রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাদক ব্যবসায়ীর ধৃষ্টতা

ওদের প্রতি কঠোর হোন

মাদক ব্যবসার সঙ্গে অস্ত্রবাজদের সম্পর্ক বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ধৃষ্টতাও দেখাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরাদপুরের চেকপোস্টে মাদক ব্যবসায়ীর গুলিতে চার র‌্যাব সদস্যের গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় তারা যে কতটা বেপরোয়া সে নজিরই স্থাপিত হলো। গভীর রাতে প্রাইভেটকারে ইয়াবা পাচার করছিল অসীম রায় বাবু নামের এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। চেকপোস্টে তল্ল­াশির জন্য গাড়ি থামাতে বলে র‌্যাব সদস্যরা। গাড়ি না থামিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বাবু র‌্যাব সদস্যদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে র‌্যাব-৭ এর স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত জামিল ফাহিম, মেজর মেহেদী হাসান, ল্যান্স করপোরাল শহিদুল ইসলাম ও সৈনিক আরিফুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকারী র‌্যাবের অপর সদস্যরা প্রাইভেট কারটি ধাওয়া করে। র‌্যাব সদস্যদের পাল্টা গুলিতে গাড়িতেই এর চালক অসীম রায় বাবু নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুটি পিস্তল, ২৩ রাউন্ড গুলি, চারটি খালি ম্যাগাজিন, ১২ হাজার ইয়াবা, একটি প্রাইভেট কার ও চারটি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে র‌্যাব সদস্যরা। বাবুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় ইয়াবাসংক্রান্ত তিনটি মামলা রয়েছে। আহত র‌্যাব সদস্যদের চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার শাফায়েত জামিলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তার একটি কিডনি বিকল হয়ে গেছে, অন্ত্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপর তিনজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে তাদের হেলিকপ্টারে করে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ তিনজনের শরীরেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। মেজর মেহেদী হাসানের কোমরের হাড় থেকে গুলি বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। সরকার সর্বাত্মক মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর মাদক ব্যবসায়ীরা কতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের ঘটনা তারই প্রমাণ। আমরা আশা করব এ ঘটনা মাদক ব্যবসার শিকড় উৎপাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও দৃঢ়প্রত্যয়ী করে তুলবে। মাদক ব্যবসার গডফাদারদের প্রতিও আঘাত হানা হবে কঠোরভাবে। মাদক ব্যবসার রাজনৈতিক কানেকশন রোধেও নেওয়া হবে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর