শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

চীনে ইসলাম প্রচার

ওসমান (রা.) অনেক বিশিষ্ট সাহাবিকে তাঁর নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে রাজত্বের অবস্থা, জনগণের সুযোগ-সুবিধা, অসুবিধা, প্রশাসনিক ব্যবস্থা, তার বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রদেশে পাঠাতেন। ওসমান (রা.) ১২ বছর খলিফা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। খেলাফতকালের প্রথম ছয় বছর রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যয় করেছিলেন এবং তিনি খোলাফায়ে রাশেদিনদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি রাজ্য বিস্তার করেছিলেন। ইসলামের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ওসমান (রা.) ছিলেন বিশেষভাবে প্রশংসিত। তিনিই সর্বপ্রথম সাহসিকতার সঙ্গে ৬৫০ সালে চীনে মুসলিম দূত পাঠিয়েছিলেন ইসলাম প্রচারের জন্য। সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা.)-এর নেতৃত্বে দূতগণ চীনের চাংঘান নগরে পৌঁছান ৬৫১ সালে এবং এই দীর্ঘ পথযাত্রায় তাঁরা দীর্ঘ সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়েছিলেন। চীনের হুই জনগণ এই তারিখটিকেই চীনে ইসলামের আবির্ভাবের মূল তারিখ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিল। চীনের টাং রাজবংশ একটি ঐতিহাসিক আলোচনার আয়োজন করেছিল এবং দূতগণ টাং নগরের সম্রাটের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন এবং তাকে ইসলাম গ্রহণ করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করেছিলেন।

যদিও সম্রাট নিজে ইসলাম গ্রহণ করেননি কিন্তু তিনি সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসসহ দূতদের ইসলাম প্রচারের জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। সম্রাট রাজধানীতে সর্বপ্রথম মসজিদ স্থাপন করার অনুমতি দিয়ে ইসলামকে সম্মান জানিয়েছিলেন। ওসমান (রা.) তার খেলাফতকালে শ্রীলঙ্কায়ও ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে দূত পাঠিয়েছিলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর