মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

টাইগারদের জিম্বাবুয়ে বধ

সিরিজ জয়ে প্রত্যয়ী হতে হবে

জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালবিহীন বাংলাদেশ জয় দিয়েই সিরিজ শুরু করেছে। সেরা দুই টাইগারের অবর্তমানে বাংলাদেশ দল কেমন খেলবে সে আশঙ্কা ছিল শুরু থেকেই। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আগের ১০টি ওয়ানডেতে টানা জয় পেলেও ইনজুরির কবলে পড়া দলটি কী করবে তা নিয়ে প্রশ্নও সৃষ্টি হয়। কিন্তু সে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা। এটি সম্ভব হয়েছে ওপেনার ইমরুল কায়েসের ১৪৪ ও অষ্টম জুটিতে খেলতে আসা বোলার সাইফুদ্দিনের দৃষ্টিকাড়া হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে। বাংলাদেশ দলের ২৭১ রানের মধ্যে এ দুজন করেছেন ১৯৪ রান। মিঠুনের ৩৭ ও মুশফিকের ১৫ বাদে অন্যরা শুধু যাওয়া-আসাই করেছেন। ইমরুল কায়েস ছাড়া টপ অর্ডার এমনকি মিডল অর্ডারও মার খেয়েছে জিম্বাবুয়ের বোলারদের কাছে। একসময় আশঙ্কা দেখা দেয় টাইগাররা ২০০ রানের কোঠায় পৌঁছতে পারবে কিনা। টাইগারদের জয়ের মহানায়ক হিসেবে আবিভর্র্‚ত হয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ধীরগতির ওপেনার হিসেবে বদনাম রয়েছে যার, তিনি জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাবেন কিনা নিশ্চিত ছিল না। সবারই জানা, এশিয়া কাপেও তিনি ওপেনার হওয়ার সুযোগ পাননি। সব শেষ ম্যাচে অর্থাৎ এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটনের সঙ্গে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ! রবিবারের ম্যাচে ড্রামাটিক সিদ্ধান্ত না নিয়ে অভিজ্ঞ ইমরুলকেই বেছে নেওয়া হয়। যার স্ট্রাইকরেট মাত্র ৬৮.১৮, গড় ২৯.৩০, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭৩ ম্যাচে যার ছক্কা মাত্র ২৯! সবচেয়ে ধীরগতির ওপেনার হিসেবে যাকে হিসাব করা হতো সেই ইমরুল যেন এই ইমরুল নয়। রবিবার তার অগ্ন্যুৎপাতে ভস্ম হয়ে গেল জিম্বাবুয়ে। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে তামিমের ইনজুরির পর যখন দলের সঙ্গে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত সুবিধা করতে পারছিলেন না তখনই দেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ইমরুলকে। সেহেতু ইমরুল পারফর্ম করেই দলে ফিরেছেন এটা বলার উপায় নেই। তবে হঠাৎ পাওয়া সুযোগটা নষ্ট হতে দেননি তিনি। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয় স্বস্তির হলেও যেভাবে জয় এসেছে তা স্বস্তির নয়। এ অস্বস্তিকে ছুড়ে ফেলতে পরবর্তী প্রতিটি খেলায় অন্য সবাইকে জ্বলে উঠতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের এ প্রত্যাশা পূরণে টাইগাররা সংকল্পবদ্ধ হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর