বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

চলন্ত বাসে গণধর্ষণ

ধর্ষকদের শাস্তি নিশ্চিত হোক

ঢাকার ধামরাইয়ে চলন্ত বাসে এক নারী পোশাকশ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে বাসের চালক ও তার চার সহকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের কচমচ এলাকায় রবিবার গভীর রাতে ধর্ষণের এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটে। ওইদিনই ধর্ষকদের আটক করা হয়। ধামরাই থানার পুলিশসূত্রে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী তরুণীটি ধামরাইয়ের শ্রীরামপুরের একটি পোশাক কারখানার কর্মী। ধামরাইয়ের ইসলামপুরে তার বাসা। ছুটির পর রবিবার রাত ৯টার দিকে তিনি কারখানার সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে সেখান থেকে সাভারগামী যাত্রীসেবা পরিবহন নামের একটি বাসে ওঠেন। বাসটি শ্রীরামপুর থেকে পরের বাসস্ট্যান্ড কালামপুর পৌঁছলে অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এ সুযোগে তরুণীর আপত্তি সত্ত্বেও চালক বাসটি ঘুরিয়ে মানিকগঞ্জের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। কিছু দূর যাওয়ার পর চালকের সহকারী সোহেল বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে বাসচালক বাবু মল্লিক ও আবদুল আজিজ তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। অন্যরা এতে সহায়তা করেন। একপর্যায়ে সোহেল বাস ঘুরিয়ে আবার সাভারের দিকে যান। বাসটি জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পৌঁছলে মেয়েটি সুযোগ পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। তার আর্তচিৎকারে ধামরাই থানার টহল পুলিশ বাসটি থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বাসটি চলতে থাকলে ধাওয়া করে বাসটি আটক এবং তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— বাসচালক বাবু মল্লিক, যানবাহনের মিস্ত্রি আবদুল আজিজ, বাসের সুপারভাইজার বলরাম, মকবুল হোসেন ও সোহেল। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসচালক ও স্টাফদের দ্বারা নারী পোশাকশ্রমিকদের সম্ভ্রমহানির ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। লোকলজ্জার ভয়ে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগও করা হয় না। কারখানা থেকে রাতে বাসায় ফেরার পথেও তারা প্রায়ই এলাকার মস্তান ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা নিগৃহীত হয়। আমরা আশা করব নারী পোশাকশ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা হবে। বাসচালক ও সহকারীদের একাংশের মধ্যে নারীদের যৌন হয়রানি ও ধর্ষণ করার যে বর্বর মনোভাব রয়েছে তা রোধে অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তিই কাম্য।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর