শিরোনাম
সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

চিকন চালের মূল্যবৃদ্ধি

চালকল মালিকদের সামাল দিন

ভারত থেকে ব্যাপক আমদানির সুবাদে মোটা চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে চিকন চালের দাম। বিশেষ করে মিনিকেট চালের দাম গত এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে। আরেকটি জনপ্রিয় চিকন চাল নাজিরশাইলের দাম অবশ্য স্থিতিশীল রয়েছে। ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত মিনিকেট চালের দাম বৃদ্ধি মধ্যবিত্তদের জীবনযাপনের খরচ কিছুটা হলেও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমে আসায় যে স্বস্তি দেখা হয়েছিল তা কেড়ে নিচ্ছে চিকন চালের দাম বৃদ্ধির ঘটনা। গত বছর বোরো ধানের উৎপাদন বন্যা ও অতি বৃষ্টিজনিত কারণে মার খাওয়ায় গত এক বছর ধরে চালের বাজারে চলছে মূল্যবৃদ্ধির অত্যাচার। আমনের ফলন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করলেও তা বাজার নিয়ন্ত্রণে খুব একটা ভূমিকা রাখতে পারেনি। বোদ্ধাজনদের মতে চলতি বছরের বোরো ধান ওঠার আগ পর্যন্ত বাড়তি দামের বিড়ম্বনা চলতে থাকবে। গত কয়েক মাস ধরে চালের উচ্চমূল্য থাকায় এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো চাষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ভবিষ্যতের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য যাতে কৃষকরা পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। চিকন চালের সাম্প্রতিক দাম বৃদ্ধির পেছনে চালকল মালিকদের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে কৃষক ধান উৎপাদন করে তারা প্রতি বছরই উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার কৃষকদের বদলে চালকল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করায় সেখানেও তারা মুনাফা লোটার সুবর্ণ সুযোগ পায়। বলা যায় ধান উৎপাদন করে কৃষকের সমৃদ্ধি নিশ্চিত না হলেও চালকল মালিকদের রমরমা বেড়েই চলেছে। চালকল মালিকরা ব্যবসা করুন তাতে সাধারণ মানুষের আপত্তি নেই। কিন্তু কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই তারা যেভাবে সিন্ডিকেট করে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ মুনাফাখোরি মনোভাব জনমনে অসন্তুষ্টি সৃষ্টি করছে। বাজার মনিটরিংয়ে সরকার কঠোর হলে বিনা কারণে চালের দাম বৃদ্ধির সুযোগ হওয়ার কথা নয়। আমরা আশা করব চালকল মালিকদের মুনাফাখোরি মনোভাবে লাগাম পরাতে সরকার সক্রিয় হবে। মূল্যবৃদ্ধির কারসাজির হোতারা যাতে অসৎ মনোভাব ত্যাগে বাধ্য হয় তা যে কোনো মূল্যে নিশ্চিত করা হবে।

সর্বশেষ খবর