রবিবার, ৬ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ক্ষমতার রঙিন মসনদ

নঈম নিজাম

ক্ষমতার রঙিন মসনদ

ভোলা যাচ্ছি সাগর লঞ্চে। তখন এই লঞ্চটাই ভালো ছিল। নতুন কেবিন, মানসম্মত খাবার-দাবার। সময়টা ’৯১ সাল। আকাশে সেই রাতে জ্যোত্স্না ছিল। লঞ্চের ডেকে চেয়ার নিয়ে বসলেন, তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। আমরা তার সফরসঙ্গী। কিছু সংবাদকর্মীর বাইরে রাজনীতিবিদ ও সাবেক ছাত্রনেতারাও ছিলেন। আমরা কয়েকজন সংবাদকর্মী তার আশপাশে গিয়ে বসলাম। বসতেই শুরু হয়ে গেল আলাপ। আড্ডাটা জমে ওঠে শিল্প-সাহিত্য নিয়ে। এ সময় কাছ ঘেঁষে একজনকে হেঁটে যেতে দেখে শেখ হাসিনা ডাকলেন, এই বজ্র এদিকে আস। আমরা তাকালাম। হেঁটে যাচ্ছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি ভারত থেকে নির্বাসিত জীবন শেষ করে এসেছেন বেশি দিন হয়নি। তার হাঁটা-চলার মাঝে একটা স্টাইল আছে। নাম ধরে ডাকতে দেখে আমার মনে প্রশ্ন এলো কে বড় কে ছোট। আমি প্রশ্ন করলাম, আপা কাদের সিদ্দিকী কি আপনার ছোট? তিনি হাসলেন। ততক্ষণে কাদের সিদ্দিকীও তার সামনে। শেখ হাসিনা বললেন, ও আমার এক বছরের ছোট। কথা বললেন, কাদের সিদ্দিকীও। বললেন, বোন আমার চেয়ে ছয় মাস অথবা আরেকটু বড় হবেন। এক বছরও হতে পারেন। সেই কাদের সিদ্দিকী সময়ের পরিক্রমায় এখন আওয়ামী লীগ ছাড়া। অনেক দিন হলো আওয়ামী লীগ ছেড়েছেন। নিজে একটি ছোটখাটো রাজনৈতিক দল করে টিকে থাকার চেষ্টাও করছেন। সেই দলও কয়েক দফা ভেঙেছে। তবুও কাদের সিদ্দিকীর প্রতি আমার সম্মান অন্য উচ্চতায়। সেই সম্মানটা একাত্তর ও পঁচাত্তরের একজন বীরের প্রতি। তার বর্তমান রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো আগ্রহ নেই। বর্তমান রাজনীতি নিয়েও আমার আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এখনকার রাজনীতিতে কোনো নতুন হিরো তৈরি হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু চলে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে চামচিকাদের হিরো বানানোর চেষ্টা। এই চেষ্টা এখন বাড়ছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ষাটের দশক পুরোটাই বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে থাকা তারকা রাজনীতিবিদ, ছাত্র ও যুবকর্মীদের ছড়াছড়ি ছিল। সত্তর দশকও আমাদের খারাপ যায়নি। ’৯০ সাল পর্যন্ত একটা অধ্যায় ছিল। সেই অধ্যায়গুলো হারিয়ে যাচ্ছে। হারিয়ে গেছে। ষাটের দশক পুরোটাকে সম্মান করি। একাত্তরের যোদ্ধাদেরও। আমার ভাই যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এই সময়টা যেন কেমন! আজকাল যখন দেখি কেউ কেউ কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে টিপ্পনী কাটেন তখন মন খারাপ করি না। কারণ এখন আর কেউ ইতিহাসের দিকে তাকান না। কেউ বোঝেন না, একজন মানুষ দেশ ও দলের জন্য একবার পরীক্ষা দিলেই চলে। অথচ কাদের সিদ্দিকী বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু এই দুই শব্দের জন্য দুবার পরীক্ষা দিয়ে শত নম্বর পেয়েছিলেন। তার একাত্তর ও পঁচাত্তরের ভূমিকাকে হাইব্রিডরা মনে রাখবে কী করে? ইতিহাসের কিছুই তারা জানে না। অথবা জ্ঞানপাপী। কাদের সিদ্দিকী ’৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন বাংলাদেশের ভিতরে থেকেই। অস্ত্র কিংবা প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে যাননি। যা করার দেশেই করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার সাহসী ভূমিকার প্রশংসা দুনিয়ার সব মিডিয়াই করেছিল। তখনই বিশ্বজুড়ে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে বাঘা সিদ্দিকী হিসেবে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এখনো তাকে বাঘা নামেই ডাকেন। সেই বাঘা ’৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পায়ের নিচে টাঙ্গাইলে এক স্টেডিয়ামে অস্ত্র জমা দিয়েছিলেন। পুরনো ভিডিও ফুটেজ এখনো দেখলে বিস্ময় নিয়ে তাকাতে হয়। কী করে সম্ভব? একাত্তরে বাঘা সিদ্দিকীকে নিয়েই ভারতীয় সেনাবাহিনী ঢাকা শহরে প্রবেশ করেছিল। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় মঞ্চে গিয়েছিল তাকে নিয়েই। ইতিহাস ভুলে গেলে হবে না। ইতিহাসের অমরত্বে যার যা অবস্থান তাকে দিতে হবে।

কাদের সিদ্দিকীর দ্বিতীয় অবস্থান ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর। তিনি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড। আবারও নিজের অনুসারীদের নিয়ে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। যে ভারতে ’৭১ সালে যাননি, সেই ভারতে গিয়ে ’৭৫ সালে সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে তার সঙ্গে গিয়েছিলেন শেখ ফজলুর রহমান মারুফ, সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, রাঙামাটির দীপংকর তালুকদারসহ অনেকে। বিশ্বজিৎ নন্দীর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। মানু মজুমদারসহ চারজনের হয়েছিল যাবজ্জীবন। বিভিন্ন এলাকায় শহীদ হয়েছিলেন আড়াই শতাধিক মানুষ। কাদের সিদ্দিকী এরশাদের পতনের পর হিরোর বেশে দেশে ফিরে আসেন। একই সময়ে দেশে এসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আশ্রয় নিয়েছিলেন হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গও। তিনি এমপিও নির্বাচিত হয়েছিলেন ৩২ নম্বরে থেকে। পরবর্তীতে নিজেদের কারণে হোক অথবা অন্য মানুষের ষড়যন্ত্রে হোক তারও আর আওয়ামী লীগ করা হয়নি।

আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অনেক মেরুকরণ রয়েছে। ইতিহাসের গতি পরিবর্তন হয়েছে বারবার। ২০০১ সালের পর যারা শ্রম-মেধা দিয়ে দল এবং দলীয় নেত্রীকে ঘিরে ছিলেন তারা সবাই কি এখন সঠিক অবস্থানে আছেন? অনেক প্রশ্নের জবাব মিলবে না। করতেও চাই না। রাজনৈতিক দল যখন সরকারে থাকে তখন শুভানুধ্যায়ী ও সাহসী আমলা, নেতা-কর্মী, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজের অভাব হয় না। সরকারে থেকে মানুষকে পেটালে বাহবা পাওয়া যায়। বিরোধী দলে থাকলে অনেক কঠিন পরিবেশ মোকাবিলা করে যেতে হয়। যার হিসাব-নিকাশে এখন কঠিন অধ্যায় মোকাবিলা করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ তার চেয়েও কঠিন অবস্থায় ছিল। সেই ইতিহাস হারিয়ে যাচ্ছে, ১০ বছরের টানা ক্ষমতায় নতুন একমায়া জগতে। ক্ষমতার জাদুতে সোহেল তাজের মতো মেধা মননের মানুষও টিকতে পারে না। ২০০১ সালে এমপি হওয়ার পর সোহেল তাজের সঙ্গে আমার পরিচয়। তার আগে এত জানাশোনা ছিল না। ২০০৫ সালে আমরা একসঙ্গে ভারত সফরে গিয়েছিলাম তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। দিল্লি ও আজমীরে একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। সেই সফরে আরও ছিলেন কাজী জাফর উল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাবের হোসেন চৌধুরী, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও নজীব আহমেদ। সোহেল তাজকে আমার কাছে বরাবরই হিরোই মনে হতো। ২০০১ সালের পর রাজপথের মিছিলে সাহস নিয়ে সামনে থাকতেন। বারবার পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতেন। একজন এমপি হিসেবেও তিনি কোনো সহনশীলতা পাননি। তবুও পিছু হটতেন না।

সেই সোহেল তাজ যখন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তাকে পিছু হটতে হয়েছিল? কিন্তু কেন? তার শপথের দিন বঙ্গভবনে আমিও ছিলাম। তিনি এগিয়ে এলেন আমার দিকে। করমর্দন করে বুকে জড়িয়ে ধরলেন। বললেন, অনেক কাজ করতে চাই। আপনাদের সহায়তা লাগবে। কিন্তু সোহেল তাজ কাজ করতে পারেননি বেশি দিন। অথবা তাকে করতে দেয়নি ক্ষমতার আড়ালের মানুষ। তিনি নিজেও ব্যক্তিত্বকে বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাননি। বুক ভরা অভিমান নিয়ে বিদায় নিলেন। পদত্যাগ করে চলে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রে। এখন মাঝে মাঝে দেশে আসেন। নিজের ঘনিষ্ঠ মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেন। তারপর আবার চলে যান। সোহেল তাজ রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন এ কথা সত্যি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, যদি কোনো দিন আওয়ামী লীগের খারাপ সময় আসে তিনি আবারও ফিরে আসবেন। দাঁড়াবেন বঙ্গবন্ধুকন্যার পাশে। কারণ জাতির জনকের পরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বন্ধনটুকু রক্তের। একই বন্ধনে জড়িয়ে রয়েছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, খায়রুজ্জামান লিটন, মোহাম্মদ নাসিমরা। ক্ষমতার ইতিহাসে নানা পরিবর্তন, পরিমার্জন হবে। কিন্তু জাতির জনক ও চার জাতীয় নেতার পরিবারের সম্পর্কের বন্ধনটুকু সব সময় একই রকম থাকবে। একইভাবে শেখ হাসিনার সঙ্গে যারা ২০০১ সালের আগে পরে কাজ করেছেন, তারা এখন কোথাও হয়তো নেই, তারাও ফিরে আসবেন একদিন। সুসময়ে না হোক দুঃসময়ে তাদের হয়তো দেখব। সৎ ও নিষ্ঠাবান কর্মীরা বড় অভিমানী হন। তারা ভালো সময়ে দূরে থাকেন, চলে যান। কিন্তু হারিয়ে যান না। আড়ালে থাকেন। আবার ফিরে আসেন।

আওয়ামী লীগে এখন সুখের পায়রার অভাব নেই। তারা বড় আনন্দে আছে। তাদের অনেকে কখন কী বলে, কী করে বোঝা মুশকিল। রাজনীতিতে পালাবদল থাকবে। পরিবর্তন থাকবে। কিন্তু বাস্তবতাকে ভুলে গেলে হবে না। আসমান থেকে রাজনীতির ইতিবাচক ধারা নেমে আসে না। সব কিছু মাটিতেই হয়। ক্ষমতায় থেকে কেউ বুঝে না, চাটুকাররা কখনই কারও সত্যিকারের বন্ধু হতে পারে না। সত্যিকারের বন্ধুর কাজ বাস্তবতা তুলে ধরা। চোখে আঙ্গুল দিয়ে জানান দেওয়া, কোথায় কী হচ্ছে। কিন্তু এখন সমালোচনা কারোই ভালো লাগে না। সময়টা এখন অন্যরকম। সুযোগ পেলে রং বদলায় এক সময়ের বাম চিন্তার মানুষগুলোই। তাদের চলন, বলন, লেখন দেখে বিস্ময় তৈরি করে। কিন্তু কারও কিছু বলার নেই। করার নেই। কারণ এখন দেশে সবাই আওয়ামী লীগার। এখানে আবার প্রতিযোগিতাও আছে, কে কার চেয়ে কত বড়। এই পরিবেশ ভালো নয়।

আজকাল মাঝে মাঝে ভয় ধরিয়ে দেয় আমার মনে। এই ভয় অতি উৎসাহীদের কাজের খেসারত নিয়ে। মানুষকে বোকা মনে করার কারণ নেই। যা খুশি বুঝ দিলাম যুগ শেষ। এখন আর সত্যকে আড়াল করা যায় না। সত্য যতই কঠিন হোক তা গ্রহণ করে নিতে হয়। বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে আসুন। এতে দল এবং দেশের জন্য ভালো হবে। পেশাজীবী দলদাস, কৃতদাস, অতি উৎসাহীরা নষ্ট রাজনীতির তৈরি করে, যা এক সময় গিয়ে সব কিছু তছনছ করে দেয়। দল ও সরকারের ভোটের বাক্স আঘাতকারী ভিলেনদের জন্য মায়াকান্না বন্ধ করতে হবে। তাদের বিসর্জন দেওয়া জরুরি। বিএনপি এখন অনেক কিছু হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। অতি উৎসাহীরা তাদের কত সর্বনাশ করেছিল। বিএনপির সময় সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো সজ্জন নেতার বিরুদ্ধে প্লেট চুরির মামলা হয়। আর আওয়ামী লীগের সময় ভ্যানিটি ব্যাগ চুরির মামলা হয় এহসানুল হক মিলনের বিরুদ্ধে। বিএনপির সময় বেগম মতিয়া চৌধুরী, সোহেল তাজরা রাজপথে পুলিশের পিটুনি খায়। আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির একই মাপের নেতারা রেহাই পান না। ’৯১ সালে কারামুক্তির পর এরশাদের মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদকে দেখতে গিয়েছিলাম তার বাসায়। তিনি তখন বাংলামোটরে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তিনি কারাগারে কষ্টের কথা বললেন। আমি বললাম, আপনারা আবার কোনো দিন ক্ষমতায় এলে কারাগারের পরিবেশ ভালো করার চেষ্টা করবেন। রাজনীতিবিদরা যাতে হয়রানিতে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তিনি জবাবে বলেছিলেন, ভাই এটা কোনো দিন হবে না। কারণ ক্ষমতার চেয়ার সব সময় অন্যরকম। একবার এই চেয়ারে বসলে সবাই অতীত ভুলে যায়। আমিও হয়তো ভুলে যাব। ফিরোজ রশীদ এখন এমপি। এরশাদের জাতীয় পার্টি এখন ক্ষমতার অংশীদার। প্রয়াত রাজনীতিবিদ মিজানুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গেও আমার একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। তিনি আমাকে একবার একজন রাজনীতিবিদ সম্পর্কে উপমা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ক্ষমতায় থাকার সময় সবাই সব কিছু জানে। সব কিছু বুঝে। অন্যরা কিছুই বুঝে না। ক্ষমতা হারানোর পর হয় উল্টোটা। আমারও তাই মনে হয়। রাজনীতির ভালো-মন্দ সব সময় ছিল। সব সময় থাকবে। কিন্তু সহনশীল একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক ধারাকে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে দেওয়া যায় না। ক্ষমতা থাকার অতি উৎসাহী আমলারাই বেশি সর্বনাশ ও ক্ষতি করে। যা সূক্ষ্ম চোখে ধরা পড়ে না। ক্ষমতা ছাড়ার পর সেই আমলাদের আর দেখা মেলে না। ক্ষমতার মসনদ সব সময় রঙিন ইবনে মিজানের সিনেমার মতো। ক্ষমতা হারানোর পর সব কিছু সাদা-কালো। ধোঁয়াশা আর আলো আঁধারির খেলা।

            লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর