শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

অপরাধে জড়াচ্ছে রোহিঙ্গারা

স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের উদ্যোগ নিন

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা সত্যিকার অর্থেই দেশের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখ নাগরিককে মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ মানবিকতার দায় দেশের অর্থনীতি, পরিবেশসহ অনেক কিছুর জন্য বিপদ ডেকে আনছে। অপরাধপ্রবণ হিসেবে পরিচিত রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে কড়া নজরদারির মধ্যেও তাদের অপতৎপরতা অব্যাহত রাখছে। খুন ও ধর্ষণের মতো ভয়ঙ্কর অপরাধেও জড়াচ্ছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। গত আট মাসে ১৫ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। এ ছাড়া ধর্ষণ, অপহরণ, চোরাচালান, মাদক ব্যবসা, ডাকাতির মতো দেড় শতাধিক অপরাধে রোহিঙ্গাদের নাম এসেছে। এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া ১৬৩ মামলায় আসামি হয়েছেন ৩৩৬ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, রোহিঙ্গাদের অপরাধের এই মাত্রা আতঙ্কিত হওয়ার মতো। গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হত্যা ১৫টি, অস্ত্র ১২টি, ধর্ষণ ২টি, মাদক ৫৮টি, ফরেন অ্যাক্টে ৪০টি, চোরাচালান ৫টি, অপহরণ ৩টি ও চুরি-ডাকাতির বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। রোহিঙ্গারা একের পর এক অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে জাল পাসপোর্ট তৈরি করে যারা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশি পরিচয়ে কাজ করছে সেখানেও তারা নানা অপরাধ সংঘটিত করছে। এতে প্রবাসী বাঙালিরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের কারণে প্রবাসী বাঙালিরা শ্রমবাজারে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তাদের অপরাধের দায়ভার নিতে হচ্ছে প্রবাসী বাঙালিদের। বেপরোয়া অপরাধ কার্যক্রমের কারণে কক্সবাজারের জনমনে গভীর অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দ্রুত স্বদেশে পাঠানোর মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারে বাংলাদেশ। মিয়ানমার তাদের পালিয়ে আসা নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা প্রতিপালনে কোনো আগ্রহই দেখাচ্ছে না। বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসা মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সে দেশকে রাজি করাতে জাতিসংঘের পাশাপাশি চীন-ভারতসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও উদ্যোগী হতে হবে।

সর্বশেষ খবর