বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক

জনগণের বন্ধুত্বে পরিণত হোক

বাংলাদেশ-ভারত আস্থার সম্পর্ক প্রতিদিনই উন্নীত হচ্ছে নতুন উচ্চতায়। মুক্তিযুদ্ধে ভারতের মিত্রবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিবাহিনীর পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করেছে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর রক্ত দুই দেশের মধ্যে যে রাখি বন্ধন সৃষ্টি করেছে সময়ের বিচারে তা মহীরুহ আকার ধারণ করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ একে অপরের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে নানা ক্ষেত্রে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর দুই দেশকে একসঙ্গে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথকে আরও মৃসণ করেছে। ভারতের বাণিজ্য, শিল্প ও বেসামরিক বিমানমন্ত্রী সুরেশ প্রভু বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুটি ভিন্ন দেশ হলেও ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনেক মিল রয়েছে। বাংলাদেশে এসে এদেশের গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। দুই দেশের বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে দুই দেশের সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ-ভারত দুই ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ। প্রতিবেশী থাকলে নানা বিষয়ে সমস্যা থাকাও বিচিত্র কিছু নয়। তবে সব কিছু পাল্টানো গেলেও প্রতিবেশী পাল্টানো যায় না। এ কথা মনে রেখেই দুই দেশ সম্পর্ক উন্নয়ন ও সহযোগিতার যে দিগন্ত উম্মোাচন করেছে তা দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। বাংলাদেশ ভারত গত এক দশকে সীমান্ত চুক্তি এবং ছিটমহল বিনিময় চুক্তি করে দুই দেশের সীমান্তকে শান্তির সীমান্তে পরিণত করার ক্ষেত্রে একধাপ এগিয়েছে। সমুদ্রসীমা নিয়েও দুই দেশ নিজেদের মধ্যে মীমাংসায় উপনীত হতে পেরেছে। বাংলাদেশ ও ভারত এক দেশের সন্ত্রাসী ও বিভেদকামী শক্তিকে অপর দেশে আশ্রয় না দেওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে। জ্বালানি ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা প্রশংসার যোগ্য। সম্পর্কে এই অগ্রগতি দুই দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস দুই দেশের বন্ধুত্বকে জনগণের বন্ধুত্বে পরিণত করতে দুই পক্ষই যত্নবান হবে। তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও দুই দেশ পরস্পরকে ছাড় দেওয়ার উদারতা দেখাবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর