মঙ্গলবার, ১৯ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা

কর্মস্থলে ফেরা নির্বিঘ্ন হোক

সড়ক ব্যবস্থাপনা প্রশংসার দাবিদার

কথা দিয়ে কথা রাখতে পেরেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। বলেছিলেন এবারের ঈদযাত্রা গত কয়েক বছরের চেয়ে স্বস্তিকর হবে। এ ক্ষেত্রে প্রায় শতভাগ সাফল্যই দেখিয়েছেন তিনি। রাজধানী থেকে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ সড়কপথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য। স্বীকার করতেই হবে, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য চলতি বছর ঈদে ঘরে ফেরার ধকল গত কয়েক বছরের তুলনায় কম হয়েছে। এটি ছিল একটি আশাপ্রদ দিক। ঈদের আগে গত কয়েক বছরের মতো এ বছরও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর দৌড়ঝাঁপ ও সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। মহাসড়কগুলো চলাচল-উপযোগী রাখতে মন্ত্রী যে আন্তরিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। তার পরও ঈদকে কেন্দ্র করে দুর্ঘটনা বা অঘটন খুব একটা কম নয়। ঈদের পরদিন দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে পিকনিক শেষে নীলফামারীতে ফেরার পথে সৈয়দপুরে একটি পিকআপের ১০ যাত্রী মারা গেছেন নৈশকোচের ধাক্কায়। আহত হয়েছেন আরও ১১ যাত্রী। নৌপথে বাড়তি সতর্কতার কারণে এ বছর দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। যাত্রীরাও ছিলেন সতর্ক। কোনো লঞ্চে যাতে বাড়তি যাত্রী নেওয়া না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো নজর রাখার চেষ্টা করেছেন। রেলপথে ঠাসা যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ট্রেন চললেও কোনো ট্র্যাজেডির যে উদ্ভব ঘটেনি এটি একটি স্বস্তিদায়ক দিক। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে যারা নাড়ির টানে আপন ঠিকানায় গিয়েছিলেন তারা অন্তত দুই সপ্তাহ ধরে ফিরবেন কর্মস্থলে। আগামী দুই সপ্তাহ পর্যন্ত রাজধানী কিংবা প্রধান প্রধান নগরমুখী যানবাহনে সাধারণ সময়ের চেয়ে যে বেশি ভিড় থাকবে তা সহজেই অনুমেয়। কোথাও কোথাও যানজটের আশঙ্কাও থাকছে। বর্ষা মৌসুমে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার শিকারও হতে পারেন কর্মস্থলমুখী যাত্রীরা। আমরা আশা করব, যানবাহন চালকরা এ সময়ে বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবেন। যে কোনো দুর্ঘটনা মানেই শুধু যাত্রীদের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলা নয়, নিজের জীবনকেও ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেওয়া। এ কাণ্ডজ্ঞানহীনতা যাতে তাদের পেয়ে না বসে সে ব্যাপারে সচেতন থাকাই বাঞ্ছনীয়। এ ব্যাপারে ট্রাফিক পুলিশ বা হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে। ঈদে ঘরে ফেরার পালায় সড়ক ও নৌপথে ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে সরকার যে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে তা ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরার ক্ষেত্রেও অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।  কর্মস্থলে ফেরার যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সংশ্লিষ্ট সবাই

সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন— এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর