শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আশঙ্কা

এডিস মশা নিধনের উদ্যোগ নিন

রাজধানীতে চলতি বছর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ব্যাপকভাবে হানা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের জরিপে বলা হয়েছে— ডেঙ্গু আর চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১৯টি এলাকা।  ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার আগ্রাসন রোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েক মাস ধরেই মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজধানীবাসী। এর অধিকাংশই কিউলেক্স মশা হওয়ায় এ যাবৎ দেখা দেয়নি বড় কোনো রোগের প্রাদুর্ভাব। তবে কয়েক দফা বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপে বলা হয়েছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে যে ১৯টি স্থান ঝুঁকিতে রয়েছে সেসব এলাকার ২০ শতাংশেরও বেশি বাড়িতে রয়েছে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বনানী, গাবতলী, মগবাজার, মালিবাগ, মিরপুর-১, মহাখালী ডিওএইচএস, নাখালপাড়া, শেওড়াপাড়া, টোলারবাগ আর উত্তরার পাশাপাশি দক্ষিণে বাংলাবাজার, ধানমন্ডি-১, এলিফ্যান্ট রোড, গুলবাগ, মেরাদিয়া, মিন্টু রোড এবং শান্তিনগর রয়েছে বেশি ঝুঁকিতে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় জ্বরের কোনো প্রতিষেধক নেই। এ কারণে এ দুই জ্বর থেকে রেহাই পেতে হলে সতর্কতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। এডিস মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জীবাণু বহন করে। এ মশা রাতে কামড়ায় না। দিনে এ মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে ঘরে মশা নিধনকারী ওষুধ স্প্রে করা যেতে পারে। দিনে  যারা ঘুমান তারা মশারি টাঙিয়ে ঘুমালেই নিরাপদে থাকা যাবে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হলে অযৌক্তিক ভীতিতে আতঙ্কিত না হয়ে জ্বর যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে চেষ্টা করতে হবে। পরিমিত পানি পানে উদ্যোগী হতে হবে। গুরুতর অসুস্থ বোধ হলে হাসপাতালে ভর্তি বা চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে হবে। এডিস মশা বন-জঙ্গলে নয়, মানুষের বাসগৃহেই আস্তানা গাড়ে। এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক হলে এডিস মশার আগ্রাসন একেবারে থামিয়ে দেওয়াও সম্ভব। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জ্বর থেকে রেহাই পেতে হলে এডিস মশার বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে।  এডিসের আস্তানায় আঘাত হানতে হবে। তার প্রজনন থামিয়ে দিতে হবে।  সেদিকেই সবাই নজর দেবেন এমনটিই কাম্য।

সর্বশেষ খবর