শিরোনাম
শনিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা

ওদের কঠোর হাতে সামাল দিন

মাদক আগ্রাসন কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না। অবৈধ অস্ত্র, অর্থ আর রাজনৈতিক প্রভাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে মাদক মাফিয়ারা। সবচেয়ে বিপজ্জনক খবর হলো, দেশের ৩২ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো কার্যত শাসন করছে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চক্রের সদস্যরা। তাদের সহায়তায় সীমান্ত এলাকার ৫১ পয়েন্ট দিয়ে পাচার হয়ে আসছে হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য। মাদক সিন্ডিকেটের জালের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও পেরে উঠছে না মাদক চক্রের সদস্যদের সঙ্গে। মাদকের ডেরায় অভিযান চালালেই তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। গত বছর ফেনীতে মাদকবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতে হামলা চালানোর ধৃষ্টতা দেখিয়েছে মাদক ব্যবসায়ীরা। যে হামলায় একজন আনসার সদস্য নিহত এবং ম্যাজিস্ট্রেটসহ দুজন আহত হয়েছেন। মাদক ব্যবসায়ীরা আনসার সদস্যের অস্ত্রটিও লুট করে নিয়ে যাওয়ার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। গত বুধবার ফরিদপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ঘোষণার দুই ঘণ্টা পর পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে মাদক চক্রের সদস্যরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন পুলিশের একজন কর্মকর্তা। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অগাধ অর্থের মালিক মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যদের পেছনে রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতাদের সহযোগিতা থাকায় তাদের শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মীরাও জড়িয়ে পড়ছেন মাদক পাচার ও বিপণনের সঙ্গে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসাধু সদস্যের সহযোগিতা থাকায় তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিজিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মাঠ পর্যায়ের লোকজন ধরা পড়লেও মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। যারা ধরা পড়ছে, তারাও আবার আইনের ফাঁকফোকর গলিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে। মাদক আগ্রাসনের টুঁটি চেপে ধরতে হলে এর রাজনৈতিক কানেকশনের অবসান ঘটাতে হবে। প্রশাসনের সঙ্গে মাদক চক্রের সম্পর্কে বাদ সাধতে হবে। মাদক পাচারের মামলায় গ্রেফতার কেউ আইনের ফাঁক গলে যাতে বেরিয়ে আসতে না পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা দরকার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর