনে হয় সংসদ সদস্য একা নয়, তার সংসদীয় এলাকার জনগণ বুঝি ঢাকা শহরে প্লট আর ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। সংসদ সদস্যদের প্লট এবং ফ্ল্যাট প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে জনগণের দূরত্ব কত বেড়ে যায় সেটি কি রাজনীতিবিদরা জানেন না? আরও একটি বিষয় আমার মাথায় ঢোকে না। সংসদ সদস্যরা সংসদ সদস্য হওয়ার আগে নিশ্চয়ই ঢাকা শহরে তাদের ঠাঁই-ঠিকানা ছিল না। সংসদ সদস্য হওয়ার পরে সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের ঢাকা শহরে সাময়িক অবস্থানের প্রয়োজনে সরকার প্রায় নিখরচায় বন্দোবস্ত করে দেন। সংসদ সদস্যরা ন্যাম ফ্ল্যাট কিংবা এমপি হোস্টেলে সদলবলে অবস্থান করেন বলেও পত্রিকার পাতায় খবর ছাপা হয়। তার মানে, সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য এমপিদের ঢাকা শহরে থাকার প্রয়োজন সরকার তাত্ক্ষণিক মিটিয়ে ফেলার বন্দোবস্ত রেখেছে। কাজ শেষে সংসদ সদস্যরা যে যার ঠাঁই-ঠিকানায় ফিরে যাবেন—এটাই তো স্বাভাবিক। তাহলে, সরকার এমপিদের নামে প্লট-ফ্ল্যাট বরাদ্দ করে জনগণের টাকায় কেন এমপিদের ঢাকা শহরের স্থায়ী বাসিন্দা বানিয়ে ফেলে সেটি আমার মাথায় ঢোকে না। গ্রাম থেকে মানুষের শহরমুখী স্রোত ফেরানোর জন্য সরকার গ্রামে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ কিংবা এ জাতীয় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অথচ সরকার তার নিজের নীতিগত অবস্থান থেকে সরে এসে গ্রামের এমপিদের শহরে বাড়িঘর বানিয়ে দিচ্ছে কোন যুক্তিতে?

এমনিতেই রাজনীতিবিদরা এমপি হওয়ার পরে আর এলাকামুখো হতে চান না। তারপর সরকারি খরচে শহরে আমিরি হালতে বসবাসের সুবন্দোবস্ত পেয়ে তারা পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন বলে ধরে নেওয়া যায়। রাজনৈতিক দলের জন্য জনবিচ্ছিন্ন রাজনীতিবিদরা সম্পদ নাকি তারা দলের বোঝা? আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী যারা আজীবন রাজনীতি করে অভ্যস্ত তাদের কেউ কেউ ইদানীং প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তারা বলছেন, অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে যারা জামানত হারাত তেমন লোকেরা সকালে ঘুম ভেঙে দেখে সরকারের দয়ায় এমপি হয়ে বসে আছেন। এমন এমপিরা এলাকার ভোটারের কাছে কোনোরকম দায়বদ্ধতা বোধ করে না। তাহলে এই এমপিরা কি আওয়ামী লীগের সম্পদ? সরকারি দলের ফায়দা নিয়ে যারা সম্পদের পাহাড় গড়েছে তারা কি দলের প্রয়োজনে প্রতিবাদ করার সাহস দেখাতে পারবে? নয় বছর ক্ষমতায় থেকে অতি ভোজন দোষে যারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন তারাই কি নির্বাচন দেখে ভয় পাচ্ছেন? আওয়ামী লীগ এদের কথা শুনবে কেন? একুশ বছর ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে যারা আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল তারা নিশ্চয়ই নির্বাচন দেখে ভয় পায় না। 

২০১৫ সালের মার্চ মাসে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান মারা গেলেন। লি কুয়ান সিঙ্গাপুরের জাতির পিতা। তিনি তার এক জীবনে এক জেনারেশনে পশ্চাৎপদ তৃতীয় বিশ্বের হতদরিদ্র একটি দেশ সিঙ্গাপুরকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করে দিয়ে গেছেন। সুদীর্ঘ ৫৬ বছর ধরে লি কুয়ান প্রধানমন্ত্রী কিংবা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নামে-বেনামে সিঙ্গাপুর শাসন করেছেন। পাঁচ দশকের বেশি সময় সিঙ্গাপুরকে শাসন করার পরেও তার মৃত্যুতে সিঙ্গাপুরবাসী অন্তর থেকে কেঁদেছে। এটি সত্যি বিস্ময়কর। একজন শাসক এত লম্বা সময় কোনো দেশ শাসন করার পর দেশবাসীর ভালোবাসা অক্ষুণ্ন রেখে যখন স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন, তখন তার সততা, যোগ্যতা এবং মেধাকে অসামান্য বলে মানতে হয়। লি কুয়ানের বড় সাফল্য, তিনি নিজে সৎ ছিলেন এবং সিঙ্গাপুরকে তিনি দুর্নীতিমুক্ত সুশাসন উপহার দিয়ে গেছেন। সিঙ্গাপুরবাসী লি কুয়ানের সততা এবং মেধার ফলাফল তাদের সমাজ জীবনে এবং অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ দেখতে পেত। সে কারণে ৫০ বছর ধরে দেশ শাসন করার পরে দেশের মানুষের মনে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ন রেখে লি কুয়ান মারা যেতে পারলেন। লি কুয়ান তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, কোনো শাসক লম্বা সময় কোনো দেশ শাসন করলে অজনপ্রিয় হয়ে যায়—এ কথা সত্য নয়। একজন শাসক দেশে সুশাসন দিতে পারছে কি পারছে না সেটার ওপর তার জনপ্রিয়তা নির্ভর করে। কোনো রাজনীতিবিদ মুখে কী দাবি করছেন তাতে কিছু আসে যায় না। জনগণ রাজনীতিকের গলাবাজির চেয়ে নিজেদের চোখ-কানকে অনেক বেশি বিশ্বাস করে।

২০১৭ সালে আমাদের চোখের সামনে জিম্বাবুয়ের এককালের জনপ্রিয় শাসক রবার্ট মুগাবেকে জনগণের হাতে হেনস্তা হয়ে গদি ছাড়তে দেখলাম। অথচ তার কয়েকদিন আগে বিরানব্বই বছর বয়সী মুগাবের প্রায় তরুণী স্ত্রী গ্রেস নির্বাচনের সময় গর্ব করে বলেছিলেন, মুগাবে যদি এখন মারা যায় এবং তার মরদেহকে নির্বাচনে প্রার্থী করা হয় তাহলে মৃত মুগাবে নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতবে। বাস্তবে তেমনটি ঘটেনি। জিম্বাবুয়ের বিপ্লবী নেতা বর্ণবাদী সাদা শাসকদের পরাজিত করে দেশকে মুক্ত করেছিলেন। এমন মহৎ কাজের জন্য জিম্বাবুয়েবাসী তাকে যথেষ্ট ভালোবাসা উপহার দিয়েছিল। কিন্তু মুগাবে দেশবাসীর ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি। জিম্বাবুয়ে সুশাসনের অভাব; আরেক দিকে মুগাবের স্ত্রী গ্রেসের দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ মুগাবের ভরাডুবির জন্য দায়ী। মুগাবের শেষ পরিণতি দেখে অনেকে মনে করেন, মুগাবে দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার পদাঙ্ক অনুসরণ করে সময়মতো শাসনভার অন্য নেতার হাতে ছেড়ে দিলে তাকে জনগণের ঘৃণা নিয়ে গদি ছাড়তে হতো না।

বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমি সিঙ্গাপুরের লি কুয়ানের শাসনের জনভিত্তি এবং জিম্বাবুয়ের শাসক রবার্ট মুগাবের জনবিচ্ছিন্নতার উদাহরণ দুটি সামনে তুলে ধরলাম। আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসতে অনেকের মনে আশঙ্কা—দেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ-স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তো? ২০১৪ সালের মতো আরেকটি খেলো নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার শর্টকাট পথ খুঁজবে না তো? নয় বছর দেশ শাসন করার পরে দলের জনভিত্তি পরখ করার শক্তি-সাহস আওয়ামী লীগের অক্ষুণ্ন আছে? জনমনে এসব প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগ কত বছর ধরে দেশ শাসন করছে সেটি মুখ্য বিষয় নয়। সরকারি কিংবা বেসরকারি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা কে কী বলছেন সেটি নিয়ে জনগণ মাথা ঘামাবে না। আগামীতে দেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশবাসী নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে নির্বাচনের ফল নির্ধারণ করবে। আওয়ামী লীগ দেশকে সুশাসন উপহার দিয়ে থাকলে আওয়ামী লীগের জনভিত্তি নিয়ে আগাম সন্দেহ প্রকাশের কোনো কারণ নেই। নয় বছর কেন, আওয়ামী লীগ নব্বই বছর ধরে বাংলাদেশকে শাসন করতে পারবে যদি সেই শাসন সুশাসন হয়। বিএনপি যদি মনে করে, তারা জনপ্রিয় দল তাহলে নির্বাচনে যেতে তাদের মনে দ্বিধা থাকা উচিত নয়।

বিএনপি যদি জনপ্রিয় দল হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচনকালীন আওয়ামী সরকার ভোটের ফলাফল উল্টে দেবে এটি আমি বিশ্বাস করি না। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ, দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দল জনগণের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচন করার সাহস না দেখালে এ দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ কী?

            লেখক : কথাসাহিত্যিক।

সর্বশেষ খবর