বুধবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

মহাসড়কের নিরাপত্তা

ডাকাতদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

দেশের অর্থনীতির প্রাণভোমরা হিসেবে বিবেচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিরাপত্তা নিয়ে অসন্তুষ্টি রয়েছে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে। এ সড়ক ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষও নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত হতে পারছে না। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পাইপলাইন এ মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কের ডাকাতিতে জড়িত কমপক্ষে ১০টি চক্র। গাড়িচালক ও সহকারীর সঙ্গে ডাকাত দলের সম্পর্ক থাকায় কোনোভাবেই তাদের প্রতিরোধ করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডাকাত দলগুলোর সদস্য শতাধিক। এ চক্রের সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ জন অংশ নিয়ে দু-তিনটি গ্র“পে বিভক্ত হয়ে ডাকাতি করে। প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে মহাসড়কে ১৫০ কিলোমিটার রয়েছে চট্টগ্রাম অংশে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে ৫০ হাজারের বেশি যানবাহন। মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুল টহলের সুযোগে ঘটছে একের পর এক ডাকাতির ঘটনা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অন্তত ২৫টি স্থানে নিয়মিত ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব স্থানের মধ্যে ১৫টি স্পট ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে সীতাকু- সদর, কুমিরা, ছোট কমলদহ, মিরসরাই সদর, জোরারগঞ্জ, ফাজিলপুর, ফেনীর মহিপাল, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, পদুয়া, চান্দিনা ও দাউদকান্দি অন্যতম। ডাকাতির কারণে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন। বিশেষ করে রপ্তানি পণ্যবাহী যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা বিদেশি পণ্য ক্রেতাদের কাছে সঠিক সময়ে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করছে। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রহরা জোরদার করার পাশাপাশি ডাকাত দলের শিকড় উৎপাটনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে সক্রিয় হতে হবে। পণ্যবাহী যানবাহনের চালকদের ব্যাপারে যথাযথ খোঁজখবর নিয়ে তাদের মধ্যে কারা ডাকাতদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে চিহ্নিত করতে হবে। মহাসড়কসংলগ্ন জনপদগুলোয় কারা কারা ডাকাতিতে জড়িত তা বের করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর