সোমবার, ১৪ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

মহাসড়কে যানজট

উন্নয়ন কাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা জরুরি

দেশের অর্থনীতির ধমনি বলে বিবেচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় নজিরবিহীন দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের ফেনী অংশের ফতেপুরে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ চলায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাভোগান্তিতে পড়েছেন গাড়ির চালকসহ এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা। পাঁচ বছর ধরে ফেনীর ফতেপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজের দীর্ঘসূত্রতায় মহাসড়কের এই অংশে নিত্য যানজট ছিল প্রতিদিনের ঘটনা। এবারের যানজট অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মহাসড়কটির ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ ফোর লেন এই এলাকায় এসে আধা কিলোমিটার সিঙ্গেল লেনে পরিণত হওয়ায় এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও মহাসড়কে চলাচলরত গাড়িগুলো ফতেপুরের এই অংশের আগে ফেনী শহরের ওপর দিয়ে চলাচল করত। ওই সড়কে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় তা যান চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সেখানে মেরামত কাজ চলায় গাড়িগুলোকে মহাসড়ক দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি কাজে এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই নীতি অনুসৃত হয় বলে একটি অভিযোগ রয়েছে। ওভার পাসের কাজ সময়মতো সম্পন্ন না হওয়ায় যানজট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। উল্লেখ্য, ফতেপুর রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১২ সালে। কাজ পেয়েছিল শিকো পিবিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল দুই বছরের মধ্যে। দুবার কাজের সময়সীমা বাড়ানোর পরও তারা কাজ শেষ করতে পারেনি। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে কাজটি দেওয়া হয় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। তাদের তত্ত্বাবধানে কাজটি বর্তমানে করছে আল আমিন কনস্ট্রাকশন। আগামী ১৫ মে ফতেপুর ওভারপাসের একটি অংশের কাজ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং এ ভয়াবহ যানজটের অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমরা আশা করব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজট থেকে কর্তৃপক্ষ শিক্ষা নেবে। উন্নয়ন কাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সময়মতো কাজ সম্পন্ন করাই শুধু নয়, এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর