শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

সন্ত্রাসবাদ নির্মূল

উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গোপসাগর কূলবর্তী দেশগুলোর জোট বিমসটেকের নিরাপত্তা প্রধানদের উন্নত ও সমৃদ্ধ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সব ধরনের সন্ত্রাস নির্মূলে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। গত বুধবার বিমসটেকের নিরাপত্তা প্রধানরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সাতটি দেশের সন্ত্রাস উচ্ছেদে পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, মাদকাসক্তি, মানব পাচার, সাইবার অপরাধ, সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত হুমকি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সব দেশের জন্য একই ধরনের চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পদ্ধতি আমাদের উদ্ভাবন করে সমন্বিতভাবে এর সমাধানে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ প্রশ্নে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে তরুণ সম্প্রদায়, পরিবার-পরিজন এবং শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছি। বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য কাউকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার প্রশ্নে সরকারের দৃঢ় অবস্থানও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। বিমসটেকের নিরাপত্তা প্রধানদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণ। সন্ত্রাস ও পারস্পরিক অবিশ্বাসের অবাঞ্ছিত পরিবেশ এশিয়ার এ অঞ্চলের জন্য এক প্রধান সমস্যা। এই দুই অনাহৃত আপদের জন্য বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ গড়ে ওঠেনি। বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে নানা ধরনের সমস্যা থাকলেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় ভূমিকা দুই দেশেরই আস্থা কুড়িয়েছে। সন্ত্রাসের পাশাপাশি মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান সংশয়ের ঊর্ধ্বে। বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর উন্নয়ন এবং শান্তির স্বার্থে এ ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন তাতে সময়ের দাবিই ফুটে উঠেছে।  এ অঞ্চলের দেশগুলোকে এগিয়ে নিতে হলে সন্ত্রাস, মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে সব পক্ষকেই একাট্টা হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর